রেকর্ডের পরে রেকর্ড ধুলিসাৎ। অস্ট্রেলিয়ার ঘরের মাঠে টানা ১০ হোম সিরিজ জয়ের নজির পেরিয়ে এবার শীর্ষে ভারত, ঘরের মাঠে টানা ১১ সিরিজ জয় সমেত। মার্ক টেলর ও রিকি পণ্টিংয়ের ক্যাপ্টেন্সির নজির ভারত পেরোল কোহলি ও ধোনির নেতৃত্বে ভর করে। এর মধ্যে কোহলির নেতৃত্বে টানা সিরিজ জয়ের সংখ্যা ৯। আর ধোনির ২। অধিনায়ক কোহলির নজির এখানেই শেষ নয়। দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে জয়ের সঙ্গে সঙ্গেই কোহলির ঝুলিতে ৮টা ইনিংস জয়ের পরিসংখ্যান। পেরোলেন সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় ও মহম্মদ আজাহারউদ্দিনের ৭টা ইনিংস জয়ের সংখ্যা। তবে ধোনির নেতৃত্বেও ভারত ৮টা ইনিংসে জয় পেয়েছে।
পাশাপাশি, দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে এটাই ভারতের সর্ববৃহৎ জয়। ২০১০ সালে ধোনির নেতৃত্বে ভারত দক্ষিণ আফ্রিকাকে হারিয়েছিল ইনিংস ও ৫৭ রানে। এদিনের জয় সেদিনের থেকেও বড়- ইনিংস ও ১৩৭ রান। সবমিলিয়ে অধিনায়ক হিসেবে ৫০তম টেস্টে ৩০টা টেস্টই কোহলি জিতলেন। অধিনায়ক হিসেবে প্রথম ৫০ টেস্টে সবথেকে বেশি জয়ের নজির অস্ট্রেলিয়ার স্টিভ স্মিথ (৩৭টি) এবং তারপরে রিকি পণ্টিং (৩৫টি)। তৃতীয় স্থানে স্বয়ং কোহলি।
দক্ষিণ আফ্রিকাকে ইনিংস সহ ১৩৭ রানে হারানোর পরে অবশ্য রেকর্ডের ফুলঝুরি নিয়ে মাথা ঘামাতে রাজি নন ক্যাপ্টেন কোহলি। সিরিজ জয় নিশ্চিত করেই কোহলি বলে দিলেন, আপাতত দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে হোয়াইটওয়াশেই নজর তাঁর। ম্যাচের পরে কোহলি বললেন, "ভাল জিনিসটা হল, আমরা যখন শুরু করেছিলাম, সাত নম্বরে ছিলাম। তারপরে কেবলই আমাদের পারফরম্যান্সের গ্রাফ ঊর্ধ্বমুখী। আমরা দারুণ টিম পেয়েছি। শেষ ৩-৪ বছরে ছেলেদের মধ্যে জয়ের খিদে ক্রমশ বেড়েছে। আমরাও উন্নতি করেছি ক্রমাগত।"
পাশাপাশি কোহলির ঋদ্ধিমান, অশ্বিনের প্রশংসায় পঞ্চমুখ, "ঋদ্ধিমান সেরা ছন্দে ফিরেছে। ভাইজ্য়াগ টেস্টে খেলতে নামার আগে কিছুটা নার্ভাস ছিল ও। অশ্বিনও দারুণভাবে এগিয়ে এসেছে। পুরো বিষয়টা দারুণ। আরও বড় প্রেক্ষিতে টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের সমীকরণ মেলালে, প্রতিটি ম্যাচই গুরুত্বপূর্ণ।" এরপরেই কোহলির সংযোজন, "তৃতীয় টেস্টে কোনও রকম ঢিলেমি দেওয়ার প্রশ্নই নেই। আমরা ফলাফল চাইব শেষ টেস্টেও। আশা করি তৃতীয় টেস্ট জিতে সিরিজ ৩-০ করতে সমর্থ হব আমরা। দলের কেউ শিথিল হবে না, এই বিষয়ে পুরোপুরি নিশ্চয়তা দিচ্ছি।"
Read the full story in ENGLISH