১৬ রাউন্ড কেমোথেরাপি আর ৩২ রেডিয়েশন ট্রিটমেন্ট। এর পরে এক জীবনে আর কী পড়ে থাকে? সব শেষের পরেও নতুন করে কি শুরু করার মতো শক্তি থাকে? ক্যান্সারের মতো মারণ রোগ জয় করেই এবার নতুন করে স্বপ্ন দেখছেন ও দেখাচ্ছেন গিয়ানা ভেলার্দে। পেরুর প্রথম মহিলা সাইক্লিস্ট হিসেবে ডাকার র্যালিতে অংশ নিতে চলেছেন তিনি। বিশ্বের অন্য়তম কঠিন মোটরসাইক্লিং চ্যালেঞ্জগুলোর মধ্যে এই ডাকার র্যালি। দু’সপ্তাহ ব্যাপী ৯ হাজার কিলোমিটার পথ চলতে হয়।
২৪ বছরের গিয়ানা শৈশব থেকেই চ্যালেঞ্জটা নিতে শিখে গিয়েছেন। মাত্র ১৫ বছর বয়সে সে প্রথম মোটরসাইকেল চালিয়েছিল। এই দু’চাকাই ছিল তাঁর জীবন। একঘেয়েমি থেকে পালানোর একমাত্র রাস্তা। স্প্যানিশ সংবাদ সংস্থা ইএফই-কে এক সাক্ষাৎকারে গিয়ানা এমনটাই জানিয়েছেন। তিনি বললেন, “মোটরসাইকেল আমাকে অনেক শক্তি দিয়েছে। স্বাধীনতার মানে বুঝিয়েছে। আর কয়েক বছরেই আমি খুব শক্তিশালী একজন মহিলা হয়ে উঠতে পেরেছি। মোটরসাইকেলই পেরেছে আমাকে বিজয়ীর অনুভূতি দিতে।”গত সেপ্টেম্বরে ইকনা চ্যালেঞ্জে অংশ নিয়েছিলেন গিয়ানা। ডাকার নিয়ে রীতিমতো উচ্ছ্বসিত সে। জানালেন, “ডাকার আমার পরিবারকে একত্রিত করেছে। আমার জন্য় ডাকার হচ্ছে সমস্ত প্রতিকূলতাকে নিধন করে জীবনের নতুন অধ্যায় শুরু করা। ডাকার শেষ করার পর আমি মানুষটাই বদলে যাব। এটাই আমাকে সবচেয়ে অনুপ্রাণিত করছে। যে অভিজ্ঞতার মধ্যে দিয়ে আমি যাব সেটাই আমাকে বদলে দেবে।”
আরও পড়ুন: এশিয়ান গেমসের রুপো জয়ী হরিয়ানার রাস্তায় কুলফি বিক্রি করছেন
গিয়ানা ডাকারে চ্যাম্পিয়ন হোক বা না হোন, তিনি এখনই সারা পৃথিবীর মন জয় করে নিয়েছেন। ইনস্টাগ্রামে ১৭ হাজার মানুষ তাঁকে ফলো করেন। রয়েছে তাঁর ফেসবুক পেজও। সেখানে তাঁর সঙ্গে আছেন ৪১ হাজার মানুষ। গিয়ানা হয়ে উঠেছেন বাকিদের কাছে অনুপ্রেরণা। তিনি এখনই বিজয়ী।