Vaibhav Suryavanshi Rising Sensation in U-19 Cricket: এক বছর আগেও ছুটতেন বড় তারকাদের অটোগ্রাফ নিতে। আজ তিনি নিজেই এত বড় তারকায় পরিণত হয়েছেন যে মানুষ তাঁর সঙ্গে সেলফি তোলার জন্য উদগ্রীব। শুধু ভারতে নয়, ইংল্যান্ডেও একই চিত্র দেখা যাচ্ছে। বিরল প্রতিভার অধিকারী বৈভব সূর্যবংশী (Vaibhav Suryavanshi) এখন ইংল্যান্ডে অটোগ্রাফ বিলোচ্ছেন। অনুরাগীরা তাঁর সঙ্গে সেলফি তোলার অনুরোধ করছেন এবং এক ঝলক তাঁকে দেখতে ক্রিকেটপ্রেমীরা ঘণ্টার পর ঘণ্টা গাড়ি চালিয়ে মাঠে পৌঁছাচ্ছেন।
১৪ বছর বয়সি বৈভব সূর্যবংশী IPL 2025-এ রেকর্ডগড়া সেঞ্চুরির পর ভারতের ঘরে ঘরে পরিচিত নাম হয়ে উঠেছেন। বিহারের এই প্রতিভাবান ক্রিকেটার এখন অনূর্ধ্ব-১৯ দলের ইংল্যান্ড সফরে (IND vs ENG) সবার নজর কেড়েছেন। মিডিয়ার নজর থেকে ইচ্ছাকৃতভাবে তাঁকে দূরে রাখা হলেও মাঠে তাঁর পারফরম্যান্স ইউরোপের মাটিতেও কারও চোখ এড়ায়নি।
ব্রিটেনে বসবাসকারী বিশাল ভারতীয় অভিবাসী সম্প্রদায় এবং স্থানীয়দের দৃষ্টি বেকেনহ্যামে অনুষ্ঠিত প্রথম ইউথ টেস্টের দিকে ছিল, যেখানে বৈভব সূর্যবংশীর খেলা সবাইকে মুগ্ধ করেছে। ম্যাচের শেষ দিনে কেন্ট কাউন্টি ক্রিকেট মাঠে তাঁর অটোগ্রাফ নেওয়ার পর বেকেনহ্যামের এক স্থানীয় শিশু বলেন, “তিনি আমার আদর্শ। তাঁর আগ্রাসী ব্যাটিং স্টাইল আমার খুব পছন্দ।”
আরও পড়ুন ব্যাটে তাণ্ডবের পর বল হাতেও বিধ্বংসী বৈভব, ইংল্যান্ডে নয়া ইতিহাস বিস্ময় কিশোরের
মাত্র ১০ দিন আগে ওরচেস্টারে ইংল্যান্ড অনূর্ধ্ব-১৯ দলের বিরুদ্ধে ৫০ ওভারের ম্যাচে বৈভব সূর্যবংশী ৭৮ বলে ১৪৩ রানের বিধ্বংসী ইনিংস খেলেছিলেন। সেই ম্যাচে খেলেছিলেন ইংল্যান্ড অনূর্ধ্ব-১৯ দলের বাঁ-হাতি স্পিনার রালফি অ্যালবার্ট, যিনি ইউথ টেস্টেও খেলেছেন। টেস্টের চতুর্থ দিন শেষে অ্যালবার্ট বলেন, “আমি পুরো ওয়ানডে সিরিজে তাঁকে বল করেছি। ভেবেছিলাম টেস্টে হয়তো তিনি একটু ধীরে খেলবেন, কিন্তু তিনি একই ছন্দে খেলে গেলেন। সত্যিই দুর্দান্ত এক খেলোয়াড়।”
লন্ডনে বসবাসকারী ভারতীয় বংশোদ্ভূত এক দম্পতি শুধুমাত্র বৈভব সূর্যবংশীকে দেখার জন্য দুই ঘণ্টার পথ অতিক্রম করে মাঠে পৌঁছান। ব্রিটেনে সরকারি চাকরিরত সঞ্জীব বলেন, “আমি শুধু সূর্যবংশীর জন্য এসেছি। আশা করি তাঁর সঙ্গে একটি ছবি তুলতে পারব।” যদিও সেলফি তোলার ইচ্ছে পূর্ণ হয়নি, কারণ সন্ধ্যা ৭টা ৩০ পর্যন্ত খেলা চলেছিল, দুই দলই জেতার জন্য মরিয়া ছিল। বৈভবকে এখনও অনেক দূর এগোতে হবে। বিশ্বজুড়ে জনপ্রিয়তার চাপ সামাল দেওয়ার উপায় তাঁকেই খুঁজে বের করতে হবে।