Advertisment

বাছাই খেলার খবর: ইনজির রাগ, মঞ্জরেকরের ক্ষমাপ্রার্থনা, আইপিএলে দর্শক

দিনের সেরা খেলার খবর পড়ুন এক ক্লিকে- ইনজামামের আলু কীর্তি জানালেন কাম্বলি। ক্ষমা চেয়ে নেওয়ার বার্তা দিয়ে আইপিএলে কমেন্ট্রি করতে ইচ্ছুক সঞ্জয় মঞ্জরেকর। আমিরশাহিতে দর্শকদের সামনেই হতে পারে আইপিএল।

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
NULL

মেজাজ হারিয়েছিলেন ইনজামাম। বোর্ডের কাছে ক্ষমা চাইলেন সঞ্জয় মঞ্জরেকর। দর্শকদের সামনেই খেলা হতে পারে আইপিএল ম্যাচ।

Advertisment

ইনজির আলু কীর্তি

publive-image ইনজামাম উল হক

এখনও ক্রিকেট প্রেমীদের মনে জ্বলজ্বল করে সেই ঘটনা। ১৯৯৭-এ সাহারা কাপে টরেন্টোয় ভারত-পাকিস্তান ম্যাচে গ্যালারিতে বসে থাকা এক সমর্থককে ব্যাট উঁচিয়ে তেড়ে মারতে গিয়েছিলেন ইনজামাম উল হক। সেই সমর্থক নাকি ইনজামামকে 'মোটা আলু' বলে খেপিয়ে তুলেছিলেন।

সেই স্মৃতি রোমন্থন করতে বসে বিনোদ কাম্বলি এক পডকাস্ট শো এ বলছিলেন, "আমরা ড্রেসিংরুমে বসেছিলাম। হঠাৎ দেখি ইনজি কোনো একজনকে ব্যাট দেখাচ্ছে। তারপর দেখি দ্বাদশ ব্যক্তি ব্যাট হাতে ড্রেসিংরুমের পাশ দিয়ে ওকে ব্যাট দিচ্ছে। কেন হঠাৎ ব্যাটের প্রয়োজন হল, তা নিয়ে আমরা যখন আলোচনা করছি, তখনই সেই ঘটনা ঘটে। যা হয়েছিল তা রীতিমত অবাক করে দেওয়ার মত।"

কী ঘটেছিল সেদিন? দ্বিতীয় ইনিংসে ভারত মাত্র ১১৭ রানে র লক্ষ্যে ব্যাটিং করছিল। মাঠে ফিল্ডিং করার সময় ইনজিকে সমর্থকরা কটূক্তি করতে থাকে। ডন পত্রিকার প্রতিবেদন অনুযায়ী, সসি সমর্থক বলেছিল, "আরে মোটু, সোজা দাঁড়িয়ে থাক। মোটা আলু, পচা আলু।" এরপরেই মেজাজ হারিয়ে লঙ্কা কান্ড করে বসেন ইনজি।

পরে ওয়াকার ইউনিসও বলছিলেন, সমর্থকরা শুধু ইনজামামকেই নয়, মহম্মদ আজহারউদ্দিনের স্ত্রীকে নিয়েও অশালীন মন্তব্য করছিল।

Read the full article in ENGLISH

ক্ষমাপ্রার্থী মঞ্জরেকর

publive-image সঞ্জয় মঞ্জরেকর

ক্রিকেটারদের নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্য করে বোর্ডের বিরাগভাজন হয়েছিলেন। তারপরেই ধারাভাষ্যকারের প্যানেল থেকে সঞ্জয় মঞ্জরেকরকে বহিষ্কার করে বোর্ড। আইপিএল শুরুর আগে অবশ্য শান্তির বার্তা দিয়ে ক্ষমা চেয়ে নেওয়ার কথা বললেন সঞ্জয় মঞ্জরেকর। তিনি বোর্ড সভাপতি সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় সহ এপেক্স কাউন্সিলের মেম্বারদেরও এই মর্মে চিঠি পাঠিয়েছেন।

কেন সরানো হয়েছিল সঞ্জয় মঞ্জরেকরকে। প্রাক্তন ক্রিকেটারকে বোর্ডের এক কর্তা জানিয়েছিলেন, বেশ কিছু ক্রিকেটার তাঁকে পছন্দ করতেন না। ঘটনার সূত্রপাত রবীন্দ্র জাদেজাকে কটূক্তি করা থেকে।

ভারতের হয়ে ৩৭টি টেস্ট এবং ৭৪টি ওডিআই খেলেছেন মঞ্জরেকর। গত বছর ক্রিকেট বিশ্বকাপের সময় ভারতীয় দলের সদস্য রবীন্দ্র জাদেজাকে “খুচরো ক্রিকেটার” হিসেবে বর্ণনা করে বিতর্কে জড়িয়ে পড়েন তিনি। বলা বাহুল্য, এই মন্তব্যকে ভালো চোখে দেখেন নি সৌরাষ্ট্রের অল-রাউন্ডার, এবং পাল্টা প্রশ্ন তোলেন মঞ্জরেকরের ক্রিকেটীয় উৎকর্ষতা নিয়ে।

পরে মঞ্জরেকর স্বীকার করে নেন যে জাদেজার দক্ষতা সম্পর্কে ওই অপ্রীতিকর মন্তব্য করে ঠিক করেন নি তিনি।

