চলতি বিশ্বকাপে ভারতের টপ অর্ডার শোচনীয়ভাবে ব্যর্থ হয়েছে। গ্রুপ পর্বে ভারতের টপ অর্ডার বারবার ব্যর্থ হলেও নকআউটের জন্য উপযুক্ত বিকল্প ভেবে রাখা হয়নি। আর ভারতের টপ অর্ডারের ব্যর্থতায় বারবার উঠে এসেছে দুই ওপেনার কেএল রাহুল, রোহিত শর্মার নাম।
দুজনে নিয়মিতভাবে পাওয়ার প্লের ফায়দা নিতে ব্যর্থ হয়েছেন। ইংল্যান্ডের হাতে শোচনীয় পরাজয়ের দিনে ভারত পাওয়ার প্লে-তে তুলেছিল ৩৪ রান। শেষদিকে ঝড় তুলে হার্দিক পান্ডিয়া ৩৩ বলে ৬৩ না করলে ভারত কতদূর টানতে পারত, তা নিয়ে ঘোরতর সংশয় রয়েছে।
আরও পড়ুন: ১০.৭৫ কোটির তারকা অলরাউন্ডার KKR-এ! দেশের সেরা তারকাকে নিয়ে বাজার মাতাল নাইটরা
শুধু ইংল্যান্ড ম্যাচেই নয়, গ্রুপ পর্বের প্রত্যেক ম্যাচেই ভারতীয় টপ অর্ডার পাওয়ার প্লে-র ওভারে খাপ খুলতে পারেনি। পরিসংখ্যান বলছে, কেএল রাহুল (১২০.৭৫ স্ট্রাইক রেট), রোহিত শর্মা (১০৬.৪২ স্ট্রাইক রেট) এবং এমনকি কোহলিও (১৩৬.৪০) পাওয়ার প্লে-র ওভারে টেস্ট ঘরানার ব্যাটিং চালিয়ে গিয়েছেন। পারথে পেস সহায়ক উইকেটে ভারত পাওয়ার প্লে-তে তুলেছিল ৩৩/২। মেলবোর্নে ভারত-পাকিস্তান ম্যাচে ভারতের প্ৰথম ছয় ওভারে স্কোরবোর্ডে উঠেছিল মাত্র ৩১/৩। এডিলেড ওভালের ব্যাটিং পিচে রোহিত-রাহুল-কোহলিরা তুলতে পেরেছিলেন মাত্র ৩৮/১।
আর পাওয়ার প্লে-তে ভারতের বারবার ধসে পড়াতেই নির্ধারিত হয়ে গিয়েছে টিম ইন্ডিয়ার ভাগ্য। এমনটাই মনে করছে ক্রিকেট মহল। ঘটনা হল, স্রেফ ক্রিকেট মহলের ক্ষোভের মুখেই পড়েননি ভারতের টপ অর্ডারের টপ থ্রি। স্পোর্টস তক-এর প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ভারতের এক সিনিয়র তারকা যিনি মিডল অর্ডারে ব্যাট করেন বারবার রোহিত-রাহুলদের স্লো ব্যাটিংয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন। সেই প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, "টিম ইন্ডিয়ার মিডল অর্ডারের এক তারকা বারবার টপ অর্ডারের ব্যাটসম্যানদের কাছে অনুযোগ করেছেন, তোমরা শুরুতে ভীষণ মন্থর ব্যাটিং করছ। এতে মাঝের ওভারে ভয়ঙ্কর চাপ চলে আসছে মিডল অর্ডারের ওপর। আর কতবার আমরা দলকে বাঁচাব?"
আরও পড়ুন: KKR ছেড়ে দিলেন মারকুটে বিদেশি! বড় ঝটকায় নিলামের আগেই কেঁপে গেল নাইট শিবির
স্পোর্টস তক-এ এই সিনিয়র তারকার নাম জানানো না হলেও নেটিজেনদের ধারণা ইনি হার্দিক পান্ডিয়া। যাঁকে ইতিমধ্যেই টি২০ ফরম্যাটে ক্যাপ্টেন করার দাবি উঠে গিয়েছে।
ভারতের এই পাওয়ার প্লে-তে শ্লথ গতিতে ব্যাটিং অবাক করেছে ক্রিকেট মহলকে। বিশেষজ্ঞ নাসের হুসেন তো বলেই দিয়েছেন পুরোনো ঘরানার ব্যাটিং করছে টিম ইন্ডিয়া। একই অভিযোগে সরব হয়েছেন গাভাসকার-ও। তিনি আবার বিষ্ফোরকভাবে জানিয়ে দিয়েছেন, টি২০ বিশ্বকাপের পর জাতীয় দলের একাধিক সিনিয়র তারকা অবসর নিলে অবাক হওয়ার কিছু থাকবে না।