নব্বইয়ের দশকে ভারতের পেস বোলিংয়ের অন্যতম অস্ত্র ছিলেন তিনি। ১৯৯৬ থেকে ২০০১ টানা জাতীয় দলের হয়ে খেলেছেন। পেস বোলিংয়ে ভরসা হয়ে উঠেছিলেন জাভাগল শ্রীনাথের সঙ্গে বোলিং পার্টনারশিপে ভারতকে উতরে দিয়েছেন বহু ম্যাচ। সেই ভেঙ্কটেশ প্রসাদ টিম ইন্ডিয়ায় ফিরতে চলেছেন নতুন ভুমিকায়। ভারতের প্রধান নির্বাচক হওয়ার দৌড়ে এগিয়ে টিম ইন্ডিয়ার হয়ে ৩৩টি টেস্ট, ১৬১টি একদিনের ম্যাচ খেলা প্রসাদ। দুই ফরম্যাট মিলিয়ে যাঁর উইকেটসংখ্যা ২৯২টি। অন্তত টাইমস অফ ইন্ডিয়ার প্রতিবেদনে এমনটাই বলা হয়েছে।
ভারতের টি২০ বিশ্বকাপে ব্যর্থতার পর পুরো নির্বাচনী প্যানেলকেই ছাঁটাই করা হয়েছিল। চেতন শর্মাদের ঘাড়ে ঠেলে দেওয়া হয়েছিল টিম বাছাইয়ের ত্রুটি। মেয়াদ শেষের পর অপসারিত করা হয় চেতন শর্মাদের। নতুন করে মেয়াদ বাড়ানোর পথে হাঁটেনি বোর্ড। নতুন করে নির্বাচকদের নিয়োগের ঘোষণা করে বিসিসিআই।
আরও পড়ুন: বিয়ে করার জন্য ছুটি চাইলেন কেএল রাহুল, সঙ্গেসঙ্গেই জবাব দিল BCCI
২৪ ঘন্টা আগেই বোর্ডের তরফে ঘোষণা করা হয়েছে অশোক মালহোত্রা, সুলক্ষনা নায়েক এবং যতীন পরাঞ্জপের তিন সদস্যের কমিটি বেছে নেবে নতুন নির্বাচক মন্ডলীদের।
নির্বাচক প্রধান হওয়ার বিষয়ে হেমাঙ্গ বাদানি থেকে অজিত আগারকারের নাম ভেসে উঠেছিল সাম্প্রতিক অতীতে। তবে টাইমস অফ ইন্ডিয়ার রিপোর্ট অনুযায়ী প্রধান নির্বাচক হওয়ার দৌড়ে এগিয়ে রয়েছেন ভেঙ্কটেশ প্রসাদ। সেই প্রতিবেদনের তথ্য অনুযায়ী, দক্ষিণাঞ্চল থেকে নির্বাচক হওয়ার দৌড়ে রয়েছেন ডি বাসু এবং কাওয়ানজিৎ সিং। নির্বাচক মন্ডলীর সদস্য হওয়ার জন্য বয়সসীমা ৬০ বছর। সেই কারণেই কাওয়ানজিৎ সিংয়ের আবেদন গ্রাহ্য হবে না। তিনি এখন ৬৪।
আরও পড়ুন: নিলামে টাকার ঝড় উঠবে স্টোকস, উইলিয়ামসন, রয়ের জন্য! IPL-এ কত কোটি বেস প্রাইস তারকাদের
পশ্চিমাঞ্চল থেকে নির্বাচক হওয়ার জন্য আবেদন করেছেন মুম্বইয়ের প্রধান নির্বাচক সলিল আঙ্কলা। এছাড়াও সমীর দিঘে, নয়ন মোঙ্গিয়ার মত জাতীয় দলের দুই প্রাক্তন কিপার-ব্যাটসম্যানও লড়াইয়ে রয়েছেন। উত্তরাঞ্চল থেকে।এগিয়ে নিখিল চোপড়া। পূর্বাঞ্চল থেকে নির্বাচক হতে পারেন শিবসুন্দর দাস অথবা সুব্রত বন্দ্যোপাধ্যায়।
ওয়ানডেতে ১৯৬টি উইকেট নেওয়া ভেঙ্কটেশ প্রসাদ একদিনের ক্রিকেটে জাতীয় দলের পঞ্চম সর্বোচ্চ উইকেট শিকারি। তাঁর কেরিয়ারের উজ্জ্বলতম ঘটনা ১৯৯৬ বিশ্বকাপে আমির সোহেলের সঙ্গে দ্বৈরথ। প্রসাদের একটি বল বাউন্ডারিতে পাঠিয়ে সেলিব্রেশনে মেতেছিলেন আমির সোহেল। বাউন্ডারি থেকে বল কুড়িয়ে আনার ইংগিত দেন প্রসাদকে। পরের বলেই পাকিস্তানি ব্যাটসম্যানকে পাল্টা দেন আউট করে। সেই সঙ্গে প্যাভিলিয়নে যাওয়ার পথও বাতলে দেন।
আরও পড়ুন: বাংলার অশোককে বড় দায়িত্ব দিল জয় শাহের BCCI! নতুন প্যানেল বাছবেন এঁরাই
যাইহোক, লম্বা কেরিয়ারে প্রসাদ একাধিক ক্যাপ্টেনের অধীনে খেলেছেন- মহম্মদ আজহারউদ্দিন, সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়, শচীন তেন্ডুলকর। কার অধীনে খেলা বেশি উপভোগ করেছিলেন, এমন প্রশ্নের জবাবে প্রসাদ গ্রেড ক্রিকেটার- পডকাস্টে বলেছিলেন, "এমন প্রশ্নে কুটনৈতিক হতেই পারি। আমি বলতেই পারি, প্রত্যেকেই নিজেদের মত করে আলাদা। তবে আমি বরাবর আজহারের অধিনায়কত্বে খেলা উপভোগ করেছি। কারণ ও বরাবর আমার দিকে বল ছুঁড়ে দিয়ে নিজের মত ফিল্ডিং সাজিয়ে নিতে বলত। আর আমি যখন ফিল্ডিং সাজাতাম, তাহলে বোলিংয়েও দায়িত্ব আমার ওপর বর্তাত। তাই নয় কি?"