Rishabh Pant accident: ঋষভ পন্থ কে! দু-বছর আগেও জানতেন না রজত কুমার এবং নিশু কুমার। কিন্তু এক্সপ্রেসওয়েতে কোটি কোটি টাকার গাড়ি আছড়ে পড়তে দেখে সুপারস্টার ক্রিকেটারের প্রাথমিক নিরাপত্তার ব্যবস্থা করেছিলেন তাঁরাই। নিকটবর্তী এক ফ্যাক্টরিতে কাজ করতেন দুজনে। সেই মুহূর্তে পন্থকে জ্বলন্ত গাড়ি থেকে বের করে আনা ছাড়াও আরও একটা গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন তাঁরা। তা হল নিকটবর্তী হাসপাতালে ভর্তি করা।
পন্থকে জীবন দান করার প্রতিদান তাঁরা পেয়েছেন। দুজনকেই তারকা ক্রিকেটার গাড়ি উপহার দিয়েছেন। পন্থ যখন আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ফের একবার আলো ছড়াচ্ছেন, সেই সময় রজত কুমার এবং নিশু কুমার স্কুটার চালিয়ে প্রাত্যহিক কাজ সারেন।
সম্প্রতি ৭ ক্রিকেট চ্যানেলের হয়ে সাংবাদিক ভরত সুন্দারেসেন সেই দুজন ব্যক্তির সঙ্গে আলাপ সেরেছেন। চ্যানেলের তরফে ভিডিও শেয়ার করা হয়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়।
আরও পড়ুন: বল কাঁচা ছুড়ছে বুমরা! ঐতিহাসিক স্পেলের পরেই মরণ-কান্না অস্ট্রেলিয়ানদের, কী বলছে ICC
রৌরকির কাছে প্রাণঘাতী এই দুর্ঘটনা পন্থের কাছ থেকে কেড়ে নিয়েছে এক বছরের বেশি সময়। ডান হাঁটুতে লিগামেন্ট ছিঁড়ে গিয়েছিল। মাথায় গভীর ক্ষত তৈরি হয়েছিল। ভয়ঙ্কর গাড়ি দুর্ঘটনার পরের সকালেই পন্থের মা ছুটে গিয়েছিলেন উত্তরাখণ্ডে নির্দল প্রার্থী হিসেবে জিতে আসা বিধায়ক উমেশ কুমারের কাছে।
The two people who saved Rishabh Pant's life after his accident had no idea who he was.@beastieboy07 travels back to India to retrace the steps from Pant's accident to his return, but also much more than that.
— 7Cricket (@7Cricket) November 23, 2024
The tale of Rishabh's recovery, from those closest to him 🙏 pic.twitter.com/UuzaJBN0QT
সেই বিধায়ক ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসকে জানিয়েছিলেন, কীভাবে দুজন ব্যক্তি পন্থের উদ্ধারে প্রশংসনীয় কাজ করেন। বলেছিলেন, "ঠিক যেন ঈশ্বরের দূত হয়ে ওঁরা হাজির হয়েছিলেন ওঁরা। ঋষভের জীবন ওঁরা বাঁচিয়ে দিয়েছিলেন। দেহরাদুনে ওঁদের নিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্তও ওঁকে বাঁচিয়ে দিয়েছিল।"
স্বাভাবিক অবস্থার তুলনায় পন্থের হাঁটু ৯০ ডিগ্রি বেঁকে গিয়েছিল। এমনকি গাড়ি থেকে বের করার সময় পন্থের হাঁটু স্বাভাবিক অবস্থায় আনতে রীতিমত সোজা করতে হয়। পন্থের শৈশবের কোচ দেবেন্দর শর্মা যাঁকে ৭ ক্রিকেটের ভিডিওতেও দেখা গিয়েছে, তিনি পন্থের দুরবস্থা ব্যক্ত করেছিলেন।
দেবেন্দর শর্মা জানিয়েছিলেন, "শরীর থেকে মাংসপেশি খুলে বেরিয়ে এসেছিল। ঘাড়ের পিছন থেকে পিঠের নিম্নাঙ্গের হাড় স্পষ্ট দেখা যাচ্ছিল। ব্যান্ডেজ লাগাতে ৫ ঘন্টা সময় লেগেছিল। গোটা সময়ে ওঁকে দুবার সংজ্ঞাহীন করতে হয়। ওঁর গোটা শরীর ছাড়িয়ে নেওয়া কাঠের খণ্ডের মত মনে হচ্ছিল।"
প্ৰথম টেস্ট শুরু হওয়ার আগে ঋষভ পন্থের সঙ্গে ফক্স ক্রিকেটের সঞ্চালক মার্ক হাওয়ার্ড কথা বলেছিলেন। কীভাবে পন্থ ভয়াল দুর্ঘটনা কাটিয়ে ফিরে এসেছিলেন, সেকথা জানিয়েছেন সুপারস্টার নিজেও।