Ravindra Jadeja' batting a concern for Team India: ভারত যদি এবারের টি-২০ বিশ্বকাপের কোনও পর্যায়ে দলের সেরা স্পিনার কুলদীপ যাদবকে খেলাতে চায়, তবে রবীন্দ্র জাদেজাকেই বাদ পড়তে হতে পারে। কারণ, অক্ষর প্যাটেল ভালো খেলছেন। পাকিস্তানের বিরুদ্ধে চার নম্বরে নেমেছিলেন। টি-২০ তে অক্ষরের বোলিং পরিসংখ্যানও জাদেজার চেয়ে ভালো। আর, কুলদীপ যে জাদেজার চেয়ে ভালো স্ট্রাইক বোলার, তাতেও কোনও সন্দেহ নেই।
টি-২০ স্কোয়াডে থাকাকালীন ভারত দলই হোক বা চেন্নাই সুপার কিংস, জাদেজা সবসময় প্রথম একাদশেই থেকেছেন। তাতে দল লাভবানও হয়েছে। কিন্তু, বিশ্বকাপের পরবর্তী অধ্যায়ের ম্যাচ যখন ওয়েস্ট ইন্ডিজে হবে, তবে আরও ভালো উইকেটশিকারী বোলার দলে নেওয়ার দরকার হলে টিম ইন্ডিয়াকে অবশ্যই কুলদীপ যাদবকে বাছতে হবে। বুধবার ভারতের ম্যাচ অন্যতম আয়োজক মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বিরুদ্ধে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রও ইতিমধ্যে পাকিস্তানকে হারিয়েছে। এই ম্যাচে ভারত, কুলদীপকে নামিয়ে দেখতে পারে। তবে, অতীত বলছে যখনই চাপ এসেছে, জাদেজা রীতিমতো জ্বলে উঠেছেন। এই পরিস্থিতিতে তাঁকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বিরুদ্ধে সুযোগ দেওয়া হলেও জাদেজা ভালো কিছু করে দেখাতে পারেন।
তবে ভারত এখন টুর্নামেন্টে এগিয়ে যাচ্ছে। এই সময়ই টিম ইন্ডিয়াকে তাদের সেরা প্রথম একাদশ বেছে নিতে হবে। নিউইয়র্কে এখনও পর্যন্ত ভারত যে দুটি ম্যাচ খেলেছে, তাতে সেরা একাদশ বেছে নেওয়া কঠিন। দুটি ম্যাচেই টিম ইন্ডিয়া জয় পেয়েছে। বুধবার মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বিরুদ্ধে জয় পেলেই সুপার ৮-এ ভারতের ওঠা নিশ্চিত। কুলদীপ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বিরুদ্ধে জয় নিশ্চিত করার ব্যাপারে ভারতের সেরা বাজি হতে পারে। কারণ, মার্কিন ব্যাটাররা চায়নাম্যান বোলারদের খেলতে অভ্যস্ত নন।
বর্তমানে টিম ইন্ডিয়া ওপেনিংয়ে রোহিত শর্মা এবং বিরাট কোহলি জুটি সাফল্য পাবে, এই আশায় আছে। এই পরিস্থিতিতে মিডল এবং লোয়ার অর্ডার ব্যাট হাতে ভারতের লাইফলাইন। কিন্তু, টি-২০ ব্যাটার হিসেবে মিডল এবং লোয়ার অর্ডারে জাদেজার পারফরম্যান্স আহামরি নয়। জাদেজা এমন পাওয়ার-হিটার নন যে দল তাঁকে নীচে খেলাবে। তিনি আসলে একজন পেস-হিটার। এই পরিস্থিতিতে ফাস্ট বোলাররা পিচের গতিপ্রকৃতি ব্যবহার করলে জাদেজা বিপাকে পড়বেন। অতীতে তেমনটাই দেখা গেছে।
মিডল অর্ডারেও জাদেজা খাপ খাওয়াতে পারবেন না। কারণ, প্রতিপক্ষ তাঁকে স্পিন দিয়েই আটকে রাখবে। চলতি মরসুমে, সিএসকে (CSK) জাদেজাকে চার নম্বরে ব্যবহার করার চেষ্টা করেছিল। কারণ, প্রথমদিকের উইকেটগুলো পরপর পড়ছিল। কিন্তু, সেই জাদেজাকে নিয়ে সেই পরীক্ষাও চেন্নাই বেশিদিন চালায়নি। কারণ, স্পিনাররা এসেই জাদেজাকে বারবার আটকে দিয়েছেন। মিডল ওভারে (৭ ওভার-১৬ ওভার) জাদেজার স্ট্রাইক-রেট সব টি-২০ টুর্নামেন্টেই ১০৯.৬৮।
বছর দুয়েক আগে তাঁর শেষ ওভারে দুর্দান্ত ব্যাটিং সিএসকের ঘরে আইপিএল তুলে দিয়েছিল। কিন্তু, এখন পরিস্থিতি একদম আলাদা। টি-২০ টুর্নামেন্টে জাদেজার তেমন রান নেই। তাঁর ফর্ম বর্তমানে বেশ খারাপ। আইপিএলে ডেথ ওভারে (১৭ ওভার- ২০ ওভার) এমএস ধোনি, কাইরন পোলার্ড, দীনেশ কার্তিক ও এবি ডিভিলিয়ার্সের রানও জাদেজার চেয়ে বেশি। এমনকী রোহিত, কোহলিদের রানও জাদেজার চেয়ে বেশি। আর, এই সব কারণে চেন্নাই সুপার কিংস তার ৯০ শতাংশের বেশি ম্যাচে জাদেজাকে ব্যাট করতে নামিয়েছে ৫ নম্বর বা তার নীচে।
এই পারফরম্যান্স দেখেই সিএসকের ব্যাটিং কোচ মাইক হাসি আইপিএল চলাকালীন জাদেজা সম্পর্কে বলেছিলেন, 'ওর প্রধান শক্তি হল বলকে ফাঁকা জায়গায় পাঠানো। উইকেটের মধ্যে নিজের গতিকে ব্যবহার করা। আক্রমণ করার জন্য সঠিক সময় এবং সঠিক বোলারকে বেছে নেওয়া। গত কয়েক বছরে জাদেজাকে পিছনদিকে নামানো হয়েছে। এমএস ধোনির সঙ্গে ব্যাটিং এন্ডে ব্যাট করেছে। এই বছর আমরা ওকে কয়েকবার ৪ নম্বরে নামতে বলেছি। সেটা পরিস্থিতি অনুযায়ী বলতে হয়েছে। কিন্তু, বারবার দেখা গেছে, জাদেজা পাওয়ার প্লে-তে প্রায় উইকেট ছুড়ে দিয়ে এসেছে। পার্টনারশিপ তৈরিরও সময় দেয়নি।'