Vijay Karkhanis: গোটা ভারত আপাতত ২০২৫ আইপিএল (IPL 2025) টুর্নামেন্টের জ্বরে কাঁপছে। ইতিমধ্যে একটি দুঃসংবাদ কার্যত সুনামির মতো ভারতীয় ক্রিকেটমহলে আছড়ে পড়েছে। শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেছেন মুম্বইয়ের প্রাক্তন উইকেটকিপার-ব্যাটার বিজয় করখানিস (Cricketer Death)। জানা গিয়েছে, গত ১৮ মে মুম্বইয়ের বোরিভালিতে অবস্থিত নিজের বাড়িতেই তিনি মারা যান। বয়স হয়েছিল ৮৬ বছর। ভারতের কিংবদন্তী ক্রিকেটার সুনীল গাভাসকারের (Sunil Gavaskar) ঘনিষ্ঠ বন্ধু ছিলেন করখানিস। বন্ধুরা তাঁকে ভালবেসে 'পাপা' করখানিস নামেও ডাকতেন।
প্রসঙ্গত, ২০২০ সালে করোনায় আক্রান্ত হয়েছিলেন বিজয় করখানিস। কিন্তু, ৪৫ দিন ধরে তিনি জীবনযুদ্ধে লড়াই করেছিলেন। শেষপর্যন্ত যুদ্ধে জয়লাভ করে হাসপাতাল থেকে বাড়ি ফিরে আসেন। কিন্তু, এবার বার্ধক্যজনিত অসুস্থতার কারণে তিনি আর লড়াইটা করতে পারলেন না। শেষপর্যন্ত তাঁকে ইহলোক ত্যাগ করতে হল। বিজয়ের মৃত্যুতে তাঁর পরিবার এবং বন্ধুরা শোকে কার্যত পাথর হয়ে গিয়েছেন।
Indian Ex Cricketer Death: অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে ১৫৭.৮ গতি তোলা ভারতীয় স্পিডস্টারের আত্মহত্যা, বিশ্বকাপের সময়েই দুঃসংবাদে ঝাঁঝরা টিম ইন্ডিয়া
এই প্রসঙ্গে আপনাদের জানিয়ে রাখি, ছয়ের দশকে ঘরোয়া ক্রিকেটে দুর্দান্ত পারফরম্য়ান্স করেছিলেন। মুম্বইয়ের নামজাদা তারকা ছিলেন। যদিও ভারতীয় ক্রিকেট দলে কখনও খেলার সুযোগ পাননি তিনি। পরবর্তীকালে তিনি মুম্বই ক্রিকেটারদের কোচিং করাতেন। করখানিস হচ্ছেন সেই কোচ যিনি রোহিত শর্মার (Rohit Sharma) প্রতিভাকে সঠিকভাবে চিনতে পেরেছিলেন। রোহিত ১৪ বছর বয়সে যখন মুম্বই ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশনের হয়ে খেলতেন, সেইসময় করখানিস তাঁকে কোচিং করাতেন।\
Cricketer Death: নেমে এল শোকের ছায়া, সবাইকে কাঁদিয়ে চলে গেলেন তারকা ক্রিকেটার
ছয়ের দশকের শেষবেলা পর্যন্ত করখানিস মুম্বইয়ের হয়ে সাতটি প্রথম শ্রেণীর ম্য়াচ খেলেছিলেন। শিবাজি পার্ক জিমখানা এবং সেন্ট্রাল ব্যাঙ্কের হয়ে এমন দলে খেলেছিলেন, যেখান থেকে ভারতীয় ক্রিকেট দলে বহু তারকা উঠে এসেছিল। গাভাসকারের সঙ্গেও খেলেছিলেন তিনি। দুজনের মধ্যে যথেষ্ট ভাল বন্ধুত্বও ছিল। মুম্বই দলের নজরকাড়া উইকেটকিপিং করেছেন করখানিস। পাশাপাশি মারকুটে ব্যাটার হিসেবেও যথেষ্ট নামডাক ছিল।
Cricketer Death: ক্যানসার কেড়ে নিল প্রাণ, সবাইকে কাঁদিয়ে চলে গেলেন তারকা ক্রিকেটার
করখানিসের ক্রিকেট কেরিয়ার
ছয়ের দশকের শেষদিকে করখানিস ৭ প্রথম শ্রেণীর ম্যাচ খেলেছিলেন। রনজি ট্রফি ফাইনালে (১৯৬৭-৬৮) তিনি বম্বের হয়ে মাদ্রাজের বিরুদ্ধে খেলেন। আর বম্বেকে জেতানোর পিছনে তাঁর যথেষ্ট গুরুত্বপূর্ণ অবদান ছিল। ৫২ এবং ৪৩ রানে দুটো গুরুত্বপূর্ণ ইনিংস খেলেন। বম্বে ক্রিকেট দলের অধিনায়ক মরোহর হরদিকরের (৭৩ এবং অপরাজিত ৬৫ রান) সঙ্গে জুটি বেঁধে মাদ্রাজের তারকা স্পিনার এস ভেঙ্কটরাঘবন এবং বামন কুমারের বিরুদ্ধে দুর্দান্ত পারফরম্য়ান্স করেন।