দক্ষিণ আফ্রিকা সিরিজ যেন আক্ষরিক অর্থেই নতুন। একে তো নতুন ক্রিকেটারদের যাচাই করে নেওয়া মঞ্চ হয়ে থাকছে প্রোটিয়াজদের বিরুদ্ধে আসন্ন সিরিজ। পাশাপাশি টি টোয়েন্টি বিশ্বকাপের কথা মাথায় রেখে কোহলিরা নামছেন রবিবারের ধর্মশালায়। বিশ্বকাপ টি২০-র প্রস্তুতিও এদিন থেকে শুরু করে দিতে চাইছে টিম ইন্ডিয়া।
এর মধ্যেই নতুনভাবে আত্মপ্রকাশ করল ভারতীয় ক্রিকেট দলের জার্সি। মাস দুয়েক আগেই জানিয়ে দেওয়া হয়েছিল জাতীয় দলের স্পনসরশিপ থেকে সরছে চিনা মোবাইল সংস্থা ওপো। তার পরিবর্তে ভারতের নতুন স্পনসর হতে চলেছে বেঙ্গালুরুর এডুকেশনাল অ্যান্ড অনলাইন টিউটোরিং ফার্ম বাইজু।
বাইজু-র লোগো সম্বলিত টিম ইন্ডিয়ার নয়া জার্সিই এবার প্রকাশ্যে এল শনিবার। দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে প্রথম টি টোয়েন্টি ম্যাচের আগে সাংবাদিক সম্মেলনে কোহলি, রোহিত শর্মা এবং বিরাট কোহলি এই জার্সি উন্মোচন করেন। নীল জার্সির ঠিক মাঝামাঝি বাইজুর লোগো বসানো হয়েছে। বৃষ্টির কারণে ধর্মশালার মাঠ ভিজে। তাই ক্রিকেটাররা ইন্ডোরে অনুশীলন করছিলেন। অনুশীলনেও নভদীপ সাইনি, শিখর ধাওয়ানদের দেখা গেল নতুন ডিজাইনের জার্সিতে। ধর্মশালাতেই প্রথমবার এই জার্সি পরে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে প্রথমবার খেলতে নামবেন কোহলিরা।
প্রসঙ্গত, পাঁচ বছর ধরে ভারতীয় ক্রিকেটকে স্পনসর করার জন্য় ওপো-কে ঢালতে হয়েছিল ১০৭৯ কোটি টাকা। সেই সময় প্রধান স্পনসর হওয়ার দৌড়ে ছিল আইপিএলের টাইটেল স্পনসর ভিভো-ও। যদিও বিডিংয়ে ৭৬৮ কোটি-র বেশি উঠতে পারেনি ভিভো। জানা গিয়েছে, ভারতীয় বোর্ড নয়, স্পনসর সংস্থা ওপো-ই সরে দাঁড়াচ্ছে ভারতীয় ক্রিকেট থেকে। সর্বভারতীয় প্রচারমাধ্যমের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ওপো-র নিজস্ব আর্থিক নীতি অনুযায়ী, ভারতীয় ক্রিকেটকে স্পনসর করা তাঁদের পক্ষে ব্যয়বহুল হয়ে পড়েছিল। ওপো যে পরিমাণ অর্থ ভারতীয় ক্রিকেটে বিনিয়োগ করেছিল, সেই পরিমাণ অর্থই ঢালবে বাইজু। বেঙ্গালুরুর সংস্থাটির সঙ্গে কোহলিদের চুক্তি হল ২০২২ সাল পর্যন্ত। এই সময়কালে ওপো-র নির্ধারিত অর্থই দেবে বাইজু। তাই ক্ষতির মুখ থেকে বাঁচল ভারতীয় ক্রিকেট।
দ্বিপাক্ষিক সিরিজের একটি ম্যাচের জন্য ওপো বোর্ডকে দিত ৪.৬১ কোটি টাকা। আইসিসি-র ইভেন্টের প্রতিটি ম্যাচের জন্য বোর্ড পেত ১.৫৬ কোটি টাকা। তার আগে স্টার ইন্ডিয়ার তরফে ভারত দ্বিপাক্ষিক ও আইসিসি ইভেন্টের প্রতিটি ম্যাচের জন্য পেত যথাক্রমে ১.৯২ কোটি এবং ৬১ লক্ষ টাকা।
নতুন স্পনসরের জার্সি গায়ে চাপিয়ে ভারতীয় ক্রিকেটাররা ফের সাফল্যের শীর্ষে উঠতে পারে কিনা, সেটাই দেখার।
Read the full article in ENGLISH