এথলেটিক্সে দীর্ঘ ১০০ বছরের প্রতীক্ষার অবসান ঘটিয়েছেন সোনার ছেলে নীরজ চোপড়া। টোকিওর মঞ্চে ইতিহাস গড়ার পরেই হরিয়ানা সরকার ঘোষণা করে দিল যে ক্যাটাগরির সরকারি চাকরির সঙ্গে ৬ কোটি টাকা দেওয়া হবে মহাতারকা জ্যাভেলিন থ্রোয়ারকে।
হরিয়ানা মুখ্যমন্ত্রী মনোহরলাল খাট্টার নীরজের কীর্তির পরেই সাংবাদিকদের জানিয়ে দেন, "পাঁচকুল্লায় এথলিটদের জন্য একটি সেন্টার ফর এক্সিলেন্স তৈরি করা হবে। সেখানে নীরজ ইচ্ছাপ্রকাশ করলে হেড হতে পারে। অন্যান্য এথলিটদের মত ওঁকেও ৫০ শতাংশ ছাড়ে জমি দেওয়া হবে।"
আরও পড়ুন: অলিম্পিকে টর্নেডো বজরঙ্গি ‘ভাইজান’-এর! প্রতিপক্ষকে ধ্বংস করে ব্রোঞ্জ দিলেন দেশকে
এর আগে খাট্টার জানিয়ে দিয়েছিলেন, কুস্তিতে ব্রোঞ্জ জয়ী বজরং পুনিয়াকে ২.৫ কোটি টাকা, সরকারি চাকরি, এবং ৫০ শতাংশ ছাড়ে জমি দেওয়া হবে। সেইসঙ্গে ঝাঁঝরে বজরংয়ের গ্রাম খুনদানে একটি ইন্ডোর স্টেডিয়ামও তৈরি করা হবে। ৬৫ কেজি ফ্রি স্টাইল কুস্তিতে বজরং ব্রোঞ্জ জেতেন কাজাখস্তানের দৌলেত নিয়াজবেকভকে হারিয়ে।
আর বজরংয়ের কীর্তির পরেই ভারতের হয়ে ইতিহাস গড়ে ফেলেন নীরজ চোপড়া। ট্র্যাক এন্ড ফিল্ডে প্রথমবারের মত সোনার পদক জিতে। হরিয়ানার খান্দ্রা গ্রামে কৃষক সন্তান নীরাজ এদিন ফাইনালে ৮৭.৫৮ মিটার থ্রো-য়ে চমকে দেন জ্যাভেলিন বিশ্বকে। তখনই নিশ্চিত হয়ে যায় ট্র্যাক এন্ড ফিল্ডে ১০০ বছরের দীর্ঘ পদক খরা কাটিয়ে দেশকে পদক এনে দিচ্ছেন নীরজ।
আরও পড়ুন: টোকিওয় ইতিহাস ভারতের! রেকর্ড গড়ে সোনা দিলেন নীরজ
ব্যক্তিগত বিভাগে এটাই অলিম্পিকে ভারতের দ্বিতীয় স্বর্ণপদক। এর আগে বেজিং অলিম্পিকে দেশকে শ্যুটিংয়ে সোনা এনে দিয়েছিলেন অভিনব বিন্দ্রা।
সব মিলিয়ে অলিম্পিকের ইতিহাসে ভারতের সেরা পারফরম্যান্স এবারেই। মোট সাতটি পদক জিতে ভারত আগের সেরা সাফল্য ২০১২-য় লন্ডন অলিম্পিকের হাফডজন পদক প্রাপ্তিকেও ছাপিয়ে গেল ভারত।
১৯২০ সালে বেলজিয়ামের আন্টওয়ার্পে অনুষ্ঠিত হওয়া অলিম্পিকে প্ৰথমবার অংশগ্রহণ করে ভারত। একশো বছরের সেই অলিম্পিক ইতিহাসে ভারত আগে কখনো এথলেটিক্সে পদক পায়নি।
আরও পড়ুন: নীরজের ইতিহাসে গর্বিত মুখ্যমন্ত্রী! দেশকে উদযাপন করার বার্তা মমতার
এর আগে নর্ম্যান পিচার্ড ১৯০০ সালে ২০০ মিটার এবং ২০০ মিটার হার্ডলসে রুপো জিতলেও তিনি সেই সময় গ্রেট ব্রিটেনের হয়ে প্রতিনিধিত্ব করেছিলেন। ১৯২০ সালে ভারত সরকারিভাবে প্ৰথমবার অলিম্পিকে অংশ নেয়। সেই শাপমুক্তিই ঘটল ঠিক ১০১ বছরে এসে। নীরজ চোপড়ার হাত ধরে।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন