এথলিটরা যাতে গেমস ভিলেজে যৌন সঙ্গম না করতে পারেন সেই কারণে এবার কার্ডবোর্ডের নির্মিত বিছানা দেওয়া হল। এমন ঘটনা প্রকাশ্যে আসতেই সোশ্যাল মিডিয়ায় নেটিজেনরা অদ্ভুত বলে দেগে দিয়েছেন এই সিদ্ধান্তকে।
জানা গিয়েছে, অলিম্পিক্স শেষের পর এই কার্ডবোর্ড রিসাইকেল করে পুনরায় কাগজের দ্রব্য বানানো হবে। করোনা অতিমারীতে অলিম্পিক্স-এর সময়েও সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা উচিত এই ভাবনাকে বাস্তবায়িত করতে আগেই এমন ভাবনা প্রকাশ করেছিল অলিম্পিক্স কর্তৃপক্ষ। ২০২০-র জানুয়ারিতে প্রথমবার সর্বসমক্ষে আনা হয় যৌনতা বিরোধী এই শয্যা। জানা গিয়েছে, এই বিছানা ২০০ কেজি পর্যন্ত ওজন ধরে রাখতে সক্ষম।
আরো পড়ুন: Tokyo Olympics-এ করোনাতঙ্ক, গেমস ভিলেজের অন্দরে সংক্রমণের হানা
রিও অলিম্পিকসের ৫০০০ মিটারে রূপজয়ী এথলিট পল চিলেমো টুইটারে এই বিছানার ছবি প্রকাশ্যে এনে মজাদার পোস্ট করেন। তিনি টুইটার থ্রেডে ছবি প্রকাশ করার লেখেন, "টোকিও অলিম্পিকে কার্ডবোর্ডের তৈরি বিছানা দেওয়া হচ্ছে। এথলিটদের মধ্যে পারস্পরিক দূরত্ব বজায় রাখার জন্য এই শয্যা বসানো হয়েছে। এই বিছানা কেবলমাত্র একজনেরই ভার বহন করতে পারবে। তবে আমাদের মত লং ডিস্টেন্স রানাররা এই ওজনের নির্ধারিত সীমার মধ্যেই চার জন বিছানা শেয়ার করতে পারব।"
থ্রেডে তিনি আরো মজা করে লিখেছেন, "যাঁরা ঘুমের মধ্যে প্রসাব করেন, তাঁরা সমস্যায় পড়বেন। কার্টন বাক্স যদি ভিজে যায়, তাহলে বিছানা ভেঙে পড়তে পারে। ফাইনালের আগে এমনটা হলে তো কথাই নেই।" এর সঙ্গে তিনি আরো জুড়ে দেন, "মেঝেতে শোয়া অনুশীলন করছি। কারণ মাঝরাতে যদি আমার বিছানা ভেঙে যায়, আর মেঝেতে শোয়া অভ্যেস না থাকে, তাহলে তো সমস্যায় পড়ব!"
চিলেমোর এই লম্বা টুইটার থ্রেড মুহূর্তেই ভাইরাল হয়ে যায়। অনেকেই সোশ্যাল ডিস্টেন্স বজায় রাখতে টুর্নামেন্ট কমিটির এমন বিছানা আয়োজনকে স্বাগত জানিয়েছেন। অনেকে আবার রসিকতার সুরে বলেছেন, বিছানা বাদ দিয়ে অন্যত্র সঙ্গম করার পরিকল্পনা করলে, কী ব্যবস্থা নেওয়া হবে?
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন