নিউজিল্যান্ড: ২০০/৩
অস্ট্রেলিয়া: ১১১/১০
বিশ্বকাপে ফেভারিট হিসাবে খেলতে নেমেছে আয়োজক অস্ট্রেলিয়া। আর অস্ট্রেলীয়রা ঘরের মাঠেই সুপার-১২'এর প্ৰথম ম্যাচে চূর্ণ হল প্রতিবেশী নিউজিল্যান্ডের কাছে। অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে প্ৰথম টি২০ ম্যাচ জয়ের পথে ৮৯ রানে কিউইরা বিধ্বস্ত করল অস্ট্রেলিয়াকে। নিউজিল্যান্ডের ২০০/৩ রানের জবাবে অস্ট্রেলিয়া ধসে পড়ল মাত্র ১১১ রানে। পুরো ২০ ওভারও ব্যাট করতে পারল না অজিরা। ১৭.১ ওভারেই খতম ফিঞ্চ-ওয়ার্নাররা।
সিডনিতে টসে জিতে ব্ল্যাক ক্যাপসদের প্রথমে ব্যাটিং করতে পাঠিয়েছিলেন অস্ট্রেলীয় অধিনায়ক ফিঞ্চ। প্ৰথম থেকেই ব্যাট হাতে ঝড় তুলে দেন দুই কিউই ওপেনার ফিন এলেন এবং ডেভন কনওয়ে। মাত্র ১৬ বলে ৪২ করে বিধ্বংসী ব্যাটিং করছিলেন এলেন। তবে পঞ্চম ওভারে তাঁকে ফেরান জস হ্যাজেলউড। ওপেনিং জুটিতে হাফসেঞ্চুরি পার্টনারশিপ গড়ে ফেলায় বড় রানের ভিত তৈরি জয়ে যায়। এলেন আউট হওয়ার পরে ক্যাপ্টেন কেন উইলিয়ামসন ইনিংস গড়ার কাজে হাত লাগান কনওয়ের সঙ্গে।
আরও পড়ুন: পাকিস্তানকে পাত্তাই দিলেন না সৌরভ! দুর্ধর্ষ ভবিষ্যৎবাণীতে জানালেন বিশ্বকাপ জয়ের চার ফেভারিট
ব্যাট হাতে বেশ ছন্দেই ছিলেন উইলিয়ামসন। জাম্পার বলে লেগ বিফোর হয়ে ফেরার আগে ২৩ বলে ২৩ রানের গুরুত্বপূর্ণ ইনিংস খেলে যান। দ্বিতীয় উইকেটে কনওয়ে-উইলিয়ামসন পার্টনারশিপে ওঠে ৬৯ রান। গ্লেন ফিলিপস এরপরে বেশিক্ষণ না টিকলেও শেষদিকে ফিনিশিং টাচ দিয়ে যান জিমি নিশাম। ১৬ বলে ২৩ রান করে যান স্লগ ওভারে। অন্যপ্রান্তে ডেভন কনওয়ে ৫৮ বলে ৯২ রান করে শেষ পর্যন্ত অপরাজিত রয়ে যান। নিউজিল্যান্ড নির্ধারিত ২০ ওভারে ২০০/৩ তোলে।
জবাবে ব্যাট করতে নেমে প্ৰথম থেকেই উইকেট হারাতে থাকে অস্ট্রেলিয়া। টিম সাউদি দ্বিতীয় ওভারেই তুলে নেন ডেভিড ওয়ার্নারকে। ক্যাপ্টেন ফিঞ্চকে (১৩ বলে ১১) ফেরান মিচেল স্যান্টনার। মিচেল মার্শ শুরুটা ভালো করেছিলেন। তবে ১২ বলে ১৬-র বেশি করতে পারেননি। বিপজ্জনক মার্কাস স্টোয়িনিসকে স্যান্টনার ফিরিয়ে দেওয়ার পর একসময় ৫০/৪ হয়ে যায় অস্ট্রেলিয়া।
আরও পড়ুন: সৌরভ হয়ত CAB প্রেসিডেন্ট নন! হঠাৎ প্লট ট্যুইস্টে বেনজির জল্পনা বাংলার ক্রিকেটে
স্যান্টনার বেশি দাঁড়াতে দেননি অস্ট্রেলীয় ব্যাটিংয়ের এক্স ফ্যাক্টর যাঁকে ধরা হচ্ছে সেই টিম ডেভিডকে (৮ বলে ১১)। লকি ফার্গুসন প্ৰথম উইকেট দখল করেন গ্লেন ম্যাক্সওয়েলকে (২৮) ফিরিয়ে। এরপরে অজি ইনিংসের কত তাড়াতাড়ি শেষ হয় সেটাই ছিল দেখার। প্যাট কামিন্স শেষের দিকে ১৮ বলে ২১ করে কোনওরকমে দলের স্কোর ১০০ পার করিয়ে দেন। ম্যাক্সওয়েলের পর তিনিই অজিদের মধ্যে সবথেকে বেশি রান করলেন। মিচেল স্যান্টনার এবং টিম সাউদি দুজনেই তিনটে করে উইকেট নিয়েছেন। দুরন্ত বোলিং করেছেন ট্রেন্ট বোল্টও। তাঁর সংগ্রহে ২ উইকেট।