দেশকে গর্বিত করেছেন কয়েক ঘন্টা আগেই। রুপো জিতে অলিম্পিকে দেশের পদকের খাতা খুলেছেন তিনি। ভারোত্তোলনে ৪৯ কেজি বিভাগে রুপো জিতে বিশ্বমঞ্চে দেশের নাম উজ্জ্বল করেছেন মীরাবাই চানু। চলতি অলিম্পিকে এটাই ভারতের প্রথম পদক। স্ন্যাচে প্রথমে ৮৭ কেজি এবং পরে ক্লিন এন্ড জার্ক-এ ১১৫ কেজি উত্তোলন করে দেশের রুপো জয় নিশ্চিত করেন।
পকেট হারকিউলিস নামেই ইতিমধ্যেই গোটা দেশে পরিচিতি পেয়ে গিয়েছেন তিনি। অলিম্পিকে নিজের চরম শক্তি যেমন বিশ্বকে দেখালেন, একইভাবে তেমনই আলোচনায় উঠে এল তাঁর কানের দুল। অলিম্পিকের পাঁচটি রিং-এর আদলে কানের দুল পরে মঞ্চে উঠেছিলেন। জানা গিয়েছে নিজেকে মোটিভেট করতে, অলিম্পিকে নিজের শ্রেষ্ঠত্ব প্রমাণ করতেই অভিনব দুল কানে লাগিয়ে পদক জয়ের স্বপ্ন দেখেছিলেন তিনি। কীর্তি গড়ার পরেই যা কার্যত বিশ্বের নজরে চলে আসে। তারপরেই মণিপুরী তরুণীর কানের দুল ভাইরাল।
আরো পড়ুন: ‘এর থেকে খুশির শুরু হতেই পারে না’, চানুর সাফল্যে উচ্ছ্বসিত মোদী! ট্যুইটে অভিনন্দন রাষ্ট্রপতিরও
আর মেয়ে যাতে অলিম্পিকের মঞ্চে পদক জিততে পারেন, সেই কারণেই বিশেষ এই অলিম্পিক রিং বানান স্বয়ং চানুর মা। নিজের সমস্ত গহনা বিক্রি করেই এই বিশেষ রিং বানান তিনি। রিও অলিম্পিকের আগে। ব্রাজিলে সৌভাগ্য মেলেনি। পাঁচ বছর পর টোকিও জানান দিল মায়ের উপহার সত্যিই সৌভাগ্য বয়ে এনেছে মীরাবাই চানুর জন্য।
মেয়ে পদক জিততেই মা বাড়িতে সাংবাদিকদের তিনি জানিয়েছেন, "টিভিতে ওঁর কানের দুল দেখেছি। সৌভাগ্য ফেরানোর জন্যই রিও অলিম্পিকের আগে ওটা বানিয়ে দিয়েছিলাম। এটা দেখে চোখের জল বাঁধ মানেনি আমার। ওর বাবাও আনন্দে কেঁদে ফেলেছেন।"
আরো পড়ুন: Tokyo Olympics 2020: অলিম্পিকে রুপোয় শুরু ভারতের! দেশকে গর্বের সিংহাসনে বসালেন চানু
এই নিয়ে অলিম্পিকের মঞ্চে কর্ণম মালেশ্বরীর পর দ্বিতীয় ভারতীয় ভারোত্তোলক মহিলা হিসাবে পদক জিতলেন মীরাবাই চানু। ২০০০-এ সিডনি অলিম্পিকে কর্ণম মালেশ্বরী ব্রোঞ্জ জিতেছিলেন।
শনিবার চিনের হউ জিহুই সর্বমোট ২১০ কেজি উত্তোলন করে অলিম্পিকে রেকর্ড গড়ে সোনা জেতেন। ব্রোঞ্জ জেতেন ইন্দোনেশিয়ার উইন্ডি ক্যান্টিকা (স্ন্যাচ, ক্লিন এন্ড জার্ক মিলিয়ে ১৯৪ কেজি)।
ব্যক্তিগত বিভাগে সবমিলিয়ে পঞ্চম ভারতীয় মহিলা এথলিট হিসাবে অলিম্পিকে পদক জিতলেন মীরাবাই চানু। মীরাবাই এবং কর্ণম মালেশ্বরী বাদে অলিম্পিকে দেশকে গর্বিত করেছেন সাইনা নেহওয়াল (মহিলাদের সিঙ্গলস ব্যাডমিন্টন ব্রোঞ্জ, লন্ডন অলিম্পিক, ২০১২), পিভি সিন্ধু (মহিলাদের সিঙ্গলস ব্যাডমিন্টন রুপো, রিও অলিম্পিক, ২০১৬) এবং সাক্ষী মালিক (কুস্তিতে ব্রোঞ্জ, রিও অলিম্পিক, ২০১৬)।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন