অতিমারীর থাবার মধ্যেই রমরমিয়ে চলছে অলিম্পিক গেমস। বিশ্বের সমস্ত ক্রীড়া প্রধান দেশের এথলিটরাই হাজির টোকিওয়। কড়া করোনা গাইডলাইন মেনেই গেমস আয়োজিত হচ্ছে।
অলিম্পিকে সোনা জয়ই একজন ক্রীড়াবিদের কেরিয়ারের সেরা সাফল্য ধরা হয়। অলিম্পিকে যোগ্যতা অর্জন করাই একপ্রকার সাফল্য। তবে গেমসে সোনা জিতলে সরাসরি ইতিহাসের হাতছানি। তবে কখনো কি কেউ ভেবে দেখেছেন অলিম্পিকে সোনার বর্তমান বাজারদর কত?
আরও পড়ুন: অলিম্পিকে নিষিদ্ধ রাশিয়া, তবু টোকিওয় জয়জয়কার রাশিয়ান প্রতিযোগীদেরই, কারণ জানুন
টোকিও অলিম্পিকে প্রথমবার পুনরায় ব্যবহারযোগ্য পুরোনো ইলেকট্রনিক্স দ্রব্য দিয়ে পদক বানানো হয়েছে। যে ইলেকট্রনিক্স দ্রব্য দিয়ে অলিম্পিক পদক বানানো হয়েছে, তা জাপানবাসীরা দান করেছেন। জানা গিয়েছে, পদক তৈরির জন্য ৬২ লক্ষ পুরোনো মোবাইল ফোন ব্যবহার করা হয়েছে। সেই সঙ্গে ৩২ কেজি সোনাও লেগেছে পদক তৈরির সময়।
অলিম্পিকের স্বর্ণ পদকের ওজন ৫৫৬ গ্রাম। রুপো এবং ব্রোঞ্জ পদকের ওজন যথাক্রমে ৫৫০ এবং ৪৫০ গ্রাম। ভারতে সোনার বর্তমান বাজারদর অনুযায়ী, সোনার পদকের মোট দাম হওয়া উচিত ২৬ লক্ষ টাকারও বেশি। তবে ব্যাপারতা মোটেও এত সহজ নয়। স্বর্ণব্যবসায়ীর কাছে যদি কেউ সোনার পদক বিক্রি করতে যান, তাহলে ৬৫,৭৯০ টাকার বেশি পাবেন না।
আরো পড়ুন: ঐতিহাসিক রুপো জয়েই লক্ষ লক্ষ টাকার পুরস্কার! চানুর সঙ্গেই টাকায় ভাসবেন কোচও
কেন এমন? ব্যাপারটা খোলসা করে বলা যাক, ৫৫৬ গ্রাম সোনার পদকের জন্য ৬৬ হাজার টাকার বেশি কেন পাওয়া যাবে না। ৫৫৬ গ্রাম পদকের মোট ওজন হলেও সোনা রয়েছে মাত্র ৬ গ্রাম। বাকি ৫৫০ গ্রাম পুরোটাই রুপো। সেই অনুযায়ীই সোনার দাম ২৮ হাজার ৫০০ টাকা! রুপোর দাম বর্তমান বাজারমূল্য অনুযায়ী ৩৭,২৯০ টাকা। সবমিলিয়ে দাম ৬৫,৭৯০ টাকা। তবে অলিম্পিকের স্বর্ণপদক কেই বা আর বাজার দরের নিক্তিতে মাপতে গিয়েছেন!
আরো পড়ুন: কানের দুলের জোরেই নাকি অলিম্পিকে রুপো! কীর্তি গড়তেই ফাঁস চানুর রিং-রহস্য
যাইহোক, টোকিও অলিম্পিকে এথলিটদের পদক দেওয়া হচ্ছে বিশেষ এক বাক্সে। সেই বক্সের আচ্ছাদন আবার কাঠের বিশেষ শেল দিয়ে তৈরি। জাপানের ঐতিহ্য তুলে ধরা হয়েছে সেই কাঠের বাক্সে। প্রতিটা বক্সের প্যাটার্ন আবার আলাদা।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন