Jasprit Bumrah bowling in Perth Test: অস্ট্রেলিয়াকে ধুয়েমুছে সাফ করে দিয়েছেন জসপ্রীত বুমরা। পারথ টেস্টে ভারত প্রায় কোমায় চলে গিয়েছিল। সেখান থেকে হ্যাঁচকা টানে ভারতকে ফিরিয়ে এনেছেন জয়ের সরণিতে।
পারথের অপটাস স্টেডিয়ামে বুমরার ম্যাজিক স্পেল শুরু হয় মাত্র তৃতীয় ওভারেই। বুমরার ভয়াল নিপ ব্যাকার সামলাতে না পেরে লেগ বিফোর হয়ে যান অভিষেক ঘটানো ম্যাকসোয়েনি।
এরাউন্ড দ্য উইকেট থেকে এসে উসমান খোয়াজাকে আউট করেন বুমরা। ঠিক পরের বলেই বুমরার দুরন্ত গতির ফুল লেন্থের বল সামনে পেয়ে যায় স্টিভ স্মিথের পা। হ্যাটট্রিকের সম্ভবনা জাগিয়েও অবশ্য শেষ পর্যন্ত তা হয়নি।
প্ৰথম দিনের শেষে বুমরার নামের পাশে ১০ ওভারে ১৭ রানে ৪ উইকেট। ক্যাপ্টেন বুমরাকে দেখে অনুপ্রাণিত হয়ে শেষমেশ জ্বলে ওঠেন মহম্মদ সিরাজও। তিনি মিচেল মার্শ এবং মার্নাস লাবুশেনকে ফেরত পাঠান। প্রথম দিনে অস্ট্রেলিয়া ৬৭/৭ ধসে যাওয়ার পরে দ্বিতীয় দিনে কোনওরকমে ১০৪ তুলে অলআউট হয়ে যায়।
আরও পড়ুন: বুমরাই বেস্ট, দুনিয়ার সেরা! কলার তুলে বিশ্বমঞ্চে এবার কুর্নিশ মালিঙ্গার
বুমরা সকালের সেশনে প্ৰথম বলেই অপরাজিত ব্যাটার আলেক্স ক্যারিকে আউট করে নিজের ৫ উইকেট পূর্ণ করে যান। বুমরার এমন উদ্দীপ্ত পারফরম্যান্সের পরেই লাসিথ মালিঙ্গা সরাসরি প্রাক্তন সতীর্থকে দুনিয়ার সেরা আখ্যা দিয়ে দেন। নিজের ফেসবুক প্রোফাইলে মালিঙ্গা লিখে দেন, 'দুনিয়ার সেরা'।
ওয়াসিম জাফর লিখে দেন, 'আনপ্লেয়েবল'। আকাশ চোপড়া আবার ভারতের স্ট্যান্ড ইন ক্যাপ্টেনকে '২৪ ক্যারাট সোনা'র সঙ্গে তুলনা করে বসেন। বুমরার বিক্রম নিয়ে গোটা দুনিয়া হৈচৈ পড়ে গেলেও অজি সমর্থকদের তরফে সোশ্যাল মিডিয়ায় 'চাকার' বলে ভাসিয়ে দেওয়া হচ্ছে।
Everyone’s too scared to mention the elephant in the room, but Bumrah’s chucking it.
— ~ 🤌🤌🤌 ~ (@2wenty2wenty2) November 22, 2024
@FoxCricket analysing Bumrah’s technique in slow motion and all I can see is a bent elbow and chucking. #AUSvsIND
— Tim Findlay (@TimFindlay) November 22, 2024
How is Jaspreet Bumrah even allowed to bowl with that action. He is clearly chucking!! #INDvsAUS
— Shahid (@shhhahidd) November 22, 2024
কী বলা হয়েছে আইসিসির নিয়মে?
আইসিসির নিয়মে স্পষ্ট বলা হয়েছে, কোনওভাবেই কনুই ১৫ ডিগ্রির বেশি ভাঁজ করা যাবে না। তবে ঘটনা হল, বুমরা নিয়মের মধ্যে থেকেই প্রতি বল করে থাকেন। বুমরার অদ্ভুত বোলিং একশনের রহস্য আসলে তাঁর হাতের হাইপারএক্সটেনশন। যা পুরোপুরি আইসিসির নিয়মের মধ্যেই পড়ে।
বল রিলিজ করার বুমরার কনুই পিছনের দিকে অনেকটাই বাঁক খেয়ে যায়। তবে তা বুমরার হাতের শারীরিক গঠনের জন্যই। শোয়েব আখতারের ক্ষেত্রেও এরকম হাইপারএক্সটেনশন বৈশিষ্ট্য ছিল। তা নিয়েই তিনি আগুনে গতিতে বোলিং করে গিয়েছেন বছরের পর বছর।
বুমরার হাত এই হাইপারএক্সটেনশনের জন্যই অদ্ভুত এক কোন তৈরি করে ব্যাটারদের কাছে বিভ্রম তৈরি করে। যা সামলাতে না পেরে বাঘ বাঘা ব্যাটার বছরের পর বছর আউট হয়ে চলেছেন। পারথে যে দৃশ্য দেখল প্ৰথম দিন। তা বুমরার কাছে অন্য সাধারণ দিনের মতই। নিজেকে এমনই উচ্চতায় নিয়ে গিয়েছেন তিনি!