/indian-express-bangla/media/post_attachments/wp-content/uploads/2020/08/ipl-bcci-logo_copy_759x422.jpg)
আইপিএল ফ্র্যাঞ্চাইজিদের অভিনব ভাবনা। টাইটেল স্পনসরের জন্য টেন্ডার ডাকল বোর্ড। ক্ষোভ প্রকাশ করলেন মনোজ তিওয়ারি।
নেট বোলার নিয়ে যাওয়ার ভাবনা ফ্র্যাঞ্চাইজিদের
আইপিএলে ফ্র্যাঞ্চাইজি দলের হয়ে ৫০ জন নেট বোলারদের নিয়ে যাওয়া হচ্ছে অনুশীলনের সুবিধার জন্য। সিএসকে, কেকেআর এবং দিল্লি ক্যাপিটালস ইতিমধ্যেই জানিয়ে দিয়েছে, নেট বোলারদের তালিকা তৈরি করছে তারা। আইপিএল চলাকালীন ধোনি, রায়না, পন্থদের বোলিং করার জন্য বেছে নেওয়া হচ্ছে অনুর্দ্ধ-১৯, ২৩ এবং প্ৰথম শ্রেণির ক্রিকেটারদের।
এতদিন আইপিএলে স্থানীয় বোলারদেরই নেট অনুশীলনে ডাকা হত। তবে এবারের পরিস্থিতি অনেকটাই আলাদা। জৈব নিরাপদ পরিবেশে খেলানো হবে। তাই আগে থেকেই নেট বোলারদের তৈরি করে রাখা হচ্ছে।
আরও পড়ুন
সর্বাধিক টাকা দিলেই আইপিএলে টাইটেল স্পনসর নয়, নয়া ভাবনা বোর্ডের
এমনিতেই বোর্ডের তরফে এবার জানিয়ে দেওয়া হয়েছে প্রতি স্কোয়াডে ২৪ জনের বেশি ক্রিকেটার যেতে পারবে না। তাই অধিকাংশ ফ্র্যাঞ্চাইজি যে স্থানীয় বোলার ছাড়াই আমিরশাহী রওনা দেবে ত বলার অপেক্ষা রাখে না। তবে অন্যরকম ভাবনা চিন্তা কেকেআর, সিএসকে এবং দিল্লির। সিএসকে-র সিইও কাশি বিশ্বনাথন যেমন পিটিআইকে জানিয়ে দিয়েছেন, "সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে ১০ জন নেট বোলারকে আমরা নিয়ে যাবো। দলের সঙ্গেই ওরা টুর্নামেন্টের শুরু থেকে থাকবে।"
কেকেআরের তরফে এক কর্তা জানালেন, একইভাবে ১০ জন নেট বোলারকে নিয়ে দুবাইয়ের প্লেনে উঠবে শাহরুখের দল। এই নেট বোলার বেছে নেবেন একাডেমি কোচ অভিষেক নায়ার। দিল্লির ক্ষেত্রে এই নেট বোলারের সংখ্যা ৬জন। ক্যাপিটালসের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, বায়ো সিকিওর পরিবেশে দলের সঙ্গেই থাকবেন তাঁরা। দলের অনুশীলনে তাঁরা সহায়তা করবেন। একই রকম পরিকল্পনা রাজস্থান রয়্যালসেরও। তারা জানিয়েছে, একাডেমি বোলারদের নিয়ে যাওয়া হবে।
ফ্র্যাঞ্চাইজির সঙ্গে জড়িত এক ব্যক্তি জানিয়েছেন, দুবাইয়ের স্লো পিচ আর আবহাওয়া বাঁ হাতি কবজির বোলারদের বেশি সহায়তা করবে। সেক্ষেত্রে, পেসারদের সঙ্গে স্পিনারদেরও নিয়ে যেতে পারে ফ্র্যাঞ্চাইজিরা।
Read the full article in ENGLISH
আইপিএল নিয়ে বোর্ডের দরপত্র
আইপিএলের জন্য এবার দরপত্র ডাকলো বিসিসিআই। সেপ্টেম্বরের ১৯ থেকে নভেম্বরের ১০ তারিখ পর্যন্ত সংযুক্ত আরব আমিরশাহিতে আয়োজিত হতে চলেছে আইপিএল। সোমবারই এই লিগ আয়োজনের জন্য কেন্দ্রীয় সরকারের ছাড়পত্রও পেয়ে গিয়েছে বোর্ড। তারপর রাতের দিকেই টাইটেল স্পন্সরের জন্য টেন্ডার ডাকা হল সরকারিভাবে।
একসপ্তাহ আগেই ভিভো আইপিএলের টাইটেল স্পনসরশিপ থেকে সরে দাঁড়িয়েছে। তার ঠিক একসপ্তাহ পর দরপত্র ডাকল বোর্ড। জানানো হয়েছে, ইচ্ছুক সংস্থাকে ১৪ আগস্টের মধ্যে দরপত্রের নথি সংগ্রহ করতে হবে। ঠিক চার দিন পর চূড়ান্ত করা হবে টাইটেল স্পন্সরের নাম।
আরও পড়ুন, আইপিএল থেকে সরল ভিভো, কতটা ধাক্কা খেল আর্থিক কাঠামো?