এছাড়াও গত বছরের নভেম্বর মাসে গোলাপি বলের টেস্ট চলাকালীন কমেন্টারি বক্সে বসে সহ-ধারাভাষ্যকার হর্ষ ভোগলে সম্পর্কে তাঁর মন্তব্য নিয়ে সমালোচনার মুখে পড়েন মঞ্জরেকর। ভোগলে সম্পর্কে তাঁর বক্তব্য ছিল, যেহেতু ভোগলে নিজে কখনও উচ্চতম পর্যায়ে ক্রিকেট খেলেন নি, সেহেতু তাঁর বিশ্বাসযোগ্যতা নিয়ে সন্দেহ থেকেই যায়। পরে এই মন্তব্যের জন্যও ক্ষমা চাইতে হয় মঞ্জরেকরকে।

সেই প্রসঙ্গে মুখ খুলে এদিন সঞ্জয় মঞ্জরেকর জানিয়েছেন, "আমার এই বক্তব্য কিন্তু কমেন্ট্রি করার সময় বা টুইটারে করা হয়নি। একটি অডিও সাক্ষাৎকারে এই বক্তব্য রেখেছিলাম। তা পরে ভুল ব্যাখ্যা করা হয়। চূর্ণ-বিচূর্ণ ক্রিকেটার তাদেরকেই বলা হয় যারা নন-স্পেশালিস্ট। এতে অসম্মানের কোনো বিষয় নেই। জাদেজাও নিউজের শিরোনাম দেখে প্রতিক্রিয়া জানিয়েছিল। অনেকেই জানেন না, আমরা নিজেদের মধ্যে বিষয়টি ঠিক করে নিয়েছি।"

অতীত ভুলে আপাতত আইপিএলে কমেন্ট্রি করতে মুখিয়ে তিনি। সন্ধিপ্রস্তাব দিয়ে বোর্ডকে যে মেইল পাঠিয়েছেন তিনি, তার বক্তব্য, প্রয়োজন হলে ভুল স্বীকার করতে কার্পণ্য করবেন না তিনি। বোর্ডের গাইডলাইন মেনে ধারাভাষ্যকারের কাজ চালিয়ে যেতে ইচ্ছুক তিনি।

সঞ্জয় মঞ্জরেকরের আবেদনে সারা দিয়ে বোর্ড সন্ধিপ্রস্তাবে সায় দেয় কিনা, সেটাই আপাতত দেখার।

Read the full article in ENGLISH

দর্শকদের সামনেই আইপিএল?

publive-image আইপিএল ট্রফি

ফাঁকা মাঠেই আইপিএল আয়োজনের পরিকল্পনা করছে বিসিসিআই। তবে ভারতীয় বোর্ডের সম্পূর্ণ অন্য পথে হেঁটে সংযুক্ত আরব আমিরশাহি ক্রিকেট বোর্ড স্টেডিয়ামের ৩০-৫০ শতাংশ ভর্তি করে লিগ আয়োজনে ইচ্ছুক। অবশ্যই সরকারি অনুমতি পেলে তবেই। এমনটাই জানালেন আমিরশাহী ক্রিকেট বোর্ডের সচিব মুবাসির ওসমানি।

সংবাদসংস্থা পিটিআইকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তিনি জানালেন, "ভারতীয় সরকারের অনুমতি পেয়ে বিসিসিআই আমাদের কনফার্ম করুক, তারপরেই আমরা সংযুক্ত আরব আমিরশাহি সরকারের কাছে আমাদের প্রস্তাব ও এসওপি নিয়ে হাজির হব। আমরা এই দুরন্ত ইভেন্ট আয়োজন করতে চাই। তবে তা পুরোটাই নির্ভর করছে কেন্দ্রীয় সরকারের উপর। এখানে যে কোনো ক্রীড়া ইভেন্টে ৩০-৫০ শতাংশ দর্শক স্টেডিয়াম ভরান। এক্ষেত্রেও সেরকম পরিকল্পনা আমাদের। আমিরশাহি সরকার যে আইপিএল আয়োজনে অনুমতি দেবে সেই বিষয়ে আমরা নিশ্চিত।"

আরও পড়ুন

গন্ডারের ‘প্রেমে পাগল’ হাতি, ভাইরাল ভিডিওয় দেখুন খুনসুটি

আমিরশাহিতে এখন কোভিড পরিস্থিতি অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে। ৬০০০ লোক ভাইরাস সংক্রমিত এক্টিভ কেস। আইপিএলে আয়োজনে আমিরশাহি বোর্ড আশাবাদী হলেও চলতি বছরের নভেম্বরে অনুষ্ঠিত হতে চলা রাগবি সেভেন ইভেন্টস বাতিল করা হয়েছে।

আইপিএলের দিনক্ষণ বা সূচি এখনও চূড়ান্ত করেনি বিসিসিআই। কেন্দ্রীয় সরকারের সবুজ সংকেত পেলেই সরকারিভাবে তা জানিয়ে দেবে ভারতীয় বোর্ড। তার আগে বোর্ডের পরিকল্পনা ফাঁস করে আইপিএলের চেয়ারম্যান ব্রিজেশ প্যাটেল জানিয়ে ছিলেন সেপ্টেম্বরের ১৯ থেকে নভেম্বরের ৮ তারিখ পর্যন্ত টুর্নামেন্ট এর প্রাথমিক দিনক্ষণ বেছে রাখা হয়েছে। আইপিএলের গভর্নিং কাউন্সিলের বৈঠক রবিবার। সেখানেই এসওপি সহ একগুচ্ছ পরিকল্পনা সেরে ফেলা হবে।

Read the full article in ENGLISH

cricket BCCI IPL
Advertisment