Washington Sundar: পুনেতে ভারত-নিউজিল্যান্ড দ্বিতীয় টেস্ট-এর প্রথম দিনে সাত উইকেট নিয়ে ক্রিকেট অনুরাগীদের আলোচনায় উঠে এসেছেন বোলার ওয়াশিংটন সুন্দর। এমন নাম সচরাচর পাওয়া যায় না। তাঁর এই নামেই উৎস কী, তা-ই নিয়ে সেজন্য কৌতুহলেরও শেষ নেই। সুন্দর জানিয়েছেন, এর পিছনে রয়েছে এক কৃতজ্ঞতার গল্প।
পুনে টেস্টে বৃহস্পতিবারের সফলতম ভারতীয় বোলারের বাবা তাঁর এই বেখাপ্পা নাম রেখেছিলেন। সেই সময় তামিলনাড়ুর রঞ্জি দলে চান্স পাওয়ার জন্য চেষ্টা চালাচ্ছিলেন ওয়াশিংটন সুন্দরের বাবা। সেই সময় তাঁকে ভীষণভাবে সাহায্য করেছিলেন এক বয়স্ক প্রতিবেশী। তিনি হলেন অবসরপ্রাপ্ত সেনাকর্মী পিডি ওয়াশিংটন। সেই সময় সচরাচর মেরিনার মাঠেই খেলতেন সুন্দর।
সুন্দর গরিব ঘর থেকে উঠে এসেছিলেন। মেরিনার মাঠে তাঁর খেলা দেখে ওই প্রাক্তন সেনাকর্মীর বেশ পছন্দ হয়েছিল। তিনি তাঁকে ক্রিকেট গিয়ার কিনে দিয়েছিলেন। তাঁর লেখাপড়ার ব্যবস্থা করেছিলেন। এই ব্যাপারে সুন্দর বলেছেন, 'পিডি ওয়াশিংটন সব সময় আমার খেলা দেখতে মাঠে আসতেন। সবসময় আমাকে উৎসাহ দিতেন। যেহেতু আমি পিছিয়ে পড়া পরিবার থেকে এসেছি, উনি নিশ্চিত করেছিলেন, যাতে ক্রিকেট থেকে বাদ না পড়ি। আমাকে ক্রিকেটের সরঞ্জাম কিনে দিয়েছিলেন। যতভাবে পারেন, আমাকে সাহায্য করেছিলেন। তিনি ক্রিকেটের প্রতি এতটাই অনুরাগী ছিলেন যে চেয়েছিলেন আমি জীবনে সফল হই।'
আরও পড়ুন- কোচ গম্ভীরের ভরসার প্রতিদান, খুশির জোয়ারে রোহিত বাহিনীকে ভাসালেন সুন্দর
১৯৯৯ সালে, পিডি ওয়াশিংটন মারা যান। কয়েক মাস পরে, সুন্দরের স্ত্রী এক পুত্র সন্তানের জন্ম দেন। সুন্দর বলেছেন, 'আমার স্ত্রীর সন্তান প্রসব নিয়ে সমস্যা তৈরি হয়েছিল। তার মধ্যেই ছেলের জন্ম হয়। শিশুটি বেঁচেও যায়। হিন্দু রীতি অনুযায়ী, আমি তাঁর কানে ভগবানের নাম ‘শ্রীনিবাসন’ ফিসফিস করে বলেছিলাম। সেই নাম রাখারই কথা ছিল। কিন্তু, বাস্তবে যে মানুষটি আমাদের ভীষণভাবে সাহায্য করেছেন, শেষ পর্যন্ত তাঁর কথা মনে রেখে শিশুটির নাম ওয়াশিংটন রাখি।'