Advertisment

Vinod Kambli hospitalized: আমি বেঁচে রয়েছি কারণ.. হাসপাতাল থেকে প্ৰথমবার বিবৃতি কাম্বলির

Vinod Kambli health: মুখ খুলে বড়সড় বিবৃতি দিলেন বিনোদ কাম্বলি। মস্তিষ্কে রক্ত জমাট বেঁধে মৃত্যুর দুয়ারে পৌঁছে গিয়েছিলেন ভারতীয় দলের প্রাক্তন ক্রিকেটার।

author-image
IE Bangla Sports Desk
আপডেট করা হয়েছে
New Update
Vinod Kambli, বিনোদ কাম্বলি

Vinod Kambli: বিনোদ কাম্বলি। (ছবি- স্ক্রিনগ্যাব)

Vinod Kambli health news: তাঁর জীবনদানের পিছনে ডাক্তাররা। হাসপাতালের শয্যায় শুয়ে চিকিৎসকের হাত ধরে এমনটাই বললেন প্রাক্তন ক্রিকেটার বিনোদ কাম্বলি। কাম্বলির মস্তিষ্কে রক্ত জমাট বেঁধে গিয়েছিল। এই পরিস্থিতি থেকে তাঁকে কথা বলার মত অবস্থায় ফিরিয়ে এনেছেন চিকিৎসকরা। এই কারণেই কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন ভারতীয় দলের প্রাক্তন ক্রিকেটার। তিনি বলেন,'আমি বেঁচে আছি, তার কারণ ডাক্তাররা।'

Advertisment

কাম্বলির অবস্থা আশঙ্কাজনক হয়ে উঠেছিল। সেই খবর বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিতও হয়। তাঁর পরিস্থিতি সংকটজনক হয়ে ওঠায় ভারতীয় দলের প্রাক্তন ক্রিকেটারকে থানের আকৃতি হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। পরীক্ষায় দেখা গিয়েছে যে কাম্বলির মস্তিষ্কে রক্ত জমাট বেঁধেছে। সেই পরিস্থিতি তাঁকে কথা বলার অবস্থায় ফিরিয়ে এনেছেন হাসপাতালের চিকিৎসকরা। আর, এরপরই তাঁর প্রথম বিবৃতিতে কাম্বলি জানালেন যে ডাক্তারদের নিরলস লড়াইয়ে জোরেই তিনি মৃত্যুর মুখ থেকে ফিরে এসেছেন।

বছর ৫২-র ভারতীয় দলের প্রাক্তন ক্রিকেটার গত একমাস ধরে তাঁর স্বাস্থ্যের কারণে খবরের শিরোনামে আছেন। মাস দুয়েক আগে বাইক থেকে নামতে গিয়ে কাম্বলির যে শোচনীয় অবস্থা হয়েছিল, তা সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রকাশিত ভিডিওর দৌলতে সকলের নজরে আসে। সম্প্রতি মুম্বইয়ের শিবাজি পার্কে রমাকান্ত আচরেকারের স্মৃতিসৌধ উন্মোচনের সময় কাম্বলি উপস্থিত ছিলেন। সেসময় তাঁর শারীরিক পরিস্থিতি দেখে অনেক অনুরাগীই চোখের জল ফেলেছেন। 

এরপর এক সাক্ষাত্কারে, কাম্বলি নিজেই জানিয়েছেন যে মূত্রনালীর গুরুতর সংক্রমণের জন্য গত মাসে তিনটি ভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন। শনিবার রাতে হঠাৎ করে তাঁর অবস্থার অবনতি হলে কাম্বলির স্বাস্থ্য উদ্বেগজনক হয়ে ওঠে। সেখান থেকে তিন দিন কাটার পর এখন তিনি অন্তত বিছানায় শুয়ে কথা বলতে পারছেন। হাসপাতালের বিছানায় আধশোয়া অবস্থায় প্রাক্তন ভারতীয় ক্রিকেটার তাঁর আবেগ ধরে রাখতে পারেননি। ডাক্তারের হাত ধরে জানিয়েছেন, চিকিৎসক এবং স্বাস্থ্যকর্মীদের নিরলস পরিশ্রমই তাঁর জীবন ফিরিয়ে দিয়েছে। এর আগে শিবাজি পার্কে আচরেকরের মূর্তি উন্মোচন অনুষ্ঠানেও কাম্বলিকে দেখা গিয়েছিল আবেগপ্রবণ হয়ে উঠতে। সেই সময় তিনি শচীন টেন্ডুলকারের হাত ধরে জীবন বাঁচানোর জন্য শচীনের প্রতি আন্তরিক কৃতজ্ঞতা জানিয়েছিলেন।

