বিরাট কোহলির নেতৃত্বে ভারতের যুব বিশ্বকাপজয়ী দলের তারকা ছিলেন। ২০০৮ এর সংস্করণে বিশ্বকাপের সর্বোচ্চ স্কোরারও ছিলেন তিনি। শনিবারেই মাত্র ৩০ বছর বয়সে অবসর নিয়ে ফেললেন উঠতি প্রতিভা হয়েই থেকে যাওয়া তন্ময় শ্রীবাস্তব।
মালয়েশিয়ায় ২০০৮ এর যুব বিশ্বকাপে ছয় ম্যাচে ৫২.৪০ গড়ে ২৬২ রান করেছিলেন। ফাইনালে দক্ষিণ আফ্রিকাকে লো স্কোরিং ম্যাচে ১২ রানে হারায় ভার্টেম। সেই ম্যাচেও দুই দলের মধ্যে সবথেকে বেশি রান করেন তন্ময়।
আরো পড়ুন: এটাই শেষ আইপিএল, সিএসকে ছিটকে যাওয়ার দিনেই ইঙ্গিত দিলেন ধোনি
আইপিএলেও অংশ নিয়েছেন তিনি। কিংস ইলেভেন পাঞ্জাবের জার্সিতে খেলেছিলেন। ২০০৮-০৯ মরশুমে রঞ্জি ট্রফিতে উত্তরপ্রদেশের সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক ছিলেন। গত মরসুমে উত্তরাখণ্ডে উন্মুক্ত চাঁদকে সরিয়ে তন্ময়কে ক্যাপ্টেন করা হয়। ৯০ প্রথম শ্রেণির ম্যাচে তন্ময় ৩৪.৩৯ গড়ে ৪৯১৮ রান করেছেন। ১০টি শতরান এবং ২৭টি ফিফটি সহ। লিস্ট-এ ক্রিকেটেও নিজের জাত চিনিয়েছেন। ৪৪ ম্যাচে ৪৪.৩০ গড়ে ১৭২৮ রান করেছেন। করেছেন সাতটা হান্ড্রেড এবং ১০টি ফিফটি।

অবসরের পর নিজের সোশ্যাল মিডিয়া একাউন্ট থেকে লম্বা পোস্ট করেছেন। সেখানেই তিনি জানিয়েছেন, ঘরোয়া ক্রিকে সহ সমস্ত ক্রিকেট থেকেই তিনি অবসর নিচ্ছেন। কেবলমাত্র খেলবেন তাঁর কোম্পানি ওএনজিসি-র হয়ে।
It’s time to bid adeu to my cricketing playing career! I’ve built memories, made friends, achieved the best I could in these years playing Junior Cricket, Ranji Trophy and most importantly being a good performer in U-19 World Cup,2008 and bringing the cup home with the team!! pic.twitter.com/gYCvPGNV5g
— Tanmay Srivastava (@srivastavtanmay) October 24, 2020
আবেগঘন পোস্টে তন্ময় বিশ্বকাপ জয়ের স্মৃতি রোমন্থন করেছেন, “১৩ বছর বয়সে অনুর্দ্ধ-১৫ জাতীয় দলের হয়ে প্রতিনিধিত্ব করি আমি। ২০০৮ সাল পুরোটাই ছিল বিশ্বকাপ জয়ের বছর। জাতীয় পতাকা হাতে নেওয়ার সেই মুহূর্ত এখনো আমাকে আবেগে ভাসিয়ে দেয়।”
বাবাই তাঁর আসল শিক্ষক জানিয়ে লিখেছেন, “শৈশবে বাবার হাত ধরে স্টেডিয়ামে যেতাম। অনেক সময় চোট পাওয়ার পর খেলতে পারতাম না। বাবা জীবনের শিক্ষা দিয়ে বলতেন, জীবনে এরকম অনেক মুহূর্ত আসবে যে সময় তুমি পড়ে যাবে। এর অর্থ দুর্বল হয়ে যাওয়া নয়। বরং ফিরে আসার জন্য মোটিভেট করবে এই বিষয়গুলো।”
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন