India Head Coach, Virat Kohli: ২০০৯-এ নেপিয়ারে ফলো-অনের মুখে পড়েছিল ভারত। তখনও আড়াই দিন বাকি ছিল টেস্টে। ভারতের হার অবশ্যম্ভাবী হয়ে উঠেছিল। সেই সময় টিম ইন্ডিয়ার বর্তমান কোচ গৌতম গম্ভীর ভারতীয় ওপেনারদের মধ্যে তর্কাতীতভাবে অন্যতম সেরা শতরানের ইনিংস খেলে যান। গম্ভীরের ব্যাটে ভর করেই ভারত সেই টেস্ট ম্যাচ বাঁচিয়ে দেয়।
বুধবার বিসিসিআই.টিভি-তে কোহলির সঙ্গে আলাপচারিতায় গম্ভীর জানিয়ে দিলেন, তিনি এমন একটা জোনে চলে গিয়েছিলেন যেখানে পৌঁছতে তাঁকে সাহায্য করেছিল হনুমান চলিশা মন্ত্রোচ্চারণ। তাঁর দৃঢ়চেতা এবং লড়াকু ইনিংসের নেপথ্যে ছিল সেই হনুমান চালিশা পাঠ-ই।
"এখন যদি ফিরে তাকাই, যদি একই ধরণের ইনিংস আড়াই দিন ধরে খেলার চেষ্টা করি, সেটা কি পারব? মনে হয়না, সেটা আর করতে সমর্থ হব। তবে সেই দুই দিন ধরে যা করেছিলাম তা হল হনুমান চালিশার মন্ত্র শুনে যাওয়া।" বলেছেন গৌতম গম্ভীর।
আরও পড়ুন: সৌরভের দিল্লির ছেড়ে IPL-এ ফের হেড কোচ পন্টিং! বড় ঘোষণায় ঝড় উঠল বুধবারই
গম্ভীর আরও জানিয়েছেন, তাঁর মতই ঈশ্বরের শরণাপন্ন হয়ে দলকে বিপদ থেকে রক্ষা করেছিলেন স্বয়ং কোহলি। অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ২০১৪/১৫ সিরিজে কোহলি অতিমানবীয় হয়ে উঠেছিলেন। তার নেপথ্যে নাকি 'ওম নমো শিবায়' বারংবার উচ্চারণ করে যাওয়া।
গম্ভীর বলছেন, "তুমিই আমাকে পরে বলেছিলে, প্রত্যেক ডেলিভারির আগে ওম নমো শিবায় উচ্চারণ করে গিয়েছিল তুমি। সেটাই তোমাকে সেই জোনে পৌঁছে দেয়। আমার ক্ষেত্রে একই ঘটনা ঘটেছিল নেপিয়ারে।"
গম্ভীর নেপিয়ারে ৪৩৬ বলে ১৩৬ রানের ম্যারাথন ইনিংস খেলে নিউজিল্যান্ডকে নিশ্চিত জয় থেকে বঞ্চিত করেন। "আমি বারবার ওই জোনে পৌঁছনোর কথা বলি। কারণ কেরিয়ারে খুব কম বার-ই সেরকম একটা জোনে একজন ক্রিকেটার পৌঁছতে পারেন। মনে রয়েছে, ভিভিএস লক্ষ্মণ নেপিয়ারে সেই ইনিংসের সময় আমাকে বলেছিল, 'তুমি কি জানো, গত দু-ঘন্টায় তুমি একবার-ও কথা বলোনি!'
"মনে হয়েছিল আমি এতটাই একাত্ম হয়ে গিয়েছিলাম। সেই ম্যাচের পর আর কখনও সেরকম টাচ-জোনে পৌঁছতে পারিনি। ওই জায়গায় পৌঁছনোর অনুভূতি আমি জানি। আমার থেকে তোমার এই অনুভূতির সংখ্যা অনেক বেশি হবে।" কোহলিকে বলেছেন গম্ভীর।
READ THE FULL ARTICLE IN ENGLISH