গতবার বাংলাদেশের কাছে হেরে ভারতের ছোটদের স্বপ্নভঙ্গ হয়েছিল। স্বপ্নভঙ্গের সেই মঞ্চেই এবার ইতিহাস গড়ল ইয়াশ ধুল এন্ড কোং। যুব বিশ্বকাপে পঞ্চমবারের মত চ্যাম্পিয়ন হল ভারতের ছোটরা। স্যার ভিভিয়ান রিচার্ডস স্টেডিয়ামে টিম ইন্ডিয়া যুব বিশ্বকাপে একপেশে লড়াইয়ে হারিয়ে দিল ইংল্যান্ডকে।
ইংল্যান্ডের অধিনায়ক টম প্রেস্ট টসে জিতে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন। তবে সেই সিদ্ধান্ত শেষ পর্যন্ত বুমেরাং হয়ে যায়। ভারতের দুই পেসার রবি কুমার এবং রাজ বাওয়া দুজনের মধ্যে ৯ উইকেট ভাগাভাগি করে ইংল্যান্ডের টপ অর্ডারকে ধসিয়ে দেন। একসময় ইংল্যান্ড ৯১/৭-এ ধুঁকছিল।
আরও পড়ুন: জয় শাহের সঙ্গে কি সম্পর্কে ফাটল! গুঞ্জন থামিয়ে মুখ খুললেন স্বয়ং সৌরভ
অষ্টম উইকেটে জেমস র (১১৬ বলে ৯৫) এবং জেমস সেলস (৬৫ বলে ৩৪) ৯৩ রানের পার্টনারশিপ গড়ে দলকে ১৮৯ রানে পৌঁছে দেন।
জবাবে ব্যাট করতে নেমে ভারতীয় ইনিংসে দ্বিতীয় ওভারেই আউট হয়ে যান অঙ্গকৃষ রঘুবংশী (০)। এরপরে দ্বিতীয় উইকেটে হরনুর সিং (৪৬ বলে ২১) এবং শেখ রশিদের (৮৪ বলে ৫০) ব্যাটে ভর করে ভারত ম্যাচে ফিরে আসে। অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে সেমিফাইনালে ৯৪ করার পরে ফাইনালের মত বড় মঞ্চে ফের একবার নিজের জাত চেনালেন রশিদ।
আরও পড়ুন: কুম্বলে-কোহলি সংঘাতের আসল কারণ তাহলে এটাই! অবশেষে ফাঁস প্রাক্তন বোর্ড কর্তার
এরপরে ফর্মে থাকা রশিদ এবং ক্যাপ্টেন ধুলের উইকেট অল্প রানের ব্যবধানে হারায় ভারত। তবে ভারতের মিডল অর্ডার চাপের মুখে জ্বলে ওঠে। নিশান্ত সাধু (৫৪ বলে ৫০) এবং রাজ বাওয়া (৫৪ বলে ৩৫) সমস্যা মিটিয়ে দেন। সাধু অপরাজিত হাফসেঞ্চুরি করে যান। শেষদিকে দীনেশ বানা (৫ বলে ১৩) জোড়া ছক্কা হাঁকিয়ে ম্যাচ ফিনিশ করেন। ৪৭.৪ ওভারেই ম্যাচ জিতে নেয় ভারত।
সেমিফাইনালে কুলিজ স্টেডিয়ামে ভারত অস্ট্রেলিয়াকে সহজেই পরাস্ত করেছিল। যুব বিশ্বকাপে ১৯৯৮ সালে শেষবার ফাইনালে পৌঁছেছিল ইংল্যান্ড। সেবারই টুর্নামেন্টে একমাত্র এবং প্ৰথমবার চ্যাম্পিয়ন হয় ভারতের ছোটরা।
ভারত টুর্নামেন্টের শুরুতে বেশ সমস্যায় পড়ে কোভিডের কারণে। ইয়াশ ধুল এবং শেখ রশিদ করোনা আক্রান্ত হয়ে প্ৰথম দুটো ম্যাচে খেলতে পারেননি। তবে দলের গভীরতা এতটাই ছিল না অপরাজিত থেকেই যুব বিশ্বকাপ চ্যাম্পিয়ন টিম ইন্ডিয়া।
অসাধারণ জয়ের পরে অধিনায়ক ধুল সাপোর্ট স্টাফদের প্রশংসায় ভরিয়ে দিয়েছেন। "ভারতের জন্য এরকম করতে পেরে আমরা গর্বিত। টুর্নামেন্টের শুরুতে কম্বিনেশন ঠিক করতে সমস্যায় পড়তে হয়েছিল। তবে সময় গড়ানোর সঙ্গে আমরা পরিবারের মত হয়ে উঠেছি। ড্রেসিংরুমের পরিবেশও দারুণ ছিল। এমন সাপোর্ট স্টাফের অধীনে খেলতে পারাটা দারুণ মুহূর্ত হয়ে থাকল।"
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন