ভারতীয় ক্রিকেটে তিনি 'যুবরাজ'ই। ২০০০ সালে মাত্র ১৮ বছর বয়সে যখন ক্রিকেট মাঠ দাপাচ্ছেন তখন কে জানত ভারতের সেরা অল রাউন্ডারের তালিকায় চিরকালের জন্য থেকে যাবে তাঁর নাম। এক ওভারে ইতিহাস তৈরি করা ছ'টা ছয় হোক কিংবা থার্ড লেগ থেকে পাখির মতো ঝাঁপিয়ে পড়া ক্যাচ কিংবা স্পিনের জাদুতে বহু ব্যাটসম্যানকে প্যাভেলিয়নে যিনি ফিরিয়েন অনায়াসে, তিনি যুবরাজ সিং।
জীবনের লড়াইয়েও তিনি যুবরাজ। মারণ ক্যানসারে আক্রান্ত হয়েও লড়াই করেই ফিরে এসেছেন ক্রিকেট গ্রাউন্ডে। মাতিয়েছেন আইপিএল। ২০১৯ সালে স্বচ্ছা অবসর নেওয়ার পর এবার ক্ষভের সুর শোনা গেল যুবির গলায়। সাফ জানালেন তাঁর উজ্জ্বল কেরিয়ারের শেষ লগ্নে ভারতীয় ক্রিকেট কন্ট্রোল বোর্ড তাঁর সঙ্গে অপেশাদারীত্বের ব্যবহার করেছে। ভারতের বিশ্বকাপজয়ী দলের অন্যতম হয়েও ফেয়ারওয়েল পাননি বিসিসিআই-এর কাছ থেকে।
আরও পড়ুন, ভারতে অনুষ্ঠিত ক্রিকেট বিশ্বকাপে খেলতে পারবে কোন কোন দেশ, নয়া নিয়ম আইসিসির
একটি স্পোর্টস অনুষ্ঠান থেকে যুবরাজ বলেন, "আমার প্রথমেই যেটা মনে হয় তা হল আমি লেজেন্ড নই। আমি খুব অন্তর থেকেই ক্রিকেট খেলতাম। কিন্তু টেস্ট ক্রিকেটে আমি খুব একটা জায়গা পাইনি। লেজেন্ড তাঁরাই হয় যারা টেস্ট ক্রিকেটে নিজেদের কৃতিত্ব রেখে গিয়েছেন। তাই আমাকে কেন বিদায় সম্বর্ধনা দেওয়া হয়নি তা আমি স্থির করতে পারব না। বিসিসিআই বলতে পারবে।"
ভারতের এই অল রাউন্ডার বলেন, "আমার এটাই মনে হয় আমার কেরিয়ারের শেষ দিকে খুব অ-পেশাদার মনোভাব পোষণ করল বিসিসিআই। কিন্তু পিছনে ফিরে দেখলে জাহির খান, শেওয়াগ, হরভজনদের সঙ্গেও একই জিনিষ হয়েছে। এটাই হয়তো ভারতীয় ক্রিকেটের একটা অংশ। তাই অবাক হচ্ছি না।"
প্রসঙ্গত, যোগরাজ সিং-পুত্র যুবরাজ তাঁর গৌরবোজ্জ্বল কেরিয়ারে ৪০টি টেস্ট ম্যাচ, ৩০৪টি একদিনের ম্যাচ এবং ৫৮টি টি-২০ ম্যাচ খেলেছেন। ২০০৭ সালে ভারতের টি-২০ বিশ্বকাপ জয় এবং ২০০১ সালে বিশ্বকাপ জয়ে অন্যতম কারিগর ছিলেন ভারতীয় ক্রিকেটের 'যুবি'।
Read the story in English
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন