একদিন আগেই স্ত্রী-র সঙ্গে বিচ্ছেদ। তারপরেই বড়সড় ধাক্কা খেলেন শিখর ধাওয়ান। বাদ পড়লেন টি-২০ বিশ্বকাপ থেকেই।
কেন বাদ?
সত্যি কথা বলতে, স্কোয়াডে ধাওয়ানকে অন্তর্ভুক্ত করার কোনও সুযোগই ছিল না। কেএল রাহুল এবং রোহিত শর্মাকে বাদ দেওয়া কোনওভাবেই সম্ভব নয়। ওপেনিংয়ে দুরন্ত ফর্মে থাকা কেএল রাহুলকে ব্যাটিং অর্ডারে নীচে নামানো মোটেই বুদ্ধিমানের কাজ হত না। এতে দলের ভারসাম্যই নষ্ট হয়ে যেত। বিশ্বকাপ যদি এশিয়ার বাইরে হত, তাহলে অভিজ্ঞতার ভিত্তিতে ব্যাক আপ ওপেনার হিসাবে জায়গা পেতেন ধাওয়ান।
আরও পড়ুন: বিশ্বকাপ দলে ধোনি, কোহলির অপছন্দের অশ্বিন! একের পর এক চমক নির্বাচকদের
তবে আমিরশাহিতে বিশ্বকাপ হওয়ায় নির্বাচকদের মাথায় অন্য অঙ্ক কাজ করেছে। রোহিত-রাহুল দুজন ওপেনার যদি চোট পান তাহলে, সূর্যকুমার যাদব অথবা ঈশান কিষান বিকল্প ওপেনার হিসাবে স্কোয়াডে রইলেন। ঈশান কিষান মুম্বইয়ের হয়ে একাধিকবার ওপেন করেছেন। উইকেটকিপিংয়ের দক্ষতা ঈশানকে এগিয়ে দিয়েছে শিখর ধাওয়ানের থেকে। এছাড়াও বিরাট কোহলিও আরসিবির জার্সিতে ওপেন করেছেন অতীতে। তবে ক্রিকেট মহলের ধারণা ঈশান কিষানকে দলে জায়গা দিতেই বাদ দিতে হয়েছে শিখর ধাওয়ানকে।
ধাওয়ানের বিরুদ্ধে সমালোচনা:
টি-২০ ফরম্যাটে ধাওয়ান অচল আধুলি। এমনটাই অনেকে বলছেন। ধাওয়ান এমনিতে স্লো স্টার্টার। ধীর গতিতে ইনিংসের সূচনা করে। পরে রানের গতি বাড়ান। ঘটনা হল, ওয়ানডেতে এই ফর্মুলা কাজে এলেও, টি-২০'তে তা মোটেও কার্যকরী নয়।
নিজের বিরুদ্ধে এই অভিযোগ ছাড়াতে সচেষ্ট ছিলেন ধাওয়ান নিজেও। গত চার মরশুম ধরেই স্ট্রাইক রেট বাড়াতে উদ্যোগী হয়েছিলেন তিনি। ১৩৪ প্লাস স্ট্রাইক রেট নিয়ে ব্যাটিং করছিলেন। গত আইপিএলে ধাওয়ানের স্ট্রাইক রেট ছিল ১৪৪.৭৩। ২০১৮-র আগে যে পরিসংখ্যান রীতিমত আলাদা ছিল। ২০১৬-য় ধাওয়ানের স্ট্রাইক রেট ছিল ১১৬। গত দুই মরশুমে ধাওয়ান ব্যাট হাতেও ধারাবাহিক ছিলেন- ৫৪ এবং ৪৪। তবে এই অঙ্কও রোহিত-রাহুলকে ছাপিয়ে যাওয়ার পক্ষে যথেষ্ট ছিল না।
আরও পড়ুন: সিরিজ বাঁচানোর যুদ্ধেই নেই ইংল্যান্ডের সেরা তারকা! মস্ত সুযোগ কোহলিদের সামনে
ধাওয়ানের টি-২০ কেরিয়ার কি শেষ?
সম্ভবত। জাতীয় দলে একমাত্র ওয়ানডে স্পেশ্যালিস্ট হিসাবে খেলবেন তিনি। তবে সেখানেও প্রবল প্রতিদ্বন্দ্বিতার মুখে পড়তে পারেন তিনি। রোহিত-রাহুলের মত নিয়মিত ওপেনাররা ব্যর্থ হলে নির্বাচকরা দেবদূত পাডিক্কলের মত তরুণদের খেলাতে পারেন। তবে দিল্লি ক্যাপিটালস সতীর্থের কাছেই অনুপ্রেরণা পেতে পারেন ধাওয়ান। রবিচন্দ্রন অশ্বিন, যিনি টি২০ স্কোয়াডে ঢুকলেন ৪ বছর পরে।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন