Advertisment

বাছাই খেলার খবর: শচীনের শতরান, ক্যান্সারে আক্রান্ত সুরজিৎ, অভিযুক্ত ডিভিলিয়ার্স

দিনের সেরা খেলার খবর- এদিনই প্রথম টেস্ট শতরান করেন শচীন তেন্ডুলকর। বিরল ক্যান্সারে আক্রান্ত সুরজিৎ বোস। বর্ণবিদ্বেষের অভিযোগ ডিভিলিয়ার্সের দিকে।

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
NULL

১৪ অগাস্ট প্রথম টেস্ট শতরান করেন শচীন। বিরল কর্কট রোগে আক্রান্ত হলেন সুরজিৎ বোস। ডিভিলিয়ার্স বর্ণবাদী অভিযোগে জড়িত, প্রকাশ প্রতিবেদনে।

Advertisment

শচীনের টেস্ট শতরান

publive-image প্রথম টেস্ট শতরান করার পরে শচীন

ম্যাচ বাঁচানো শতরান এখন কার্যত বিলুপ্তপ্রায় হয়ে দাঁড়িয়েছে। আজ থেকে প্রায় ৩০ বছর আগে অবশ্য তেমনই এক ইনিংসে ক্রিকেট বিশ্বের নজর কেড়ে নিয়েছিলেন এক টিনএজার। এই ১৪ অগস্টেই।

কেরিয়ারের প্রথম টেস্ট শতরানের বিষয়ে জানাতে গিয়ে শচীন রমেশ তেন্ডুলকর বলছিলেন, "১৪ অগাস্ট সেঞ্চুরি করি। পরের দিনই ছিল ১৫ অগাস্ট। তাই সেই শতরান বরাবরই স্পেশ্যাল। সেই সেঞ্চুরির জন্যই সিরিজটা বেঁচে ছিল ওভাল টেস্ট পর্যন্ত।"

পাকিস্তানের শিয়ালকোটে ওয়াকার ইউনিসের বাউন্সারে রক্তাক্ত হওয়ার পরেও ম্যাচ বাঁচিয়ে বুঝিয়ে দিয়েছিলেন তিনি লম্বা রেসের ঘোড়া। ম্যাচ বাঁচানো ইনিংস খেলার বিষয়ে তখন থেকেই আত্মবিশ্বাস ফিরে পান লিটল মাস্টার।

আরও পড়ুন

কৃষ্ণাঙ্গ ক্রিকেটারকে নিয়ে হুমকি ডিভিলিয়ার্সের, বর্ণবিদ্বেষের অভিযোগে বিদ্ধ সুপারস্টার

শচীন সেই ইনিংসের প্রসঙ্গে জানিয়েছেন, "শিয়ালকোটে আঘাত পেয়েও ৫৭ করি। তাও আবার ৩৮/৪ হয়ে যাওয়ার পরে। ওয়াকারের সেই বাউন্সার আর ব্যথা নিয়েই খেলা চালিয়ে যাওয়ার ঘটনা আমার কেরিয়ারের দিক নির্ধারিত করে দিয়েছিল। সেরকম আঘাত লাগার পর হয় তুমি আরও শক্তিশালী হয়ে ফিরে আসবে নাহয় হারিয়ে যাবে।"

শিয়ালকোটের সেই জেদই ম্যানচেস্টারে শচীনের শতরানের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করে দেয়। শিয়ালকোটের পর ম্যাঞ্চেস্টারেও অবশ্য আঘাত নিয়েই খেলতে হয় মাস্টার ব্লাস্টারকে। সেই সময়ের অন্যতম দ্রুতগতির বোলার ডেভন ম্যালকমের বল আছড়ে পড়েছিল শচীনের মাথার পিছনে।

শচীন স্মৃতিচারণ করতে গিয়ে বলেন, "সেই সময়ে ডেভন ম্যালকম আর ওয়াকার ইউনিস দুজনেই বিশ্বের সেরা দুই দ্রুতগতির বোলার ছিলেন। ৯০ মাইল ঘন্টায় বল করতেন ওঁরা। চোট লাগার পরে অবশ্য ফিজিওকে ডাকিনি। নিজের ব্যথা বোলারদের দেখাতে চাইনি।"

যেকোনো ধরণের ব্যথা সইয়ে খেলা চালিয়ে যাওয়ার বিষয়ে শচীনকে প্রস্তুত করেন কোচ রমাকান্ত আচরেকর। জিমখানার মাঠে। শচীন বলছিলেন, "শিবাজী পার্কে অনুশীলনের সময় থেকেই ব্যথা সইয়ে খেলা চালিয়ে যাওয়ার বিষয়ে রপ্ত ছিলাম। আমার শরীরে অসংখ্য চোটের চিহ্ন রয়েছে আজও। যে পিচে আমরা একদিন আগে ম্যাচ খেলতাম, সেই পিচেই পরেরদিন অনুশীলন চালাতাম আমরা। তাই আচমকা বল লাফিয়ে উঠে নাকে আছড়ে পড়ত। আমি বলি ছুড়ে ব্যথা হজম করে ফের স্ট্যান্স নিতাম।"

Read the full article in ENGLISH

ক্যানসারে আক্রান্ত সুরজিৎ

publive-image সুরজিৎ বোস

চলতি বছরে একের পর এক খারাপ খবর। সমাজের সর্বস্তরে দুঃসংবাদের ছড়াছড়ি। এবার দুরারোগ্য রক্তের ক্যানসারে আক্রান্ত হলেন ময়দানের পরিচিত ফুটবলার সুরজিৎ বোস। যিনি বাঙালি ফুটবল মহলে 'বাজু' নামেই পরিচিত।

বর্তমানে দিল্লির বি আর আম্বেদকর হাসপাতালে তিনি চিকিৎসাধীন। চলতি মাসের ৫ তারিখে দিল্লি গিয়েছিলেন ব্যক্তিগত এক কাজে। সেখানে গিয়ে বেশ অসুস্থ হয়ে পড়েন তিনি। পা ফুলে যায়, জ্বরের করলেও পড়েন তিনি। তারপরেই চিকিৎসায় ধরা পড়ে দুরারোগ্য লিউকোমিয়ায় আক্রান্ত তিনি। প্রথম স্টেজেই ধরা পড়েছে তাঁর রোগ। বাড়িতে স্ত্রী ছাড়াও রয়েছে দুই সন্তান।

উত্থান কল্যাণী মিউনিসিপ্যালিটির মাঠ থেকে। টালিগঞ্জ অগ্রগামী থেকে স্ট্রাইকার হিসাবে কলকাতার ক্লাব ফুটবলে কেরিয়ার শুরু করেন তিনি। পরে দাপটের সঙ্গে খেলেন মাহিন্দ্রা ইউনাইটেড, ভারত এফসি, প্রয়াগ ইউনাইটেড, মুম্বাই টাইগার্স, মহামেডান, ওএনজিসির মত প্রথম সারির ক্লাবে। ব্যারেটোর পাশে মোহনবাগান মাঠই মাতিয়েছেন একসময়ে।

শুধু নামি ক্লাব ফুটবলই নয়। সুখবিন্দর সিংয়ের কোচিংয়ে জাতীয় দলের জার্সিতেও চুটিয়ে খেলেছেন (২০০৪-২০০৯)। বয়স মাত্র ৩৪ বছর। এত অল্প বয়সে মারণ রোগে আক্রান্ত হওয়ায় শোকের ছায়া ময়দানে। তবে বি আর আম্বেদকর হাসপাতালের চিকিৎসকরা ভরসা জুগিয়েছেন তারকা ফুটবলারকে। জানিয়ে দিয়েছেন, লড়াই করতে হবে।

মাঠে লড়াই করতেন। হাল না ছাড়া মানসিকতার জন্য প্রিয় ছিলেন একাধিক কোচের। এখন কর্কট রোগের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে এই মানসিকতাকেই হাতিয়ার করতে চাইছেন তিনি। গয়েশপুর কল্যাণীর ফুটবল তারকার এই লড়াইয়ে জয়ী হয়ে ফিরে আসার প্রার্থনায় গোটা ফুটবল মহল।

এবির কীর্তি

publive-image জনডোকে খেলানোয় আপত্তি ছিল এবির

বর্ণবিদ্বেষের অভিযোগে এবার জড়িয়ে পড়লেন দক্ষিণ আফ্রিকার তারকা এবি ডিভিলিয়ার্স। কৃষ্ণাঙ্গ খায়া জনডোকে নির্বাচিত করা হলে তিনি ২০১৫-র ভারত সফর থেকে সরে দাঁড়াবেন। এমনটাই নাকি হুমকি দিয়েছিলেন। দক্ষিণ আফ্রিকার সংবাদমাধ্যম নিউজ২৪-এর প্রতিবেদনে এমনটাই জানানো হয়েছে।

সেই প্রতিবেদনে ঢাল করা হয়েছে প্রোটিয়াজ ক্রিকেট বোর্ডের প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট নোরম্যান অর্ডান্ডসের রিপোর্টকে। সেখানে জানানো হয়েছে, মুম্বইয়ে পঞ্চম অডিআই খেলার আগের রাতে পর্যন্ত স্কোয়াডে জনডোর নাম ছিল। পরে অভিষেকের আগেই বাদ পড়তে হয় তাঁকে। যা দক্ষিণ আফ্রিকা ক্রিকেট বোর্ডের নির্বাচন সংক্রান্ত নিয়মের পরিপন্থী।

আরও পড়ুন

ধোনিকে শাস্তির ভয় দেখিয়ে নিজেই চমকে যান আম্পায়ার! জানুন সেই গল্প

দক্ষিণ আফ্রিকা থেকে ডিন এলগারকে উড়িয়ে নিয়ে গিয়ে আহত জেপি ডুমিনির জায়গায় খেলানো হয়। তবে স্কোয়াডে থাকা জনডোকে পুরোপুরি বাদ দিয়ে দেওয়া হয়। সেই ম্যাচের আগে এলগার মাত্র পাঁচটি ওয়ানডে খেলেছিলেন। টানা ৭০ ম্যাচে দলে নির্বাচনের জন্য তাঁকে বিবেচনাও করা হয়নি।

সেই সিরিজের পরেই স্কোয়াডের বেশ কয়েকজন ক্রিকেটার বোর্ডের কাছে অভিযোগ জানায়। বর্নবিদ্বেষের অভিযোগ থেকে মুক্তি পেতে প্রোটিয়াজ ক্রিকেট বোর্ডে কৃষ্ণাঙ্গ ক্রিকেটারদের নির্বাচনের ক্ষেত্রে নীতি চালু ছিল। অভিযোগ করা জয়, বর্তমানে কৃষ্ণাঙ্গদের জল বওয়ার জন্যই নির্বাচিত করা হয়।

জনডো-এলগারের ঘটনা শেয়ার করেছেন দক্ষিণ আফ্রিকার প্রাক্তন ক্রিকেটার এশওয়েল প্রিন্সও। সেই বছরের বিশ্বকাপ সেমিফাইনালে কাইল এবটের জায়গায় ভার্ণন ফিল্যান্ডারকে খেলাতে নাকি বাধ্য হন এবি ডিভিলিয়ার্স। সবমিলিয়ে এমন অভিযোগ প্রকাশ্যে আসায় বেশ বিপাকে এবি ডিভিলিয়ার্স।

Read the full article in ENGLISH

ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন

Sachin Tendulkar AB de Villiers Test cricket Kolkata Football Mohun Bagan
Advertisment