ICC BCCI slammed for low turn out in World Cup: বিশ্বকাপের প্রথম ম্যাচেই দুর্ধর্ষ জয় ছিনিয়ে নিয়েছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। কানাডাকে জয়ের প্রায় দোরগোড়া থেকে ছিটকে দিয়েছে আরন জোন্স-এর দুর্ধর্ষ ছক্কার ঢেউ। ডালাসের গ্র্যান্ড প্রেইরি স্টেডিয়ামে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে বিশ্বকাপের প্রথম ম্যাচে যথেষ্ট ভালো দর্শক হয়েছিল।
তবে অন্য চিত্র ওয়েস্ট ইন্ডিজে। গায়ানায় ন্যাশনাল প্রভিডেন্স স্টেডিয়ামে উইন্ডিজ বনাম পিএনজি ম্যাচে অপেক্ষা করল খাঁ খাঁ গ্যালারি। কোনও দর্শকের দেখা মিলল না। তা দেখেই আইসিসি এবং বিসিসিআইকে একহাত নিয়েছেন ক্রিকেট সমর্থকরা।
ভারতের ওয়ার্ম আপ ম্যাচে নাসাউ ক্রিকেট স্টেডিয়ামে ভালো দর্শক সমাগম হয়েছিল। তবে ঘরের মাঠে খেলতে নেমে দুবারের টি২০ ওয়ার্ল্ড কাপ জয়ী দলই দর্শকের সমর্থন থেকে বঞ্চিত হল।
আরও পড়ুন: হারতে হারতে কোনওরকমে জয় উইন্ডিজের! বিশ্বকাপের প্ৰথম অঘটন রুখে দিলেন সেই কেকেআরের রাসেল
বিশ্বকাপ-বিমুখ হওয়া দর্শকদের জন্যই আইসিসির সোশ্যাল মিডিয়ায় ক্ষোভের মুখে পড়ল। অনেকেই টিকিটের বেশি দামকে দর্শক কম আসার সম্ভাব্য কারণ হিসেবে ধরেছেন। অনেকে আবার বিসিসিআইকেও একহাত নিয়েছেন।
বলা হচ্ছে, ভারতীয় টিভি দর্শকদের কথা ভেবেই উদ্ভট উদ্ভট সময়ে ম্যাচ আয়োজন করা হচ্ছে। এতেই স্থানীয় দর্শকরা মুখ ফিরিয়ে নিয়েছেন। বলা হয়েছে, বিসিসিআই নিজেদের স্বার্থে আইসিসিকে ম্যানুপুলেট করলে ক্রিকেটের আন্তর্জাতিক প্রসার কোনওভাবেই সম্ভব নয়। অনেকে বলছেন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে ক্রিকেট প্রচারের আগে ওয়েস্ট ইন্ডিজে এই খেলার বাঁচিয়ে রাখা হোক। অনেকে আবার ২০০৭-এ ফিরে গিয়েছেন। বলা হচ্ছে, ২০০৭-এ বিশ্বকাপ আয়োজনে চূড়ান্ত ব্যর্থ হয়েছিল ওয়েস্ট ইন্ডিজ। সেই দৃশ্যই আবার ফিরে আসতে চলেছে।
যাইহোক, গায়ানায় প্রভিডেন্স স্টেডিয়ামে কোনওরকমে হারতে হারতে বাঁচল ওয়েস্ট ইন্ডিজ। প্রথম ম্যাচেই ক্যারিবিয়ানরা পাঁচ উইকেটে জয়লাভ করল পাপুয়া নিউগিনির বিপক্ষে।
মাত্র ১৩৭ রানের টার্গেট চেজ করতে নেমে ওয়েস্ট ইন্ডিজের টপ অর্ডার শেষ হয়ে গিয়েছিল। এরপরে দলকে কোনওরকমে জয়ের লক্ষ্যে পৌঁছে দেন কেকেআরের রাসেল এবং রস্টন চেজ।
প্রথমে ব্যাট করতে নেমে পাপুয়া নিউগিনি পিচের গতির সঙ্গে খাপ খাওয়াতে সমস্যায় পড়েছিল। তারপর সেসে বাউয়ের হাফসেঞ্চুরি পিএনজিকে কোনওরকমে একশো রানের গন্ডি পেরোতে সাহায্য করে। শেষদিকে উইকেটকিপার কিপলিন দরিগার ১৮ বলে ২৭ রানের ক্যামিও দলকে ভদ্রস্থ স্কোরে পৌঁছে দেয়।
ম্যাচে হালকা বৃষ্টিতে সামান্য বিরতি নিতে হয়। রান চেজ করার সময় ওপেনার জনসন চার্লস প্ৰথম বলেই শূন্য রানে আউট হয়ে ফিরে যান। নিকোলাস পুরানও ব্যাটে-বলে সংযোগ করতে ব্যর্থ হচ্ছিলেন।
ব্রেন্ডন কিং বেশ কিছু ডট বল খেলেন। তবে সাতটা বাউন্ডারি হাঁকিয়ে সেই ডট বল খেলা পুষিয়ে দেন তিনি। ইনিংসের মাঝামাঝি আঘাত হানে পিএনজি। ওয়েস্ট ইন্ডিজ সেই সময় ৬৩/৩ ছিল।
চার নম্বরে ব্যাট করতে নেমে রস্টন চেজ একপ্রান্ত আগলে ছিলেন। এরপরে হঠাৎ করেই আরও দুই উইকেট হারিয়ে ধসে পড়ার উপক্রম হয় উইন্ডিজের। অধিনায়ক রভম্যান পাওয়েলও ফিরে যান। ১৬ ওভার শেষে ৯৭/৫ হয়ে যাওয়া ওয়েস্ট ইন্ডিজ-ই সেই সময় ব্যাকফুটে ছিল। ষষ্ঠ উইকেটে চেজ-রাসলের ৩৯ রানের পার্টনারশিপে কোনওরকমে এক ওভার বাকি থাকতে লক্ষ্যে পৌঁছয় ওয়েস্ট ইন্ডিজ। চেজ শেষ পর্যন্ত ২৭ বলে ৪২ করেন। রাসেল অপরাজিত থাকেন ৯ বলে ১৫ করে।