নিউজিল্যান্ড: ১৩৪/৮
পাকিস্তান: ১৩৫/৫
বদলা নিল পাকিস্তান। পাক মুলুকে গিয়েও সফর বাতিল করেছিল নিউজিল্যান্ড। সেই অপমানের জবাব দিয়েই মঙ্গলবার পাকিস্তানের কিউয়ি বধ। একদিনের ব্যবধানে ভারতের সঙ্গেই এবার পাকিস্তানের হাতে বধ হল নিউজিল্যান্ড।
কিউয়িদের হারানোর নায়ক এদিন হ্যারিস রউফ এবং শোয়েব মালিক। ভারত ম্যাচের ফর্মুলা মেনেই পাকিস্তান প্রথমে নিউজিল্যান্ডকে ব্যাট করতে পাঠিয়ে মাত্র ১৩৪ রানে আটকে রেখেছিল। সেই টার্গেট পাকিস্তান তাড়া করে জিতল ৮ বল বাকি থাকতে ৫ উইকেট সঙ্গে নিয়ে।
পাকিস্তানকে এদিন রুদ্ধশ্বাস ম্যাচে বাঁচালেন শোয়েব মালিক। বিশ্বকাপের স্কোয়াডে অভিজ্ঞতার নিরিখে রাখা হয়েছিল বর্ষীয়ান তারকাকে। সেই সিদ্ধান্ত ঠিক প্রমাণ করেই এদিন ম্যাচ জেতানো ইনিংস খেলে গেলেন ভারতের জামাইবাবু। টানটান ম্যাচে পাকিস্তান এদিন রান চেজ করার সময় ৬৯/৪ এবং ৮৭/৫ হয়ে গিয়েছিল। সেই সময়েই শোয়েব মাথা ঠান্ডা রেখে ২০ বলে ২৬ রানের কার্যকরী ইনিংস খেলে যান। যোগ্য সঙ্গত করে যান আসিফ আলিও। ১২ বলে ২৭ রানের ঝড়ে টেনশনের ম্যাচ সহজ করে দেন তিনি।
আরও পড়ুন: ‘হিন্দুদের মাঝে নমাজে’ বাহবা রিজওয়ানকে! ওয়াকারকে পাল্টা ছিন্নভিন্ন করলেন হর্ষ ভোগলেও
অল্প রানের পুঁজি নিয়ে বল করতে নেমে নিউজিল্যান্ডকে মঙ্গলবার ম্যাচে রেখেছিল কিউয়ি স্পিনাররা। মিচেল স্যান্টনার (৩৩/১) এবং ইশ সোধির (২৮/২) সামনে একসময়ে ত্রাহি ত্রাহি রব উঠেছিল পাক মিডল অর্ডার। টিম সাউদি এবং ট্রেন্ট বোল্টও চাপে রেখেছিলেন পাক ব্যাটসম্যানদের। তবে ষষ্ঠ উইকেটে শোয়েব মালিক- আসিফ আলির ৪৮ রানের পার্টনারশিপ চাপ কাটিয়ে টানা দুটো জয় এনে দেয় পাকিস্তানকে। এদিন বাবর আজম ব্যর্থ হলেও মহম্মদ রিজওয়ান ৩৪ বলে ৩৩ করে যান।
তার আগে পাক বোলিংয়ের নায়ক হ্যারিস রউফ। ভারত ম্যাচের পরে নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধেও নিজের জাত চিনিয়ে ৪ উইকেট দখল করলেন তারকা। ৪ ওভারে মাত্র ২২ রানের বিনিময়ে রউফের দখলে ৪ উইকেট। ইমাদ ওয়াসিম, শাহিন আফ্রিদিও একটি করে উইকেট নিয়ে নিউজিল্যান্ডকে অল্প রানে আটকে রাখেন। কিউয়ি ব্যাটসম্যানদের মধ্যে সর্বোচ্চ স্কোর ড্যারেল মিচেল (২৭) এবং ডেভন কনওয়ের (২৭)। অধিনায়ক উইলিয়ামসন করেন ২৫।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন