আপাত সাদামাটা ম্যাচের রঙটাই বদলে দিল ডিসিশন রিভিউ সিস্টেম (ডিআরএস)। শুক্রবার অকল্যান্ডের ইডেন পার্ক সাক্ষী থাকল বেনজির রিভিয়ের। ভারত-নিউজিল্যান্ড দ্বিতীয় টি-২০ ম্যাচে কাঠগড়ায় থার্ড আম্পায়ার। প্রশ্নের মুখে প্রযুক্তি।
এবার আসা যাক ঠিক কী হয়েছিল এদিনের ম্যাচে। কেন উঠল বিতর্কের ঝড়! নিউজিল্যান্ডের ইনিংসের ছ'নম্বর ওভারটা রোহিত তুলে দিয়েছেন ক্রুনাল পাণ্ডিয়াকে। এদিনের ম্যাচের সেরা ক্রুনাল এই ওভারের দ্বিতীয় বলে কিউয়ি ওপেনার কলিন মানরোকে এলবিউব্লিউ-তে ডাগআউটের রাস্তা দেখিয়েছেন। ঠিক চার বল পরেই তিনি তুলে নেন ড্যারেল মিচেলকে। এই মিচেলের আউট নিয়েই কথা হচ্ছে সর্বত্র।
আরও পড়ুন: ছক্কার সেঞ্চুরিতে আন্তর্জাতিক টি-২০ ক্রিকেটে সর্বোচ্চ রানের মালিক হলেন রোহিত
পাণ্ডিয়ার বল মিচেলের প্যাডে লাগতেই লেগ বিফোর দ্য উইকেটের জোরাল আবেদন করেন পাণ্ডিয়া। সঙ্গেসঙ্গে অনফিল্ড আম্পায়ার ক্রিস ব্রাউন আঙুল তুলে জানিয়ে দেন আউট হয়েছেন মিচেল। কিন্তু আম্পায়ারের সিদ্ধান্ত মানতে পারেননি মিচেল। তিনি নিশ্চিত ছিলেন যে, বল তাঁর ব্যাটে লেগেছে। ফলে এই সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে ডিআরএস-এর আবেদন জানান তিনি। থার্ড আম্পায়ার শেইন হেইগ প্রযুক্তির সাহায্য নিয়ে জানিয়ে দেন যে, ব্রাউনের সিদ্ধান্ত সঠিক। ফলে ফিরে যেতে হবে মিচেলকে। কিন্তু এই টি-২০ সিরিজে প্রথমবার দেশের জার্সি গায় চাপানো মিচেল তারপরেও মেনে নিতে পারেননি সিদ্ধান্ত।
এরপর ক্রিজেই দাঁড়িয়ে থাকেন মিচেল। মহেন্দ্র সিং ধোনি, কেন উইলিয়ামসন, রোহিত শর্মা ও দুই অনফিল্ড আম্পায়ার ক্রিস বাউন ও ওয়েন নাইটসের সঙ্গে বেশ কিছুক্ষণ কথা বলেন তিনি। কিন্তু আম্পায়াররা সাফ জানিয়ে দেন যে, তাঁদের সিদ্ধান্তই চূড়ান্ত ফলে আর ব্যাট করা হবে না মিচেলের। হটস্পট দেখিয়েছে যে, বল পরিস্কার ব্যাটের কানায় লেগেছে। কিন্তু স্নিকো মিটারে কিছু ধরা পড়েনি। মিচেলকে নটআউট ঘোষণা করার স্বপক্ষে যথেষ্ট প্রমাণ ছিল। কিন্তু তিনি ক্রিস ব্রাউনের সুরেই গলা মেলালেন। কিন্তু কেন শেইন নটআউট দিলেন না, তা নিয়েই এখন প্রশ্ন উঠছে।
ক্রিকেট বিশেষজ্ঞ ও ধারাভাষ্য়কার হর্ষ ভোগলেও এই বিষয়টায় হতবাক হয়ে গিয়েছেন। টুইট করেই নিজের মন্তব্য পেশ করেছেন তিনি। ভোগলে লিখলেন, "ডিআরএস যদি ভুল করে ফেলে তাহলে ব্যাটসম্যানের কাছে ফিরে যাওয়া ছাড়া আর কোনও রাস্তাই থাকে না। কিন্তু থার্ড আম্পায়র হটস্পটের থেকে স্নিকোটা পছন্দ করলেন সেটা ভাবা যায় না। এরকমটা কখনও দেখিনি।"