Uruguay Footballer death: গত সপ্তাহে ন্যাশিওনালের জার্সিতে খেলতে খেলতে মাঠেই সংজ্ঞা হারিয়ে পড়ে গিয়েছিলেন। হৃদযন্ত্রে ত্রুটি ধরা পড়েছিল। অনিয়মিত হৃদস্পন্দন জনিত সমস্যা প্রকট হয়েছিল, সেই হুয়ান ইজকুইয়েরদোর মৃত্যু সংবাদ জানানো হল ক্লাবের তরফে।
২২ অগাস্ট কোপা লিবার্তডোরেস-এ ব্রাজিলের সাও পাওলোর বিরুদ্ধে ম্যাচের পর চিকিৎসাধীন ছিলেন তিনি। তারপর ক্লাবের তরফে প্রেস বিবৃতিতে জানানো হল, "হৃদয়ে দুঃখ এবং যন্ত্রণা নিয়ে ক্লাব ন্যাশিয়ানল প্রিয় ফুটবলার হুয়ান ইজিকুয়েরদোর মৃত্যু ঘোষণা করছে। ওঁর ঘনিষ্ঠ বন্ধু-বান্ধব, আত্মীয়-স্বজন সকলের প্রতি আমাদের আন্তরিক সমবেদনা প্রকাশ করছি। এই অপূরণীয় ক্ষতির জন্য পুরো ন্যাশিওনাল শোকে কাতর।"
Con el más profundo dolor e impacto en nuestros corazones, el Club Nacional de Football comunica el fallecimiento de nuestro querido jugador Juan Izquierdo.
— Nacional (@Nacional) August 28, 2024
Expresamos nuestras más sinceras condolencias a su familia, amigos, colegas y allegados.
Todo Nacional está de luto por… pic.twitter.com/mYU28mqw6m
ল্যাটিন আমেরিকার ফুটবল সংস্থার প্রধান আলেহান্দ্র ডমিনগুয়েজ সমবেদনা প্রকাশ করেছেন। বলে দিয়েছেন, "দক্ষিণ আমেরিকার ফুটবল শোক প্রকাশ করছে।" প্রতিপক্ষ দল সাও পাওলোর তরফে জানানো হয়েছে, তাঁরাও এই ঘটনায় গভীরভাবে মর্মাহত। নিজেদের প্রেস বিবৃতিতে ব্রাজিলের ক্লাবটি 'ফুটবলের কালো দিন' হিসাবে আখ্যা দিয়েছে।
আরও পড়ুন: এত বিশ্রাম কেন কোহলি-রোহিত-বুমরাকে! বোর্ডের নীতিতে নিন্দায় সরব মঞ্জরেকর
তারকা ফুটবলারের দুঃসংবাদ ভেসে আসার পরই উরুগুয়ের প্ৰথম এবং দ্বিতীয় ডিভিশনের ফুটবল লিগ সাময়িকভাবে বন্ধ করে দেওয়া হয়। উরুগুয়ের পেশাদারি ফুটবল সংস্থা এমইউএফপি জানিয়েছিল, "ফুটবলার হুয়ান ইজিকুয়েরদোর স্বাস্থ্য পরিস্থিতির কারণে আমরা সপ্তাহান্তে পেশাদারি ফুটবল সংক্রান্ত কার্যকলাপ স্থগিত রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।"
উরুগুয়ের একাধিক লিগে সেরো, পেনারল, ওয়ান্ডারার্স, লিভারপুলের হয়ে খেলেছেন। অভিশপ্ত সেই ম্যাচে মরুমবি স্টেডিয়ামে কোনও ফুটবলারের সঙ্গে শারীরিক সঙ্ঘর্ষ ছাড়াই ৮৪ মিনিটে সংজ্ঞাহীন হয়ে লুটিয়ে পড়েছিলেন ইজিকুয়েরদো। হৃদরোগে আক্রান্ত হয়েছিলেন। জরুরিকালীন ভিত্তিতে তাঁর চিকিৎসা শুরু হয়। মাঠ থেকে এম্বুলেন্সে করে আলবার্ট আইনস্টাইন হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় তাঁকে তড়িঘড়ি। সেখানে আইসিইউতে চিকিৎসা করেও অবশ্য প্রাণে বাঁচানো গেল না তাঁকে।