ওয়েড সুনামিতে ভেসে গেল পাকিস্তান! বিশ্বকাপ ফাইনালে অস্ট্রেলিয়া-নিউজিল্যান্ড

টানা পাঁচ জয়ে সেমিফাইনালে ফেভারিট হিসাবে খেলতে নেমেছিল পাকিস্তান। অন্যদিকে, অস্ট্রেলিয়া ছিল আন্ডারডগ।

টানা পাঁচ জয়ে সেমিফাইনালে ফেভারিট হিসাবে খেলতে নেমেছিল পাকিস্তান। অন্যদিকে, অস্ট্রেলিয়া ছিল আন্ডারডগ।

author-image
IE Bangla Sports Desk
New Update
NULL

পাকিস্তান: ১৭৬/৪
অস্ট্রেলিয়া: ১৭৭/৫

কুড়ি কুড়ি বিশ্বকাপের ফাইনালে ফের একবার ট্রান্স-তাসমানিয়ান যুদ্ধ। ২০১৫-এ ৫০ ওভার বিশ্বকাপের ফাইনালের লাইন আপ এবার টি২০ বিশ্বকাপের অন্তিম যুদ্ধে- অস্ট্রেলিয়া বনাম নিউজিল্যান্ড। ম্যাথু ওয়েড এবং মার্কাস স্টোয়িনিস- অস্ট্রেলিয়ার ষষ্ঠ উইকেটার ব্যাটিং ঝড়ে জেতা ম্যাচ মাঠে ফেলে এল পাকিস্তান। স্কোরবোর্ডে পাহাড়প্রমাণ ১৭৬/৪ তুলেও শেষরক্ষা করতে পারল না পাকিস্তান। ১৯ ওভারেই টার্গেট তুলে দিল অজিরা। আফ্রিদির ওভারে টানা তিন ছক্কা হাঁকিয়ে রোমাঞ্চ ছড়িয়ে ফিনিশ করলেন ওয়েড।

Advertisment

২৪ ঘন্টা আগেই নিউজিল্যান্ড রুদ্ধশ্বাস রান তাড়া করে ফাইনালের টিকিট নিশ্চিত করেছিল। সেই রান চেজের দৃশ্যই যেন ফিরে এল দ্বিতীয় সেমিফাইনালে। স্কোরবোর্ডে বড়সড় ১৭৬ রান তুলে অস্ট্রেলিয়াকে রীতিমত চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিয়েছিল পাকিস্তান।

আরও পড়ুন: কোহলি-রোহিত নন, নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে ভারতের টেস্ট ক্যাপ্টেন হচ্ছেন এই সুপারস্টার

Advertisment

আর সেই রান তাড়া করার নায়ক মার্কাস স্টোয়িনিস এবং ম্যাথু ওয়েড। শাদাব খান টি২০ বিশ্বকাপের সেরা বোলিং করে অস্ট্রেলিয়াকে ৯৬/৫ নামিয়ে এনেছিলেন। এর পরেই শুরু হল খেলা। স্টোয়িনিস-ওয়েডের দুরন্ত ৮১ রানের অপরাজিত পার্টনারশিপ অস্ট্রেলিয়াকে সটান ফাইনালে পৌঁছে দিল। স্টোয়িনিস ৩১ বলে ৪০ অপরাজিত থাকলেন। শেষদিকে ঝড় তুলে ওয়েডের ১৭ বলে ৪১ রানের বিস্ফোরণ ছিটকে দিল পাকিস্তানকে।

শুরুতে রান রেট ঠিকঠাক বজায় রাখলেও মাঝের ওভারে শাদাব খানের কাছে পিছলে গিয়েছিল অস্ট্রেলিয়ার মিডল অর্ডার। শাহিন আফ্রিদি যথারীতি শুরুতে জাদু ছড়িয়ে ক্যাপ্টেন ফিঞ্চকে আউট করে দেন। প্ৰথম ওভারেই ফিঞ্চ আউট হয়ে যাওয়ার পরে মিচেল মার্শ (২২ বলে ২৮) এবং ডেভিড ওয়ার্নার (৩০ বলে ৪৯) দলকে হাফসেঞ্চুরি পার্টনারশিপে বিপদ থেকে উদ্ধার করেন।

আরও পড়ুন: দ্রাবিড়ের পছন্দকে পাত্তা দিল না বোর্ড! রোহিতদের ফিল্ডিং কোচ হচ্ছেন এই তারকা

এরপরেই শাদাব খান অস্ট্রেলিয়ার ইনিংসে ধস নামিয়ে ২৬ রানের বিনিময়ে ৪ উইকেট তুলে নেন। পরপর আউট করেন মার্শ, ওয়ার্নার, স্মিথ এবং ম্যাক্সওয়েলকে। এরপরই শুরু হয় আসল খেলা।

পাকিস্তানের আটোসাঁটো বোলিংয়ের সামনে রান তুলতে বেগ পেতে হচ্ছিল স্টোয়িনিস-ওয়েডদের। আস্কিং রেট একসময় ১৫-র কাছে পৌঁছে গিয়েছিল। শেষ তিন ওভারে জয়ের জন্য প্রয়োজন ছিল ৩৭ রান।

১৮তম ওভারে হাসান আলি ১৫ রান খরচ করে বসেন। ১৯ তম ওভারে শাহিন আফ্রিদি আর সেই রানের ফোয়ারা আটকাতে পারেননি। তৃতীয় বলেই ওয়েডের লোপ্পা ক্যাচ ফেলে দেন হাসান আলি। তারপরে ওভারের চতুর্থ, পঞ্চম এবং ষষ্ঠ বলে টানা তিনটে ছক্কা হাঁকিয়ে খেলা ফিনিশ করেন ম্যাথু ওয়েড। হাসান আলি দিনের শেষে খলনায়ক পাক সমর্থকদের কাছে।

আরও পড়ুন: কোহলি-রোহিতদের ব্যঙ্গ করে নকল! সেমিফাইনালের আগে বড় বিতর্কে আফ্রিদি, দেখুন ভিডিও

তার আগে টসে জিতে অস্ট্রেলিয়া প্রথমে ব্যাট করতে পাঠিয়েছিল পাকিস্তানকে। একদিন আগেও যিনি অসুস্থতার জন্য হাসপাতালে ছিলেন সেই মহম্মদ রিজওয়ানের ৫২ বলে ৬৭ এবং ফখর জামানের ৩২ বলে ৫৫ ভর করে পাকিস্তান স্কোরবোর্ডে ১৭৬ তোলে। বাবর আজমও ৩৪ বলে ৩৯ করেছিলেন।

তবে দিনের শেষে নাটকীয়ভাবে নায়কের সিংহাসনে অজি উইকেটকিপার। ব্যাট হাতে টর্নেডো তুলে ম্যাচের সেরা।

ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন

Cricket Australia T20 World Cup Pakistan Cricket