চলতি বছর দুরন্ত ফর্মে রয়েছেন বিরাট কোহলি। দেখতে গেলে একাধিক মাইলস্টোন স্পর্শ করেছেন তিনি। সেটা ওয়ান-ডে ও টেস্ট মিলিয়েই। ২০১৮ সালেই কোহলি শচীন তেণ্ডুলকরকে ছাপিয়ে ডন ব্র্যাডম্যানের পর দ্বিতীয় দ্রুততম ক্রিকেটার হিসেবে টেস্ট ক্রিকেটে ২৪ নম্বর সেঞ্চুরিটা করেছিলেন। এমনকি বিশ্বের দ্রুততম ক্রিকেটার হিসেবে এ বছরই পঞ্চাশ ওভারের ফর্ম্যাটে ১০ হাজার রান পূরণ করেছেন তিনি। ক্রীড়া পণ্ডিতদের মতে কোহলি এখনও অধিনায়ক হিসেবে পরীক্ষিত নন। বিদেশের মাটিতে সাফল্যের নিরীখেই প্রতিষ্ঠিত হবেন ক্যাপ্টেন কোহলি। আর এসবের মাঝেই কোহলি অধিনায়ক হিসেবে এক অনন্য় রেকর্ড গড়ে ফেললেন।
সোমবার অ্যাডিলেডে অস্ট্রেলিয়াকে ৩১ রানে হারানোর পরেই বিশ্বের এক নম্বর টেস্ট ব্যাটসম্যানের মুকুটে যুক্ত হয়েছে নয়া পালক। কোহলি এখন উপমহাদেশের প্রথম অধিনায়ক, যিনি ন্যূনতম দক্ষিণ আফ্রিকা, ইংল্যান্ড ও অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে টেস্ট জয়ের স্বাদ পেলেন। একই সঙ্গে টেস্টের প্রথম তালিকায় থাকা ভারতও প্রথম উপমহাদেশের দেশ হিসেবে একই ক্যালেন্ডার বর্ষে এই তিন দেশের বিরুদ্ধে টেস্ট জিতল। রাহুল দ্রাবিড় ও এমএস ধোনি দক্ষিণ আফ্রিকা ও ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে ক্যাপ্টেন হিসেবে জয় পেয়েছেন। কিন্তু তাঁরা কেউই অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে জেতেননি।
আরও পড়ুন: ঋদ্ধিকে টপকে বিশ্বরেকর্ড পন্থের
এবছর ভারতের বিদেশ সফরের প্রথম ডেস্টিনেশন ছিল দক্ষিণ আফ্রিকা। প্রোটিয়ার প্রায় সব বিভাগেই ভারতের থেকে এগিয়ে ছিল। কোহলি অ্যান্ড কোং সেঞ্চুরিয়ন ও কেপ টাউনে প্রথম দু’টো টেস্ট হারে। এরপর জোহানেসবার্গে ৬৩ রানে জিতে প্রত্যাবর্তন করে তারা। তিন ম্যাচের টেস্ট সিরিজ কোহলিরা ১-২ হারে। সিরিজ খুইয়েও কোহলি হয়েছিলেন টুর্নামেন্টের সর্বোচ্চ স্কোরার। হাফ ডজন ইনিংসে ৪৭.৬৭-এর গড়ে ২৮৬ রান করেছিলেন তিনি। এ বছর অগাস্টে ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে পাঁচ ম্যাচের টেস্ট সিরিজে ভারতকে ৪-১ হারতে হয়েছে। কিন্তু এর মধ্যে নটিংহ্যামে তৃতীয় টেস্ট জেতে বিরাটের দল। এখনও পর্যন্ত কোহলির ক্যাপ্টেনসিতে ভারত ৪৩টি টেস্ট ম্যাচ খেলেছে। একটা অদ্ভূত পরিসংখ্যান সামনে এসেছে। কোহলি এর মধ্য়ে ২০ বার টস জিতে ভারতকে ১৭ বার জিতিয়েছেন। তিনটি ম্যাচ ড্র হয়ে যায়।