বোর্ডের তরফে স্পষ্ট করে জানানো হয়েছে, যে কোম্পানির বার্ষিক টার্নওভার ন্যূনতম ৩০০ কোটি (৪০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার) তারাই এই স্পন্সরশিপের জন্য আবেদন করতে পারবে।
বোর্ডের তরফে যে প্রেস বিবৃতি প্রকাশ করা হয়েছে সেখানে বলা হয়েছে প্রতিটি বিড পেপারে
১) সংশ্লিষ্ট সংস্থার নাম, ঠিকানা থাকতে হবে।
২)সংস্থাটির উৎপাদিত দ্রব্যের কথা বিশদে জানাতে হবে।
৩) ন্যুনতম বার্ষিক টার্নওভার যে ৩০০ কোটি টাকা তার অডিট করা নথি প্রকাশ করতে হবে।
সেই প্রেস বিবৃতিতেই বিসিসিআইয়ের তরফে স্পষ্ট করে জানানো হয়েছে সর্বাধিক মূল্যের বিড করা সত্ত্বেও বোর্ড যদি সংশ্লিষ্ট সংস্থার প্রোডাক্ট বাণিজ্যিকরনের বিষয়ে সন্তুষ্ট না হয়, তাহলে সেই সংস্থা টাইটেল স্পনসর পাবে না।
এদিকে, আইপিএলের টাইটেল স্পনসর করার বিষয়ে আগ্রহী বাবা রামদেবের সংস্থা পতঞ্জলি। পিটিআই-কে পতঞ্জলির মুখপাত্র বলেছেন, “আমরা বিষয়টি দেখছি। কারণ ভোকাল ফর লোকাল হল মূল ভাবনা। ভারতের ব্র্যান্ডকে বিশ্বের বাজারে তুলে ধরার এখন একটি গুরুত্বপূর্ণ সময়। আমরা সেই দিক থেকে বিষয়টি পর্যালোচনা করছি।”
Read the full article in ENGLISH
মনোজের ক্ষোভ
মিডল অর্ডারে জায়গা থাকলেও তাঁর কথা ভাবা হয়নি। জাতীয় দলের নির্বাচকদের বিরুদ্ধে এমনই বিস্ফোরক অভিযোগ আনলেন মনোজ তিওয়ারি। ২০১১ সালে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিরুদ্ধে ম্যাচ জেতানো সেঞ্চুরি করার পরে টানা এগারো ম্যাচ বসে থাকতে হয়েছিল। তিনিই এদিন এক ফেসবুক লাইভে মুখ খুলে বড়সড় অভিযোগ আনলেন।
স্পোর্টস ক্রীড়ার লাইভ সেশনে বাংলার প্রাক্তন অধিনায়ক জানালেন, "ভারত যখন অস্ট্রেলিয়া যায়, সেই সময় মিডল অর্ডারের অধিকাংশ ব্যাটসম্যানই খেলতে পারছিল না। মিডল অর্ডারে অনেক জায়গা ছিলাম। অন্যদের মত কিন্তু আমাকে পরখ করে দেখা হয়নি।"
আরও পড়ুন
সর্বাধিক টাকা দিলেই আইপিএলে টাইটেল স্পনসর নয়, নয়া ভাবনা বোর্ডের
২০১১ সালে ধোনির নেতৃত্বে ভারত দ্বিতীয়বারের মত চ্যাম্পিয়ন হলেও সেই জয়ে সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ের অবদান কম নয়। এমনটাই জানিয়েছেন তিনি। মনোজ বলেছেন, "দীর্ঘদিন ধরে সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় এই দল তৈরি করেছেন। যদি ভালো করে দেখা যায়, বিশ্বকাপ জয়ে যাঁরা গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছিলেন তাঁরা সবাই সৌরভের আমল থেকে উঠে এসেছেন। ওঁর নেতৃত্বেই এরা বিশ্বপর্যায়ে পারফর্ম করা শুরু করে।"
কারা সেই ক্রিকেটার, তাদের নাম জানিয়েছেন মনোজ। বীরেন্দ্র শেওয়াগ, যুবরাজ সিং, হরভজন সিং, জাহির খান, আশিস নেহরা, গৌতম গম্ভীর সবাই সৌরভের হাতে তৈরি। "দলে নিরাপত্তা জুগিয়ে এই ক্রিকেটারদের স্থান পাকা করেন সৌরভ। আর ধোনির দুরন্ত নেতৃত্বে এই অভিজ্ঞ ক্রিকেটাররা নিজেদের মেলে।ধরেন ২০১১ বিশ্বকাপে।"
জাতীয় দলে সুযোগ পেলেও মনোজ বেশিদিন জায়গা ধরে রাখতে পারেননি। ১২টি ওয়ানডে খেলে ২৬ এর সামান্য বেশি গড়ে ২৮৭ রান করেছেন বাংলার তারকা ক্রিকেটার। আন্তর্জাতিক পর্যায়ে একটি শতরান এবং অর্ধশতরানেরও মালিক তিনি। জাতীয় দলে নিয়মিত সুযোগ না পেলেও ঘরোয়া ক্রিকেটের প্রতিষ্ঠিত তারকা তিনি। ৯০০০ এর বেশি রান তাঁর সংগ্রহে। একটি ত্রিশতরানও রয়েছে তাঁর নামের পাশে।
Read the full article in ENGLISH
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন