ফের একবার সমালোচনায় দগ্ধ কেএল রাহুল। বিশ্বকাপে টানা তিন ম্যাচে ব্যাট হাতে রানের দেখা পেলেন না। পাকিস্তান, নেদারল্যান্ডসের পর এবার কেএল রাহুল ফের একবার ব্যাট হাতে ব্যর্থ দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে। ১৪ বলে ৯ রান করে পার্থের গতিময় পিচে সাততাড়াতাড়ি বাড়ি ফিরলেন।
রোহিতের সঙ্গে ওপেন করতে নেমে রানের খাতা খুলতেই লাগিয়ে দেন সাত বল। কাগিসো রাবাদার বলে ছক্কা হাঁকিয়ে নিজের ইনিংসের রানের দেখা পান। তবে অপটাস স্টেডিয়ামে রাহুলের ইনিংসে বলার মত বিষয় শুধু এটুকুই। অতি-রক্ষণশীল ব্যাটিং, আল্ট্রা ডিফেন্সিভ ব্যাটিংয়ে দলকে ডুবিয়ে মাঠ ছাড়তে হল কিছুক্ষণ পরেই।
আরও পড়ুন: নেদারল্যান্ডসকে গুঁড়িয়ে দিল পাকিস্তান! বেঁচে থাকল সেমিফাইনাল আশা
স্ট্রাইক রোটেট না করতে পেরে ক্রমাগত চাপ বাড়িয়ে চলেছিলেন সঙ্গী রোহিতের ওপর। তাব্রিজ শামসির জায়গায় দক্ষিণ আফ্রিকান দলে ঢোকা লুঙ্গি এনগিদির বিষাক্ত বাউন্সার সামলাতে না পেরে স্লিপে ক্যাচ তুলে বিদায় নেন রাহুল।
পারথের গতিময় পিচে বাউন্সে পরাস্ত হতেই মাঠেই নিজের ওপর হতাশ হয়ে পড়েন তারকা। আউট হওয়ার পরে হতাশায় মাথা ঝাঁকাতে ঝাঁকাতে প্যাভিলিয়নের পথে হাঁটা লাগান তিনি। মাঠে ব্যাট আছড়াতেও দেখা যায় তাঁকে।
টসে জিতে রোহিত শর্মা পারথের স্টেডিয়ামে প্ৰথমে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন। আর বাউন্সি পারথের পিচে স্রেফ গুঁড়িয়ে গেল ভারতের হেভিওয়েট ব্যাটিং। লুঙ্গি এনগিদি ভারতীয় ব্যাটসম্যানদের নেমেসিস হিসেবে আবির্ভূত হন রবিবার।পঞ্চম ওভারে বোলিং করতে এসেই দুই ওপেনারকে ফেরত পাঠান লুঙ্গি এনগিদি। প্ৰথমে ক্যাপ্টেন রোহিত শর্মা তারকা পেসারের হাতেই ক্যাচ তিলে5 বিদায় নেন। সেই ওভারেই এক্সট্রা বাউন্সে রাহুলকে স্লিপে ক্যাচ তুলতে বাধ্য করেন। নিজের পরের ওভারে এসেই এনগিদির শিকার হয়ে বাড়ি ফেরেন কোহলিও। তৃতীয় ওভারে হার্দিক পান্ডিয়াকেও আউট করে করে যান। এনগিদির শর্ট বল পুল করতে গিয়েছিলেন হার্দিক। ডিপ মিড উইকেটে দুরন্ত ক্যাচ ধরেন রাবাদা।
আরও পড়ুন: হারতে হারতে কোনওরকমে রক্ষা বাংলাদেশের, বাগে পেয়েও শেষ বলের থ্রিলারে হারল জিম্বাবোয়ে
অক্ষর প্যাটেলের জায়গায় ভারতীয় একাদশে ঢোকা দীপক হুডা সুবিধা করতে পারেননি। নর্জে পেসে পরাস্ত হয়ে উইকেটকিপার কুইন্টন ডিককের হাতে ক্যাচ তুলে আউট হয়ে যান হুডা। ৪৯/৫ হয়ে গিয়ে ঠিক যে সময় মনে হচ্ছিল ভারতীয় ইনিংস হুড়মুড়িয়ে ভেঙে পড়বে সেখান থেকেই খেলার হাল ধরে নেন সূর্যকুমার যাদব। বাউন্স সামলাতে যেখানে ভারতের গোটা টপঅর্ডার ধসে গিয়েছিল, সেখানেই স্ট্রোকের আতসবাজি জ্বালিয়ে খেলে গেলেন স্কাই। ১৯ তম ওভারে আউট হওয়ার আগে সূর্যকুমার ৪০ বলে ৬৮ করে যান। ষষ্ঠ উইকেটে কার্তিকের (৬) সঙ্গে হাফসেঞ্চুরি পার্টনারশিপের প্রায় পুরো রানই এল সূর্যকুমারের ব্যাট থেকে। সূর্যকুমারের ব্যাটে ভর করেই ভারত শেষ পর্যন্ত স্কোরবোর্ডে ১৩০/৯ তুলতে সক্ষম হয়েছে।