একাধিক সংবাদ মাধ্যম কয়েন টসের প্রাসঙ্গিকতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিল
টেস্ট ক্রিকেটে টস থাকছেই। টস তুলে দেওয়ার প্রস্তাবকে নাকচ করে দিল অনিল কুম্বলের নেতৃত্বাধীন আইসিসি ক্রিকেটে কমিটি। এর ফলে আগামী বছর জুন মাসে শুরু হওয়া টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপে থাকবে কয়েন টসের প্রথা। মুম্বইয়ে অনুষ্ঠিত গত দুদিন-ব্যাপী ক্রিকেট কমিটির বৈঠকে এমনটাই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
টেস্ট ক্রিকেট থেকে টস তুলে দেওয়ার কথাই ভাবছিল আইসিসি, ক্রিকেটের সর্বোচ্চ নিয়ামক সংস্থা। ১৮৭৭-এ ইংল্যান্ড-অস্ট্রেলিয়ার মধ্যে প্রথম টেস্ট ম্যাচ অনুষ্ঠিত হয়েছিল। তখন থেকেই ক্রিকেট মানচিত্রে জায়গা করে নিয়েছিল কয়েন টস। প্রায় দেড়শো বছরের এই প্রাচীন প্রথাকে অবলুপ্তির পথে পাঠানোর কথাই ভাবছিল আইসিসি। বর্তমানে হোম টিম পিচ বানানোর সময়ে মারাত্মক প্রভাব খাটায়, ফলে তারা এমনিতেই এগিয়ে থাকে প্রতিপক্ষের তুলনায়। সেক্ষেত্রে সফররত দলকে ব্যাট বা বল করার সিদ্ধান্ত নেওয়ার স্বাধীনতা দেওয়া হোক বিনা টসেই। এমনটাই চাইছিলেন অনেকে।
আরও পড়ুন: ICC World XI: পাণ্ডিয়ার পরিবর্তে শামি, ক্যাপ্টেনসির ব্যাটন আফ্রিদির হাতে
একাধিক সংবাদ মাধ্যমও কয়েন টসের প্রাসঙ্গিকতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিল। সব মিলিয়ে আইসিসি-র কাছেও বিষয়টা মাথাব্যথার কারণ হয়ে দাঁড়ায়। আসন্ন টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপে ঘরের মাঠের সুবিধে কমাতেই টস তুলে দিতে চাইছিল আইসিসি। প্রতিটি প্যানেল সদস্যের কাছে এ ব্যাপারে চিঠিও পাঠানো হয়েছিল। যদিও শেষ পর্যন্ত টস রেখে দেওয়ার সিদ্ধান্তই নিয়েছে কুম্বলে অ্যান্ড কোং।
কুম্বলে ছাড়াও এই কমিটিতে অ্যন্ড্রু স্ট্রস, মাহেলা জয়বর্ধনে, রাহুল দ্রাবিড়, টিম মে, ডেভিড হোয়াইট, রিচার্ড কেটেলবোরো, রঞ্জন মদুগালে, শন পোলক ও ক্লেয়ার কনর। সবাই এই সিদ্ধান্তে উপনীত হন, যে টস ছাড়া টেস্ট সম্ভব নয়। এবার থেকে আইসিসি-র নির্দেশ মেনে ব্যাট-বলের সামঞ্জস্য রেখে পিচ বানাতে হবে বলেই জানান তাঁরা।