Advertisment

হাসপাতালের শয্যায় আধশোয়া অবস্থায় কাম্বলি বলেন, 'আমি ডাক্তারদের জন্যই বেঁচে আছি। আমি শুধু বলব যে স্যার (ডাক্তারকে উল্লেখ করে) আমাকে যা করতে বলবেন আমি তাই করব।' বিনোদ কাম্বলির অবস্থার যে উন্নতি হয়েছে, হাসপাতালের শয্যায় শুয়ে তাঁর হাসতে হাসতে কথা বলার মধ্যে দিয়েই বোঝা গিয়েছে। এটা তাঁর সুস্থতার শুভ ইঙ্গিত। হাসপাতালের শয্যায় আধশোয়া কাম্বলি ডাক্তার, নার্স, স্বাস্থ্যকর্মী এবং তাঁর ভক্তদের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন।  তাঁর একজন ভক্ত হাসপাতালে এসে জানিয়েছেন, কাম্বলির চিকিৎসার দায়িত্ব নিয়েছেন হাসপাতালের ইনচার্জ এস সিং। তিনি প্রাক্তন ক্রিকেটারকে আজীবন বিনামূল্যে চিকিৎসার আশ্বাস দিয়েছেন।

এই ব্যাপারে কাম্বলির চিকিৎসক ডা. বিবেক দ্বিবেদী বলেছেন, 'ওঁকে যখন শনিবার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল, তখন জ্বর ছিল। মাথা ঘুরছিল। উনি উঠে বসতে পারছিলেন না। হাঁটতেও পারছিলেন না। ভর্তির সময় তন্দ্রাচ্ছন্ন ছিলেন। আমরা সমস্ত পরীক্ষা করেছি। তারপর দেখতে পাই, ওঁর ইলেক্ট্রোলাইট ভারসাম্যহীনতার সঙ্গে মূত্রনালীর সংক্রমণ আছে। সোডিয়ামের পরিমাণ নীচের দিকে। পটাসিয়ামের পরিমাণও কম। বিপিও নীচের দিকে ছিল। আমরা ওঁকে অ্যান্টিবায়োটিক দিয়ে চিকিৎসা শুরু করেছিলাম।'

কাম্বলির আর্থিক অবস্থা দীর্ঘদিন ধরেই খারাপ। প্রাক্তন ক্রিকেটার বিসিসিআই থেকে মাসিক ৩০ হাজার টাকা পেনশন পান। এই পরিস্থিতিতে কপিল দেব ও সুনীল গাভাসাকারের মত ১৯৮৩ বিশ্বকাপজয়ী ভারতীয় দলের কিংবদন্তিরা তাঁকে সাহায্যের প্রস্তাব দিয়েছেন। তবে, শর্ত হল যে কাম্বলিকে পুনর্বাসন কেন্দ্রে থাকতে হবে। কাম্বলি সেই শর্তে রাজি হয়েছেন। এর আগে কাম্বলি ১৪ বার পুনর্বাসন কেন্দ্রে কাটিয়েছেন। তাঁর বন্ধু ও প্রাক্তন প্রথম-শ্রেণির আম্পায়ার মার্কাস কৌটো এমনটাই জানিয়েছেন।

১৯৯১ সালে কাম্বলির ভারতীয় দলে অভিষেক হয়। ১৯৯৪-এ তিনি টেস্টে টানা ডাবল সেঞ্চুরি করেছিলেন। মুম্বইয়ে ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে ২২৪ রান করেন। দিল্লিতে জিম্বাবুয়ের বিরুদ্ধে করেছিলেন ২২৭ রান। তিনি সর্বশেষ টেস্ট খেলেছিলেন ১৯৯৫ সালে। টেস্ট ফরম্যাটে তাঁর গড় ছিল ৫৪। কাম্বলি একদিনের ফরম্যাটে ২০০০ সাল পর্যন্ত খেলা চালিয়ে যান। তিনি ভারতীয় দল থেকে বারবার ছিটকে গিয়েছিলেন। তারপর ৯ বার প্রত্যাবর্তন করেন। শেষ পর্যন্ত মাত্র ২৮ বছর বয়সে বাম-হাতি এই ব্যাটারের কেরিয়ারের আচমকাই ইতি ঘটে।

আরও পড়ুন- হাঁটুর চোট নিয়ে মেলবোর্ন টেস্টের আগেই আপডেট! কোহলির অফস্ট্যাম্প দুর্বলতা নিয়েও জবাব রোহিতের

কাম্বলি ২০০৯ সালে তাঁর অবসর ঘোষণা না করা পর্যন্ত মুম্বইয়ের হয়ে ঘরোয়া ক্রিকেটে খেলা চালিয়ে যান। এর মধ্যে তিনি কয়েকটি সিনেমাও করেন। কয়েকটি রিয়েলিটি শোতে যোগ দেন। কিন্তু, কোনওটাই দীর্ঘস্থায়ী হয়নি। কাম্বলি এরপর শচীন তাঁর প্রতি অবহেলা করেছেন বলেও ক্ষোভ উগরে দিয়েছিলেন। তারপরও ২০১৩ সালে কাম্বলি দু'বার হৃদরোগে আক্রান্ত হলে শচীনই তাঁর চিকিৎসা করিয়েছিলেন। 

cricket Cricket News Vinod Kambli Doctor Hospitalized mumbai
Advertisment