ভারত থেকে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হোক টি২০ বিশ্বকাপের আয়োজন। এমনই ইঙ্গিত নাকি বিসিসিআই কার্যত দিয়ে দিয়েছে আইসিসিকে। ভারতে কোভিড অতিমারীর পরিপ্রেক্ষিতেই আমিরশাহিতে টুর্নামেন্ট নিয়ে যাওয়া পাকা।
প্রথম ব্যাকআপ হিসাবে বরাবরই আমিরশাহির তিন ভেন্যু আবু ধাবি, শারজা এবং দুবাইকে রাখা হয়েছিল। তবে এই তালিকায় চতুর্থ ভেন্যু হিসাবে সংযুক্ত করা হয়েছে ওমানের রাজধানী মাস্কটকেও। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বোর্ডের এক কর্তা সংবাদসংস্থা পিটিআই-কে জানিয়ে দিয়েছেন, "আইসিসির বোর্ড মিটিংয়ে সরকারিভাবে বিসিসিআইয়ের তরফে সময় চেয়ে নেওয়া হলেও বোর্ড এ-ও জানিয়ে দিয়েছে, আমিরশাহি, ওমানে টুর্নামেন্ট টি২০ বিশ্বকাপ হলে তাদের কোনো সমস্যা নেই যদি আয়োজক স্বত্ত্ব ভারতকেই দেওয়া হয়।"
আরো পড়ুন: আইসিসির নিষেধাজ্ঞা কাটিয়ে ক্রিকেটে ফিরছেন জয়সূর্য! বড় খবর এল দ্বীপরাষ্ট্র থেকে
আমিরশাহিতে আইপিএলও হবে সেপ্টেম্বর-অক্টোবরের উইন্ডোতে। তবে টানা খেলা থেকে রেহাই দিতে মাস্কটে সম্ভবত ১৬ দলের টি২০ বিশ্বকাপে প্রিলিমিনারি রাউন্ড ফেলা হবে। যাতে আইপিএলের পর আমিরশাহির তিনটে ভেন্যুর পিচ 'সেরে ওঠার' জন্য পর্যাপ্ত সময় পেয়ে যায়।
তবে আইসিসির অধিকাংশ বোর্ড সদস্যের ধারণা দেশে বিশ্বকাপ আয়োজনের আশা এখনো ছেড়ে দেয়নি ভারত। সেই কারণেই পরিস্থিতি উন্নতি হচ্ছে কিনা, তা খতিয়ে দেখার জন্য আইসিসির কাছ থেকে সময় চেয়ে নিয়েছে ভারত। "এপ্রিলের শুরুর সপ্তাহে যত লোক আক্রান্ত হচ্ছিলেন, বর্তমানে তা এক তৃতীয়াংশে নেমে এসেছে। তবে জুন মাসের ২৮ তারিখে বসে কীভাবে সিদ্ধান্ত নেওয়া সম্ভব অক্টোবরে সমস্ত কিছু স্বাভাবিক হয়ে যাবে। যদি তৃতীয় ঢেউয়ের পূর্বাভাস থাকে, তাহলে স্বাস্থ্য ব্যবস্থা কেমন হবে, তা আঁচ করা সম্ভব নয়। সকলেই জানেন, বৃষ্টি নয়, অতিমারীর কারণেই আইপিএল আমিরশাহিতে নিয়ে ফেলা হয়েছে।" বলেছেন তিনি।
সেইসঙ্গে তাঁর আরো যুক্তি, "আইপিএলের মত টি২০ বিশ্বকাপের বায়ো বাবল আক্রান্ত হলে বিষয়টা মোটেই সেরকম হবে না। অপেক্ষাকৃত দুর্বল দল আক্রান্ত হলে যথপোযুক্ত পরিবর্ত পাওয়াও মুশকিল হয়ে পড়বে। আর বিদেশিরা আইপিএলে এসে যে সমস্যায় পড়েছিল, সেই অভিজ্ঞতা থেকে আরো একবার অতিমারীর মধ্যে ভারতে আসতে চাইবেন না।"
তাই সমস্ত পরিস্থিতির কথা বিবেচনা করে আমিরশাহিতেই আইপিএল আয়োজনে কার্যত সবুজ সংকেত দিয়ে দিয়েছে বোর্ড।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন