ফুটবল বিশ্বের নবতম ও সবচেয়ে চর্চিত সদস্য ভিডিও অ্যাসিস্টান্ট রেফারি (ভিএআর)। এবার আসন্ন ২০১৯ এশিয়ান কাপে অভিষেক করতে চলেছে এই প্রযুক্তি। বৃহস্পতিবার এমনটাই জানিয়ে দিয়েছে এশিয়ান ফুটবল কনফেডারেশন (এএফসি)। যদিও পুরো টুর্নামেন্ট জুড়ে এই প্রযুক্তি ব্যবহৃত হবে না। টুর্নামেন্টের কোয়ার্টার ফাইনাল থেকে ফাইনাল পর্যন্ত মোট সাতটি ম্যাচে থাকবে ভিএআর। রাশিয়া বিশ্বকাপে আলোড়ন ফেলে দিয়েছিল ভিএআর। যদিও অনেকেই এই প্রযুক্তিকে ভাল চোখে দেখেননি। ফুটবলে ভিএআর এখনও বিতর্কিত সংযোজন।
অনেকটা ক্রিকেটের থার্ড আম্পায়ারের মতোই ফুটবলে কাজ করে ভিএআর। ভিডিও প্রযুক্তির সাহায্যে নিয়েই রেফারি সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে পারবেন। কোনও সংশয় হলেই তিনি দ্বারস্থ হন ভিএআর-এর। খেলোয়াড়রা চাইলেও রেফারি কার্ড, অফসাইড বা পেনাল্টির মতো সিদ্ধান্তগুলো নিতে পারেন ভিএআর-এর সাহায্যে। গত বছর কনফেডারেশন কাপে ভিএআর ব্যবহৃত হয়েছিল। সেরি-আ ও বুন্দেশলিগায় এর প্রচলন রয়েছে। এবং গত নভেম্বরে ইংল্যান্ড বনাম জার্মানি প্রীতি ম্যাচে প্রথম ফিফা নিয়ে এসছিল ভিএআর। তারপর রাশিয়া বিশ্বকাপে পুরোদমে এর ব্যবহার দেখা গিয়েছিল।
আরও পড়ুন: জেনে নিন ভিএআর-এর খুঁটিনাটি
রেফারির সঙ্গে আরও তিনজন মিলে সিদ্ধান্ত পুর্নবিবেচনার কাজটা করেন। ভিডিও রিপ্লে ও ঘটনার বিশ্লেষণের মাধ্যমেই চূড়ান্ত সিদ্ধান্তে আসা যায়। এই তিন সদস্যের দলের মধ্যে একজন বর্তমান বা প্রাক্তন রেফারিকে সঙ্গ দেন একজন সহকারি। রিপ্লে অপারেটরের ভূমিকাতেও থাকেন আরেকজন। ভিডিও অপারেশন রুমের একাধিক মনিটরে ক্যামেরার বিভিন্ন অ্যাঙ্গেল থেকে নেওয়া ফুটেজ ভেসে ওঠে সেখানে। তারপরেই ব্যাপারটির নিস্পত্তি হয়।
২০১৯ এশিয়ান কাপে কোয়ালিফাই করেছে ভারত। এবারের আয়োজক দেশ সংযুক্ত আরব আমিরশাহি। তাদের সঙ্গেই থাইল্যান্ড ও বাহারিন ও ভারতকে রাখা হয়েছে এক গ্রুপে। তার আগে আন্তর্জাতিক প্রীতি ম্যাচ খেলেই নেট প্র্যাকটিস সেরে রাখতে চাইছে স্টিফেন কনস্ট্যানটাইনের শিষ্য়রা। আগামী ১৭ নভেম্বর আমানের কিং আবদুল্লা টু স্টেডিয়ামে ভারতের মুখোমুখি হবে জর্ডন। যদিও এই ম্যাচে চোটের জন্য় নীল জার্সিতে মাঠে নামবেন না ভারত অধিনায়ক সুনীল ছেত্রী।