Advertisment

বাবাকে হারানোর পরদিনই মাঠে নেমেছিলেন বিরাট, কিন্তু কেন? কার জন্য়?

বাবা স্বপ্ন দেখতেন ছেলে একদিন দেশের হয়ে ক্রিকেট খেলছে। কিন্তু প্রেম কোহলি সেটা দেখে যেতে পারেননি। যদিও বাবার স্বপ্নপূরণ করতেই বিরাট সর্বোচ্চ পর্যায় ক্রিকেট খেলার স্বপ্ন দেখাটা বন্ধ করেননি।

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
Virat Kohli reveals how he kept his father’s dream alive

বাবাকে হারানোর পরদিনই মাঠে নেমেছিলেন বিরাট , কিন্তু কেন? কার জন্য়?

বাবা স্বপ্ন দেখতেন ছেলে একদিন দেশের হয়ে ক্রিকেট খেলছে। কিন্তু প্রেম কোহলি সেটা দেখে যেতে পারেননি। যদিও বাবার স্বপ্নপূরণ করতেই বিরাট সর্বোচ্চ পর্যায় ক্রিকেট খেলার স্বপ্ন দেখাটা বন্ধ করেননি।

Advertisment

২০০৬ সালে বিরাট তাঁর বাবাকে হারান। সেসময় বছর আঠারোর বিরাট দিল্লির হয়ে রঞ্জিতে কর্ণাটকের বিরুদ্ধে খেলছিলেন। দেখতে দেখতে ১৩টা বছর হয়ে গেল বিরাট হারিয়েছেন তাঁর বাবাকে। আজ বিরাট শুধু ভারতেরই অধিনায়ক নন, বিশ্বের অন্য়তম সেরা ব্য়াটসম্য়ানও তিনি।

বিরাট বলছেন যে, বাবার মৃত্য়ুই তাঁর জীবনের মোড় ঘুরিয়ে দিয়েছিল। তাঁর মনে এতটাই প্রভাব ফেলেছিল যে, বিরাট ভেবেই নিয়েছেন ক্রিকেটই হবে তাঁর জীবন। সম্প্রতি বিরাট এসেছিলেন মার্কিনি টেলিভিশন উপস্থাপক গ্রাহাম বেনসিঙ্গারের শো-তে। ‘ইন ডেপথ উইথ গ্রাহাম বেনসিঙ্গার’-এ জীবনের টার্নিং পয়েন্ট তুলে ধরলেন কোহলি।

আরও পড়ুন: প্রথম দেখায় অনুষ্কাকে কী বলেছিলেন বিরাট? দেখুন সাক্ষাৎকারের পুরো ভিডিও

বিরাট ৪০ রানে অপরাজিত ইনিংস খেলেই দিন শেষ করেছিলেন। আর সেই রাতেই বাবাকে চোখের সামনে চলে যেতে দেখেছিলেন। কিন্তু বিরাট বাবাকে হারানোর পরের দিনই মাঠে নেমেছিলেন। করেছিলেন আরও ৫০টি রান। দলকে ফলো-অনের হাত থেকে উদ্ধার করেছিল তাঁর ব্য়াট।

বিরাট বলছেন, "আমি চার দিনের ম্য়াচ খেলছিলাম। পরের দিন আবার ব্য়াট করার কথা ছিল। ২৩০ রান ছিল আমাদের স্কোরবোর্ডে। আমরা বুঝতেই পারছিলাম না কী করব। আমি বাবাকে চোখের সামনে শেষ নিঃশ্বাস ত্য়াগ করতে দেখেছিলাম। হাসপাতালে নিয়ে গিয়েও বাঁচাতে পারিনি। পরিবার ভেঙে পড়েছিল। কিন্তু আমি কাঁদতে পারিনি। আমার কোনও আবেগ আসেনি। আমি বুঝে উঠতে পারিনি কী হলো, ভাবনা-চিন্তার জায়গাতেই ছিলাম না। তবু কোচকে বলেছিলাম আমি খেলতে চাই, কারণ কোনও কিছুর জন্য়ই ক্রিকেট ম্য়াচ ছাড়তে পারব না। সতীর্থরা আমাকে ড্রেসিংরুমে সান্ত্বনা দিচ্ছিল। আমি তখন তাঁদের আবেগ দেখে ভেঙে পড়েছিলাম। আমার জীবনে ওই ঘটনাই সবচেয়ে বেশি প্রভাব ফেলেছিল। ম্য়াচ শেষ করে এসেই বাবার শেষকৃত্য় করেছিলাম। ভাইকে বলেছিলাম দেশের হয়ে ক্রিকেট খেলব। আমার বাবাই বলেছিলেন, দেশের হয়ে খেলাটাই যেন জীবনে সর্বাধিকার পায়, তারপর বাকি সবকিছু।"

Read full story in English

Virat Kohli
Advertisment