লজ্জাজনক পারফরম্যান্স করে বিশ্বকাপের সেমিফাইনাল থেকে ছিটকে গিয়েছে টিম ইন্ডিয়া। পরের বছরেই ওয়ানডে বিশ্বকাপ। দেশের মাটিতে। তবে সূত্রের খবর, ভারতীয় দলকে খোলনলচে বদলে ফেলা হবে ক্রিকেটের সংক্ষিপ্ত ফরম্যাটে। ইংল্যান্ড, অস্ট্রেলিয়ার মত টি২০ স্পেশ্যালিস্টদেরই প্রাধান্য দেওয়া হবে নির্বাচনের ক্ষেত্রে। দীনেশ কার্তিক এবং রবিচন্দ্রন অশ্বিনের আন্তর্জাতিক টি২০'তে শেষ ম্যাচ খেলে ফেলেছেন। এমনটাই ইঙ্গিত। আর বিরাট কোহলি, রোহিত শর্মা নিজেরাই নিজেদের ভবিষৎ নিয়ে সিদ্ধান্ত নেবেন।
সংবাদসংস্থাকে বোর্ডের এক সূত্র জানাচ্ছেন, "বোর্ড কখনও কাউকে অবসর নেওয়ার কথা বলেনা।সামনে খুব কম সংখ্যক টি২০ ম্যাচ রয়েছে। সিনিয়ররা টেস্ট এবং ওয়ানডেতে ফোকাস করবেন। ঘটনা হল, সরাসরি অধিকাংশ সিনিয়র তারকারা হয়ত অবসর ঘোষণা করল না, তবে টি২০'তে খুব কম জনকেই খেলতে দেখা যাবে আগামীতে।"
আরও পড়ুন: টিম ইন্ডিয়ার হেড কোচ হচ্ছেন লক্ষ্মণ! বিশ্বকাপ-ব্যর্থতার মধ্যেই বড় ঘোষণার পথে বোর্ড
আগামী বছরেই দেশের মাটিতে ওয়ানডে বিশ্বকাপ। সেই বিশ্বকাপে ফোকাস করে আপাতত টি২০ ব্যাকসিটে চলে যাচ্ছে। ক্যালেন্ডার-বর্ষ অনুযায়ী, ভারত মাত্র ১২টা টি২০ খেলবে। যা শুরু হচ্ছে নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে তিন ম্যাচের টি২০ সিরিজ খেলার মাধ্যমে।
আরও পড়ুন: ব্যর্থতার ধাক্কায় অবসরের পথে ভারতের একের পর এক তারকা! মারাত্মক ভবিষৎবাণী গাভাসকারের
ভারতের বিশ্বকাপ স্কোয়াড নির্বাচনে প্রাধান্য দেওয়া হয়েছিল অভিজ্ঞতাকে। সেই কারণে ওয়াশিংটন সুন্দর, রবি বিশ্নোই, সঞ্জু স্যামসন, শ্রেয়স আইয়ার, পৃথ্বী শ, শুভমান গিল, ঈশান কিষানদের বাইরে রেখে রবিচন্দ্রন অশ্বিন, দীনেশ কার্তিকদের স্কোয়াডে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছিল। তবে গোটা টুর্নামেন্টেই অশ্বিন কার্যত কোনও প্রভাব ফেলতে পারেননি। ব্যাটসম্যানদের কাছে রহস্য হিসাবে কখনই আবির্ভূত হননি। একইভাবে স্বল্পকালীন ভিত্তিতে ফিনিশারের ভূমিকায় খেলানো হচ্ছিল দীনেশ কার্তিককে। বলা হচ্ছে, কার্তিক, অশ্বিনকে বিশ্বকাপের পর পুরোপুরি ছেঁটে ফেলা হবে। বারবার ব্রাত্য থাকা পৃথ্বী শ, শুভমান গিল, ওয়াশিংটন সুন্দরদের দীর্ঘকালীন ভিত্তিতে খেলানো হবে।
আরও পড়ুন: বোলিংয়ের জন্যই ভরাডুবি! লজ্জার হারের পরেই ভুবি-শামিদের দিকে বিষ্ফোরক আঙুল রোহিতের
বিরাট কোহলি এবং রোহিত শর্মাদের উপরেই দায়িত্ব চেয়ে দেওয়া হবে নিজেদের ভবিষ্যৎ নির্ধারণ করার জন্য। তবে বোর্ডের কাছে চ্যালেঞ্জিং হতে চলেছে কেএল রাহুলকে নিয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া। বারবার সুযোগ পেয়েও আইসিসি টুর্নামেন্টে ডাহা ব্যর্থ তিনি। ওপেনার হিসাবে তাঁর ব্যর্থতা গোটা টুর্নামেন্টেই দলকে ভুগিয়েছে ভারতকে। বোলারদের মেডেন ওভার উপহার দেওয়ার মত 'অপরাধ' করেছেন। স্ট্রাইক রেট আরও জঘন্য- ১২০.৭৫। বড় দলের বিরুদ্ধে একবারও দুই অঙ্কের রান করতে পারেননি। সবমিলিয়ে ছাঁটাইয়ের খাড়া নেমে আসতে পারে তাঁর ওপরেও।