India great Kaif on Virat Kohli's batting technique ahead of Gabba Test: ব্রিসবেনের গাব্বা টেস্টের আগে বিরাট কোহলিকে নিয়ে বোমা ফাটালেন ভারতীয় দলের প্রাক্তন খেলোয়াড় মহম্মদ কাইফ। তিনি বলেছেন, বিরাট কোহলিকে আউট করাটা কোনও ব্যাপারই না। এই ব্যাপারে কাইফের বক্তব্য, 'বছরে দু'বার খেলেন, এমন খেলোয়াড়ও জানেন যে কীভাবে বিরাট কোহলিকে আউট করতে হয়।' গাব্বা টেস্টের আগে কোহলির অফ স্টাম্পের বাইরের দুর্বলতার কথা ক্রিকেট দুনিয়ার মুখে মুখে ঘুরছে। পালটা প্রশ্ন উঠেছে, কেন ট্র্যাভিস হেডের দুর্বলতা এই ভাবে ভারত কাজে লাগাতে পারছে না?
ভারতের প্রাক্তন ব্যাটসম্যান মহম্মদ কাইফ বলেছেন, প্রত্যেক বোলারই এখন জানে যে, কোথায় টার্গেট করলে কোহলিকে আউট করা যায়। বেশ কিছুদিন ধরেই কোহলি পেসারদের বিরুদ্ধে ঠিকমতো খেলতে পারছেন না। স্টাম্পের বাইরে দিয়ে যাওয়া ডেলিভারিতে বারবার আউট হয়েছেন। আগে, তাঁর ফুটওয়ার্ক নিয়ে প্রশ্ন উঠছিল। এখন অফ স্টাম্পের বাইরের বল খেলা নিয়ে উঠছে। আর বড় লেংথের বল খেলতেই দেখা যাচ্ছে যে কোহলির অসুবিধা হচ্ছে।
এডিলেডে (এএফপি) স্কট বোল্যান্ডের বলে কোহলি আউট হয়েছেন। বর্ডার-গাভাসকার ট্রফিতে পার্থে প্রথম ইনিংসে, তিনি একটি গতিসম্পন্ন বাউন্স বলে আউট হন। পার্থে দ্বিতীয় ইনিংসে যদিও তিনি সেঞ্চুরি করেছেন। সেটা অনেকটাই অস্ট্রেলিয়ান পেসারদের ক্লান্তির সুযোগ নিয়ে। ওই সেঞ্চুরি টেস্ট ক্রিকেটে কোহলির ৩০তম শতরান। তবে এডিলেডে দিন-রাতের টেস্টে পরিস্থিতি আবার যে কার সেই হয়ে যায়। দুই ইনিংসেই অফ স্টাম্পের বাইরে ঠিকঠাক লেংথের বলে কোহলি উইকেট খোয়ান। প্রথম ইনিংসে ফুটওয়ার্কের সমস্যায় আউট হয়েছিলেন। দ্বিতীয় ইনিংসে, স্কট বোল্যান্ডের অফ স্টাম্পের বাইরের ডেলিভারিতে আউট হন।
কাইফ এসব বললেও সুনীল গাভাসকার মনে করেন যে, যে ব্যাটার ৩০টি সেঞ্চুরি পেয়েছে, সে নিশ্চিতভাবে ব্যাট করতে জানে। আবার, ম্যাথু হেইডেন মনে করছেন, কোহলি সঠিক সময়ে সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে পারছেন না। পার্থে দ্বিতীয় ইনিংসে ঠিকঠাক থাকলেও অধিকাংশ সময় দেখা যাচ্ছে যে কোহলি নিজের লাইনের বদলে বলের লাইনে চলে যাচ্ছেন। তার ফলেই তিনি বারবার আউট হচ্ছেন বলেই হেইডেনের মত।
আর, এসব নিয়েই কাইফ বলেছেন, 'বোল্যান্ডের মত বোলার, যিনি অস্ট্রেলিয়ান একাদশেই নিয়মিত নন, তিনি পর্যন্ত জানেন কীভাবে কোহলিকে আউট করতে হবে। বোলান্ড বছরে মাত্র দুই-তিনটি টেস্ট ম্যাচ খেলে। সে-ও কোহলিকে অফ স্টাম্পের বাইরে বল করেছে। আর উইকেট নিয়েছে। ও ফের এরকমই চেষ্টা চালাবে।' সোশ্যাল মিডিয়া হ্যান্ডেলে প্রকাশিত ভিডিওতে কাইফ এমনটা বলেছেন। আর এখানেই কাইফের প্রশ্ন অজিরা যদি কোহলির দুর্বলতা কাজে লাগাতে পারে, তবে টিম ইন্ডিয়া ট্রাভিস হেডের দুর্বলতা কেন কাজে লাগাতে পারছে না? এই ব্যাপারে কাইফ বলেন, 'বোল্যান্ড যদি জানে কোহলিকে কীভাবে ফাঁদে ফেলতে হয়, তাহলে আমরা ট্র্যাভিস হেডকে কিছু করতে পারছি না কেন? যদি তাঁরও অফ-স্টাম্পের বাইরে দুর্বলতা থাকে, তাহলে আমরা অফ-স্টাম্পের বাইরে টানা বল করছি না কেন? প্রত্যেক ব্যাটসম্যানেরই দুর্বলতা থাকে। হেডের দুর্বলতা আমাদের কাছে লাগানো উচিত।'
আরও পড়ুন- গোয়েঙ্কার ইন্ধনেই হয়েছিল কোহলি-নবীন সংঘাত! বিস্ফোরক স্বীকারোক্তিতে সত্যি ফাঁস কলকাতার শিল্পপতির
এই ব্যাপারে কাইফ বলেন, 'বিরাট কোহলির দুর্বলতা সকলেই জানেন। অফ-স্টাম্পের বাইরে বল করলে কোহলি আউট হবে। ট্র্যাভিস হেডের বিরুদ্ধেও একই কৌশল নেওয়া উচিত। সঠিক পরিকল্পনা নিয়ে এগিয়ে যেতে হবে। হেডকে আক্রমণ করতে হবে। প্রথম বল থেকেই হেডের দুর্বলতা কাজে লাগানোর পরিকল্পনা করতে হবে। তবে তো আউট করা যাবে। আমার মনে হয় না যে, অস্ট্রেলিয়া এত শক্তিশালী- তাদের ভয় পেতে হবে! আমরা প্রথম ম্যাচে জিতেছি। অস্ট্রেলিয়া ভালো খেলেছে, তাই দ্বিতীয় ম্যাচে জিতেছে। সিরিজ এখন ১-১। আশাকরি গাব্বাতে আমরাই জিতব।'