স্কুল থেকে বাড়ি ফিরছিল দু-জনে বন্ধুদের সঙ্গে। পরণে স্কুলের ইউনিফর্ম। হঠাৎ ছেলেটি স্কুল ব্যাগ কাঁধে নিয়েই সামারসল্ট দিল। তাঁর দেখাদেখি মেয়েটিও। খুদে দুই ছাত্র-ছাত্রীর সামারসল্টের প্রশংসা করে বসলেন জিমন্যাস্ট দুনিয়ায় পারফেক্ট টেন স্বয়ং নাদিয়া কোমানিচি।
ঘটনা অন্য কোনও জায়গার নয়, খোদ শহর কলকাতার বুকের। সেই ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় আপলোড করা হয়েছিল। তা চোখে পড়ে যায় কিংবদন্তি নাদিয়া কোমানিচির। খুদে দুই কচি-কাচার পারফেক্ট সামারসল্ট দেখে এতটাই প্রভাবিত হয়ে পড়েন কোমানিচি যে নিজের টুইটারে থেকেই সেই ভিডিও পোস্ট করেন তিনি। ক্যাপশনে লেখেন, "দিস ইস অসাম"। মুহূর্তেই গোটা বিশ্বে সাড়া ফেলে দেয় দুই বাঙালি খুদের কীর্তি।
পরে জানা যায়, ছেলেটির নাম মহম্মদ আজাহারউদ্দিন (১২) এবং মেয়েটি জেসিকা খান (১১)। যাঁদের কার্টহোয়েলিং এবং সামালসল্ট মন ছুয়ে নিয়েছে কোমানিচিরও। সোশ্যাল মিডিয়ায় বাঙালির স্কুল ছাত্র-ছাত্রীর ভিডিও ভাইরাল হওয়ার পরে ঘটনাটি নজরে আসে সাই-য়েরও। তারা তড়িঘড়ি ট্রায়ালের ব্যবস্থা করেন দু-জনের জন্য। সেই ট্রায়াল পর্ব পেরিয়ে আপাতত জেসিকা ও আজাহারউদ্দিন- দুজনেই সাইয়ে ট্রেনিং করবেন।
সাইয়ের জেনারেল ডিরেক্টর মনমীত সিং গৌন্দি জানান, "ওরা ন্যাচারাল জিমন্যাস্ট। জোর করে চাপিয়ে দেওয়া নয়, যে সমস্ত শিশুরা ভালবেসে জিমন্যাস্ট করে, তাদের সাই বরাবরই চায়। ওদের উৎসাহ দেখে আমরাও অভিভূত।" পাশাপাশি তিনি আরও জানান, "ওরা আপাতত হোস্টেলে থাকবে, অন্যদের মতো সমস্ত সুযোগ সুবিধা ওরা পাবে। জিমন্যাস্টের প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত কোচেরা ওদের ট্রেনিং দেবেন। আপাতত বিজ বপনের কাজ করছি আমরা। সাফল্যের বিষয়ে আমরা আশাবাদী।"
নাদিয়া কোমানিচির প্রশংসা করার পরে ক্রীড়ামন্ত্রী কিরেন রিজিজু জানিয়েছেন, "নাদিয়া কোমানিচি এই বিষয়ে টুইট করায় বেশ ভাল লাগছে। এমন প্রশংসা যখন ১৯৭৬-এ মন্ট্রিয়েল অলিম্পিক্সে জিমন্যাস্টের দুনিয়ায় প্রথমবার পারফেক্ট টেন-এর অধিকারী করেন, তখন তা অবশ্যই স্পেশাল। এই শিশুদের সঙ্গে আলাপ করানো হোক আমাকে।"
Read the full article in ENGLISH