পুরো ২০ ওভারও কিপিং করতে পারলেন না। তার আগেই যন্ত্রণায় কাতরাতে কাতরাতে মাঠ ছাড়তে হল দীনেশ কার্তিককে। তাই দক্ষিণ আফ্রিকান ইনিংসের শেষ পাঁচ ওভারে উইকেটকিপারের ভূমিকায় দেখা গেল ঋষভ পন্থকে। যিনি চলতি বিশ্বকাপে প্ৰথমবার মাঠে নামলেন, তাও আবার পরিবর্ত হিসাবে।
পারথের কনকনে ঠান্ডা আবহাওয়ায় ভারতীয় ইনিংসে সারাক্ষণই পন্থকে দেখা গিয়েছিল তোয়ালে জড়িয়ে ডাগ-আউটে বসে থাকতে। তবে জড়তা ঝেড়ে ফেলে তাঁকে ভারতের ফিল্ডার হিসাবে শেষমেশ নামতে হল। মুখে হাসি নিয়ে সেই দায়িত্ব পালনও করলেন সুপারস্টার।
আরও পড়ুন: ভারতের হারে বুক শুকিয়ে গেল পাকিস্তানের! এখনই কি দেশে ফেরার টিকিট কাটতে হবে বাবরদের
কার্তিক ব্যাট হাতে পারথে সেভাবে প্রভাব ফেলতে পারেননি। মাত্র ৬ রান করে আউট হয়ে যান বড় শট হাঁকাতে গিয়ে। তেম্বা বাভুমার শটে আহত হয়ে যন্ত্রণাক্লিষ্ট অবস্থায় মাঠ ছাড়েন কার্তিক। ডাগ-আউটে ফেরার সময়েই তাঁর চোখে-মুখে অভিব্যক্তিতেই স্পষ্ট চোটের অভিঘাত। চোট কতটা গুরুতর, তা এখনই জানা যায়নি। তবে টিম ম্যানেজমেন্ট নিশ্চয় আশা করবে পরের ম্যাচে পুরো ফিট হয়ে মাঠে নামুন বর্ষীয়ান তারকা। নাহলে শিকে ছিঁড়বে ঋষভ পন্থের।
যাইহোক, বাউন্সি পিচে দক্ষিণ আফ্রিকান পেস ব্যাটারির সামনে ভারত স্কোরবোর্ডে মাত্র ১৩৩ তুলেছিল রবিবার। সূর্যকুমার যাদব ৬৮ না করলে ভারত একশো পেরোতে পারত কিনা, সন্দেহ ছিল। সেই রান তাড়া করতে নেমে আর্শদীপ-শামিরাও ঝটকা দিয়েছিল। তবে দক্ষিণ আফ্রিকাকে বিপদ থেকে বের করে আনে ডেভিড মিলার-আইডেন মারক্রামের ৭৬ রানের জুটি। দুজনেই হাফসেঞ্চুরি করে যান। দক্ষিণ আফ্রিকা দু-বল বাকি থাকতে লক্ষ্যে পৌঁছে যায়।