বিরাট কোহলি যে তিন ফর্ম্যাটেই বিশ্বের একনম্বর ব্যাটসম্যান, তা নিয়ে কোনও সন্দেহ নেই। ব্য়াটের শাসনে রাজমুকুট মাথায় পড়েছেন অনেকদিন হল। বিশ্বের বাকি বোলারদের কাছে ত্রাস তিনি। স্টিভ স্মিথ, কেন উইলিয়ামসন, জো রুটরা তাঁকে চ্যালেঞ্জের মুখে ফেললেও ভিকে ব্যাট হাতে কার্যত অপ্রতিরোধ্য।
তবে অধিনায়ক হিসেবেও যে তিনি সুগন্ধ ছড়াতে পারেন, তা জানত না অনেকেই। শুধু জয় কিংবা রেকর্ডের ভিত্তিতে নয়, বিরাট কোহলি পুণেতে শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে সিরিজ নির্ণায়ক ম্যাচে দেখিয়ে দিলেন এভাবেও নেতা হওয়া যায়! বরাবরই তিনি তিন নম্বরে ব্যাট করতে নামেন। যেমন তাঁর প্রতিদ্বন্দ্বী মহাতারকারা স্টিভ স্মিথ, কেন উইলিয়ামসন, জো রুটরা নেমে থাকেন আর কী!
তবে তরুণ ক্রিকেটারদের মেলে ধরার জন্য পুণে টি২০-তে কোহলিকে দেখা গেল নিজের ব্যাটিং পজিশন স্বচ্ছন্দে ছেড়ে দিতে। যাতে স্যামসনদের মতো তারকারা আরও ভাল খেলার সুযোগ পান। এমনিতে সঞ্জু স্যামসন টি২০ স্কোয়াডে শেষ ৮টি ম্যাচে থাকলেও প্রথম একাদশে একদমই সুযোগ পাননা। শেষবার ২০১৫ সালে জাতীয় দলের জার্সিতে টি২০ খেলেছিলেন। তারপর পাঁচ বছর পরে পুণেতে সুযোগ পেলেন।
ঋষভ পন্থ সীমিত ওভারের ক্রিকেটে অটোমেটিক চয়েস। তবে ধারাবাহিকতার অভাব রয়েছে। এই নিয়ে বারেবারেই সমালোচিত হয়েছেন তিনি। তবে বারেবারেই নির্বাচকরা তাঁর পাশে দাঁড়িয়েছেন। বিরাট যদিও ঋষভকে বাইরে রেখে পুণেতে প্রথম একাদশ সাজিয়েছিলেন। ঋষভের জায়গায় সঞ্জুকে সুযোগ দিয়েছিলেন তিনি।
ওপেনিং জুটিতেই ধাওয়ান-রাহুল মিলে ৯৭ তুলে দিয়েছিলেন স্কোরবোর্ডে। তখন ইতিমধ্যেই অর্ধেক ওভার অতিক্রান্ত। সুযোগ পেয়ে সঞ্জু ব্য়াট করার হয়তো সুযোগ পাবে না, এমন আশঙ্কা থেকেই তরুণ ক্রিকেটারকে জায়গা দিয়ে দেন কোহলি। ব্য়াট করতে নামেন কেরালার তারকা। কোহলি পরে নামেন।
অধিনায়ক এমন বেনজিরভাবে সুযোগ করে দিলেও স্যামসন নজর কাড়তে ব্যর্থ। ২ বল খেলে ৬ রানে আউট হয়ে যান তিনি। প্রথম বলেই ছক্কা হাকিয়ে পরের বলেই আউট।
কোহলির এমন নিঃস্বার্থ আত্মত্যাগে ইরফান পাঠান প্রশংসায় ভরিয়ে দিয়েছেন। কোহলির উদ্দেশ্যে পাঠান লিখেছেন, "ক্যাপ্টেন হওয়া আর নেতা হওয়া- দুটো পৃথক বিষয়। বিরাট কোহলি এমন একজন যিনি দলের তরুণ ক্রিকেটারদের প্রমোট করেন দল গঠনের জন্য।"