আর ২৪ ঘন্টা পরেই বন্ধু চিকু গর্বের ১০০তম টেস্ট খেলতে নামছেন। আর এককালীন সতীর্থরা আশায় আশায় বুক বাঁধছেন। যদি শততম টেস্টে শতক-খরা মেটে। কোহলিকে ঘিরে মোহালিতে আপাতত সাজো সাজো রব। একশো টেস্টের ল্যান্ডমার্কে পৌঁছতে চলেছেন সুপারস্টার। আর ঐতিহাসিক টেস্টের প্রাক্কালে কোহলিকে নিয়ে স্মৃতিতে ভাসছেন এক সময়ের সতীর্থরা।
কোহলির সঙ্গেই যুব বিশ্বকাপে খেলা সতীর্থরা নিজেদের মধ্যেই এক হোয়াটসএপ গ্রুপে বন্ধু-বন্দনায় মেতে। ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস-কে প্রদীপ সাঙ্গওয়ান জানিয়ে দিয়েছেন, ক্রিকেট কেরিয়ারের একদম শুরুর দিকে কোহলি মারাত্মক ফুডি ছিলেন। ফাস্ট ফুডের প্রতি ভয়ানক আসক্তি ছিল কোহলির। তবে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে তিনিই বর্তমানে অন্যতম ফিট তারকা।
আরও পড়ুন: বোর্ডের চুক্তিতে বিরাট ধাক্কার মুখে পূজারা-রাহানে-হার্দিক! ঘোষণার আগেই ব্যাপক শোরগোল
সাঙ্গওয়ান জানিয়েছেন, "ও যে কতটা ফুডি ছিল, সেটা আমরা ভালমতই জানি। প্রচুর খেত। বিশেষ করে মাটন রাইস। এমনকি বিভিন্ন ফাস্ট ফুড জয়েন্টের জন্য ও বহুদূর পর্যন্ত হাঁটত। সেই সময় ওঁর কাছে যেটা সবথেকে বেশি গুরুত্ব ছিল, সেটা হল খাবারের স্বাদ।"
"২০১০-এ ও যখন দিল্লি রঞ্জি দলের হয়ে খেলতে এল, সবকিছু আলাদা ছিল। সিদ্ধ খাবার ছাড়া মুখে তুলত না। একবারে ২০০ মিলির বেশি জল-ও পান করত না। রাইস মাটন কারি বদলে গিয়েছিল ডায়েট ফুডে। ও কতটা নিজেকে বদলেছে, দেখে অবাক হয়ে গিয়েছিলাম। আইপিএলের সময় ওঁর সঙ্গে দেখা সাক্ষাৎ হত। সেই সময় ওঁর ফিটনেস সেশন মিস করতাম না। অধিকাংশ সময়ই ওঁকে জিমে সময় কাটাতে দেখতাম। আমাদের সকলের থেকে ওঁর ফোকাস অনেক দূরে ছিল। সাধারণত, ক্রিকেটাররা চিট ডে করে থাকে, অলস সময় কাটায়। তবে বিরাট সেরকম কখনই করত না।"
আরও পড়ুন: অবিক্রিত রায়না কি IPL এর এই দলে! জোরালো দাবিতে তোলপাড়
অন্য এক ঘটনা আবার শেয়ার করেছেন ইকবাল আবদুল্লা। ২০০৮ যুব বিশ্বকাপের ঘটনা। সেই সময় কোহলির একটা সিদ্ধান্ত বুমেরাং হয়ে যায়। এতে প্রবল রেগে যান তারকা। এর কারণ কোহলি খেলার সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে নিজেকে জড়িয়ে ফেলে, সেই কারণে।
"অধিনায়ক হিসেবে কোহলি খেলার সঙ্গে এতটাই যুক্ত হয়ে পড়ত যে একবার ও ভুলে যায়, আবার ফিল্ডিং পজিশন বদলে ফেলেছিল। আমি ডিপ মিড উইকেটে ছিলাম। তবে ব্যাটসম্যান স্কোয়ার লেগ দিয়ে বল হাঁকানোর পরে ও সেখানে আমাকে দাঁড় করিয়ে দেয়। তারপরের বলেই মিড উইকেট দিয়ে বল বেরিয়ে যায়। এতে ক্ষোভে ফুঁসতে থাকে ও। মেজাজ হারিয়ে ফেলে। এতে হিতে বিপরীত হয়ে যেতে পারে, এমনটাই ওঁকে বুঝিয়ে বলি। এখনও আমরা ওই ঘটনা নিয়ে হাসাহাসি করি।" বলেছেন আব্দুল্লা।