সামনের বছরেই টি টোয়েন্টি বিশ্বকাপ অস্ট্রেলিয়ায়। সেই বিশ্বকাপে বেসরকারিভাবে ভারতের অভিযান শুরু হয়ে যাচ্ছে রবিবারের ধর্মশালা থেকেই। দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে তিন ম্যাচের দ্বিপাক্ষিক সিরিজের মাধ্যমে। ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরের টি টোয়েন্টি সিরিজকে কেউই পাত্তা দিতে চাইছেন না। বিশ্বকাপ শেষের পরেই উড়ে যেতে হয়েছিল ক্যারিবিয়ান সফরে। সেখানে ভারতীয়দের পারফরম্যান্সের মূল্যায়ণ ঠিক মতো হয়েছে কিনা, তা নিয়ে সন্দিহান অনেকেই।
তাই প্রোটিয়াজদের বিরুদ্ধে খেলতে নামার সময় কোহলির কাছে ক্যারিবিয়ানদের ৩-০ বধ করার কোনও হ্যাংওভার থাকার কথা নয়। টি টোয়েন্টিতে প্রোটিয়াজরা বরাবরই অপ্রতিরোধ্য। ডেভিড মিলারের ছোটখাটো ক্যামিও ইনিংস কিংবা রাবাদার স্পেলের সামনেই ভারতীয়দের নতুনভাবে শুরু করতে হবে বিশ্বকাপের মহড়া।
আগামী বছরের অক্টোবরে অস্ট্রেলিয়ায় বিশ্বকাপ খেলতে নামার আগে রবি শাস্ত্রী-বিরাট কোহলি পার্টনারশিপকে নামতে হবে ২০টি টি২০ ম্যাচে। এই প্রতিটি ম্যাচকেই বিশ্বকাপের আতসকাচে রেখে খেলতে নামবে টিম ইন্ডিয়া। আগামী ১৩ মাসে এই ২০টি ম্যাচ ছাড়াও আইপিএল খেলতে হবে প্রত্যেককে। সেখানেই ক্রিকেটারদের পারফরম্যান্স যাচাই করা সম্ভব হবে, মনে করছে টিম ম্যানেজমেন্ট।
ঋষভ পন্থ না ধোনি: ধোনি এখনও অবসর নেননি। ঘনিষ্ঠ মহলের বার্তা তিনি টি টোয়েন্টি বিশ্বকাপ খেলেই অবসর নিতে চান। অন্যদিকে, ঋষভ পন্থকে সামনে রেখেই টিম ইন্ডিয়া ভবিষ্যতের পথে এগোতে চাইছে। নির্বাচকদের সামনে এখন তিন উপায়। ঋষভ পন্থ ধোনির অনুপস্থিতি ভুলিয়ে দিলেন দারুণ পারফরম্যান্স করে। কিংবা ঋষভ পন্থ খেলতে না পারলে সঞ্জু স্যামসন, ইশান কিষানদের খেলানো। তারাও ব্যর্থ হলে ধোনিকে ফের একবার বিশ্বকাপের আগে ডাকা হয় কিনা, সেদিকেই নজর থাকবে ভারতীয় ক্রিকেটের।
মিডল অর্ডারে মণীশ পাণ্ডে: মণীশ পাণ্ডে ঘরোয়া ক্রিকেটে যথেষ্ট ধারাবাহিক। তবে জাতীয় দলের জার্সিতে তিনি সেরকমভাবে এখনও ছাপ ফেলতে ব্য়র্থ। দক্ষিণ আফ্রিকা সফর মণীশের কাছে অ্যাসিড টেস্ট হতে চলেছে। এই সিরিজেও ব্যর্থ হলে, মণীশকে ছেঁটে ফেলে সম্ভবত হার্দিককে ব্যাটিং অর্ডারে তুলে আনা হতে পারে। না হলে, শ্রেয়স আইয়ারকে খেলানো হতে পারে।
স্পিনার: সীমিত ওভারের ক্রিকেটে আপাতত বিরাট কোহলির হাতের তুরুপের তাস যুজবেন্দ্র চাহাল এবং কুলদীপ যাদব। তবে দ্রুত উঠে আসছেন দীপক চাহার। রবীন্দ্র জাদেজার অভিজ্ঞতা বিচার্য হলে, এবং অলরাউন্ডার ক্রুনাল পাণ্ডিয়া সমীকরণে এলে চাহাল-কুলদীপ জুটির কী হয়, সেদিকেও নজর থাকবে।
অতিরিক্ত বুমরা নির্ভরতা: ভারতীয় বোলিং তিন ফর্ম্যাটেই অতিরিক্ত বুমরা-নির্ভর। বুমরার সঙ্গী পেসার ভুবনেশ্বর চোট প্রবণ। তবে নভদীপ সাইনি, খলিল আহমেদরা দ্রুত উঠে আসছেন। এমন পরিস্থিতিতে বুমরার সঙ্গে খলিল-নভদীপরা কী টি২০ ফর্ম্যাটে ভরসা জোগাতে পারবেন, কোহলির উত্তর খোঁজা শুরু হচ্ছে রবিবার থেকেই।
স্কোয়াড: বিরাট কোহলি, রোহিত শর্মা, শিখর ধাওয়ান, কেএল রাহুল, শ্রেয়স আইয়ার, মণীশ পাণ্ডে, ঋষভ পন্থ, হার্দিক পাণ্ডিয়া, রবীন্দ্র জাদেজা, ক্রুনাল পাণ্ডিয়া, ওয়াশিংটন সুন্দর, রাহুল চাহার, খলিল আহমেদ, দীপক চাহার, নভদীপ সাইনি
Read the full article in ENGLISH