নিয়ন্ত্রিত খাদ্য়াভাস আর নিয়মিত শরীরচর্চা। এই দুয়ের মেলবন্ধনেই আজ বিশ্বের অন্য়তম ফিট অ্যাথলিটদের একজন বিরাট কোহলি। টিম ইন্ডিয়ার ক্য়াপ্টেন আদতে পাঞ্জাবী ও খাদ্য়রসিক।
ইচ্ছা থাকলেও পেশার তাগিদে মনের সুখে খাওয়ার জো নেই তাঁর। চারবেলার খাওয়ারই তাঁর মাপা এবং পরিমিত। কিন্তু এহেন কোহলিই ফিটনেসের তোয়াক্কা না করে মনের সুখে চিকেন বার্গার, ফ্রেঞ্চ ফ্রাইজ এবং চকোলেট শেকে মজেছিলেন।
আরও পড়ুন-অভিনেত্রীর সঙ্গে ছাদনাতলায় মণীশ, শুভেচ্ছায় মন ছুঁলেন রোহিত-বিরাট
ইন্ডিয়া টুডে-তে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে কোহলি ২০১৬-১৭ মরসুমে ভারত-ইংল্য়ান্ড সিরিজের স্মৃতি রোমন্থন করলেন। মুম্বইয়ের ওয়াংখেড়ে স্টেডিয়ামে সেই সিরিজের চতুর্থ টেস্টে কোহলির ব্য়াট থেকে এসেছিল ঝকঝকে ২৩৫ রানের ইনিংস।
প্রচণ্ড গরম আর তীব্র আর্দ্রতার মধ্য়েও কোহলি ঘণ্টার পর ঘণ্টা ক্রিজে কাটিয়েছিলেন। তাঁর শরীর প্রায় শুকিয়ে এসেছিল। সেই ঘটনার কথা মনে করে কোহলি বললেন, “২৩৫ করে ফেরার পর আর শরীরে কিছু ছিল না। ওই ম্য়াচে ভারী খাবার একদমই খাইনি আমি। জল, কলা আর অল্প চাল-ডালেই ফোকাস করেছিলাম। সেসময় বাসু স্য়ার (শঙ্কর বাসু, ভারতের প্রাক্তন ফিটনেস ট্রেনার) বলেছিলেন আজ রাতে আমি যা খুশি তাই খেতে পারি। সেসময় আমি মাংস খেতাম। আমি একটা চিকেন বার্গার অর্ডার করেছিলাম। ওপরের বানটা মুখে দেওয়ার পর নিজেকে আর আটকাতে পারিনি। কিন্তু তারপর ভাবলাম দু'টো খাওয়া ঠিক হবে না। আমি এরপর বড় একটা প্লেট ভর্তি ফ্রেঞ্চ ফ্রাই নিই। সঙ্গে চকোলেট শেক। কারণ আমি জানতাম আমার শরীরের এগুলো প্রয়োজন রয়েছে।”
আরও পড়ুন-বিরাটের প্রিয় অনুষ্কা-র সিনেমা, জানিয়ে দিলেন ক্যাপ্টেন
কোহলির নেতৃ্ত্বে ভারত এখন বিশ্বের এক নম্বর দল। এই টিমকে নিয়েই তিনি আগামী বছর আইসিসি টেস্ট চ্য়াম্পিয়নশিপ জিততে চাইবেন। পাশাপাশি কোহলি চাইবেন ২০২০-তে ভারতকে ক্রিকেটের ক্ষুদ্রতম সংস্করণে বিশ্বচ্য়াম্পিয়ন করাতে।