Vinod Kambli Opens Up About Urine Disorder and Health Scare: গোটা ক্রিকেটমহল বিনোদ কাম্বলির স্বাস্থ্য নিয়ে চিন্তিত। আর সেই কাম্বলি তাঁর নিজের সম্পর্কে ঠিক কী জানিয়েছেন, সেটা জানতে উৎসুক দর্শকরা। জানা গিয়েছে, কাম্বলি মেনে নিয়েছেন যে তিনি বর্তমানে 'প্রস্রাবের সমস্যার ভুগছেন।' শুধু তাই নয়, একমাস আগে পড়েও গিয়েছিলেন তিনি। টিম ইন্ডিয়ার প্রাক্তন ব্যাটারের সাম্প্রতিক একটি ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে। প্রয়াত কোচ রমাকান্ত আচরেকারের স্মরণসভার সেই ভিডিওতে দেখা গিয়েছে যে কাম্বলি প্রথমবার ক্যামেরার সামনে তাঁর মনের কথা বলছেন। ওই ভিডিওয় কাম্বলির দুর্বল চেহারা এবং অসংলগ্ন আচরণ দেখে অনুরাগীরা রীতিমতো চিন্তা প্রকাশ করেন।
কপিল দেবের নেতৃত্বাধীন ১৯৮৩ সালের বিশ্বকাপজয়ী ভারতীয় দলের খেলোয়াড়রা অসুস্থ কাম্বলির ওই চেহারা দেখে তাঁকে সাহায্য করার ইচ্ছা প্রকাশ করেছে। এই প্রসঙ্গে কপিল নিজেই জানিয়েছেন যে, যদি প্রাক্তন ব্যাটার পুনর্বাসনে যেতে রাজি হন, তবে তাঁরা তাঁকে সাহায্য করতে ইচ্ছুক। এরপরই বিনোদন দুনিয়ার সাংবাদিক বলে পরিচিত ভিকি লালওয়ানিকে দেওয়া এক সাক্ষাত্কারে, প্রাক্তন ভারতীয় ব্যাটার জানিয়েছেন যে যদি তাঁর শারীরিক এবং আর্থিক অবস্থার উন্নতি হয় তবে তিনি ১৫তম বারের জন্য পুনর্বাসনে যেতে রাজি। ওই সাক্ষাত্কারের সময়, কাম্বলি জানিয়েছেন যে তিনি প্রস্রাবের ব্যাধিতে আক্রান্ত। এমনকী মাসখানেক আগে পড়েও গিয়েছেন।
কাম্বলি এই প্রসঙ্গে ভিকি লালওয়ানিকে তাঁর ইউটিউব চ্যানেলে বলেছেন, 'আমি এখন ভালো আছি। আমার স্ত্রী আমার খুবই যত্ন নেয়। ও আমাকে তিনটি হাসপাতালে নিয়ে গিয়েছিল। আমাকে বারবার উৎসাহ দিয়ে বলছে, তোমাকে ফিট হতে হবে। অজয় জাদেজাও আমার সঙ্গে এসে দেখা করেছেন। সেটা দেখে খুবই আনন্দ পেয়েছি। আমি প্রস্রাবের সমস্যায় ভুগছি। আমার মেয়ের বয়স ১০ বছর। আমার স্ত্রী আর মেয়ে আমাকে খুবই সাহায্য করছে। এই তো একমাস আগেই আমি মাথাঘুরে পড়ে গিয়েছিলাম। তখন ডাক্তার আমাকে হাসপাতালে ভর্তি হতে বলেছিল। আমি ভর্তিও হয়েছিলাম। আমার ছেলে যিশু ক্রিস্টিয়ানো আমাকে হাসপাতাল থেকে ফিরিয়ে এনেছে।'
কাম্বলি তাঁর ছেলেবেলার বন্ধু শচীন টেন্ডুলকারের সঙ্গে তাঁর সম্পর্কের কথাও ওই সাক্ষাৎকারে জানিয়েছেন। কাম্বলির সঙ্গে টেন্ডুলকারের সম্পর্ক ভালো নয় বলেই সম্প্রতি জানা যাচ্ছিল। অভিযোগ উঠেছিল, কাম্বলির বিপদে টেন্ডুলকার তাঁর পাশে দাঁড়াননি। যাইহোক, ২০০৯ থেকে দু'জনের সম্পর্কের উন্নতি হয়। পরে ২০১৩ সালে কাম্বলি দু'বার হার্ট অ্যাটাকের শিকার হন। সেই সময় অবশ্য টেন্ডুলকারই কাম্বলির সাহায্যে এগিয়ে এসেছিলেন। তাঁর হার্ট সার্জারির জন্য টাকা-পয়সাও দিয়েছিলেন টেন্ডুলকার।
ভিকি লালওয়ানিকে দেওয়া সাক্ষাত্কারে কাম্বলি জানিয়েছেন যে, তিনি হতাশা থেকেই শচীনের সঙ্গে বন্ধুত্ব ভেঙেছিলেন। এই ব্যাপারে কাম্বলি বলেছেন, 'আমি মনে আঘাত পেয়েছিলাম। হতাশ হয়েছি। রাগ করে বলেছি যে শচীন আমার পাশে দাঁড়ায়নি। কিন্তু, ২০০৯ সালে আমরা একে অপরের সঙ্গে কথা বলি। আমাদের নিজেদের সমস্যা মিটিয়ে নিই। আমিই প্রথমে ওঁকে লিখেছিলাম। তারপর আমরা মিটমাট করে নিই।
সাক্ষাৎকারে কাম্বলি আরও বলেন, 'আমার দু'বার হার্ট অ্যাটাক হয়েছে। প্রথমবার যখন হয়, তখন আমি গাড়ি চালাচ্ছিলাম। আমার শরীরটা ভালো লাগছিল না। গাড়ি চালানোর সময় রীতিমতো অসুস্থ হয়ে পড়ি। আমার স্ত্রী আমাকে লীলাবতী হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেই সময় খুব ভয় পেয়েছিলাম। ও কান্নায় ভেঙে পড়েছিল। তারপর কোনওরকমে পরিস্থিতি সামাল দেয়। শচীন সেই সময় আমার অস্ত্রোপচারে আর্থিক সাহায্য করেছিল।'
আরও পড়ুন- জোড়া বিশ্বকাপজয়ী কোচ এবার রোহিত-হার্দিকদের দায়িত্বে! বড় আপডেটে ঝড় উঠে গেল আচমকাই
সাক্ষাৎকারে কাম্বলি মুম্বইয়ের ওয়াংখেড়ে স্টেডিয়ামে ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে তাঁর ২২৪ রান করার কথাও স্মরণ করিয়ে দিয়েছেন। তিনি বলেন, 'ওয়াংখেড়েতে আমি ডবল সেঞ্চুরি করেছিলাম। আমার সঙ্গে সেই সময় আচরেকার স্যারের কথা হয়েছে। সতীর্থরাও আমাকে দারুণ সাহায্য করেছেন। কী ভালো একটা দল সেই সময় ছিল! আমাদের দলে ছিল অনিল কুম্বলে, রাজেশ চৌহান, ভেঙ্কটেশ প্রসাদরা। আমরা অনেক ম্যাচ জিতেছি। শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে দারুণ লড়াই করেছি। আমি মুথাইয়া মুরলিধরনকে বলেছিলাম, মুরালি- হাতটা সোজা কর। ও সেই সময় মাতৃভাষায় উত্তর দিয়েছিল। সব মিলিয়ে বেশ ভালো একটা পরিবেশ ছিল।'