চলতি বছর রাজীব গান্ধী খেলরত্নের জন্য মনোনীত হলেন ভারতীয় দলের অধিনায়ক বিরাট কোহলি ও ভারোত্তলক মীরাবাঈ চানু। এই পুুরস্কারের জন্য শাটলার কিদাম্বি শ্রীকান্তের নামও ক্রীড়ামন্ত্রকের আলোচনায় উঠে এসেছিল বলে জানা যাচ্ছে।
যদি ক্রীড়ামন্ত্রী রাজ্যবর্ধন রাঠোর এবছর এই পুরস্কারের জন্য কোহলির নাম অনুমোদন করে থাকেন তাহলে শচীন তেন্ডুলকর (১৯৯৭) ও এমএস ধোনির (২০০৭) পর তৃতীয় ক্রিকেটার হিসেবে এই পুরস্কার পাবেন কোহলি। শেষ তিন বছর ধরেই কোহলির নাম খেলরত্নের জন্য পাঠিয়ে আসছে বিসিসিআই। কিন্তু ২০১৬ অলিম্পিকের পারফরম্যান্স দেখে সাক্ষী মালিক, দীপা কর্মকার ও পিভি সিন্ধুকে দেওয়া হয়।এই মুহূর্তে কোহলি আইসিসি-র ক্রমতালিকায় এক নম্বর টেস্ট ব্যাটসম্যান। আছেন দুরন্ত ফর্মেও।গত বছর প্রাক্তন ভারত অধিনায়ক সর্দার সিং ও প্যারা অ্যাথলিট দেবেন্দ্র ঝাঝারিয়া খেলরত্নে ভূষিত হন। ২০১৭-তে কোহলি পদ্মশ্রী পান। খুব কম সংখ্যক ক্রীড়াব্যক্তিত্ব আছেন যাঁরা খেলরত্নের আগে পদ্মশ্রী পেয়েছেন। কোহলি তাঁদের মধ্যে একজন। এখন দেখার এবছর কোহলি খেলরত্ন পান কি না!
আরও পড়ুন: লারাকে টপকে দ্রুততম ১৮০০০ কোহলির
চানু গতবছর বিশ্ব চ্যাম্পিয়নশিপে ৪৮ কেজি বিভাগে স্বর্ণ পদক জিতেছিলেন। এবছর কমনওয়েলথ গেমসেও সোনা পান চানু। কিন্তু চোটের জন্য সদ্যসমাপ্ত এশিয়ান গেমসে নামা হয়নি চানুর। আসন্ন ২০২০ অলিম্পিকে ভারোত্তলনে তিনিই দেশের একমাত্র আশা ভরসা।
১২ সদস্যের কমিটি গঠন করা হয় এই খেলরত্নের জন্য। তাঁরাই সমস্ত খেলোয়াড়দের আন্তর্জাতিক ইভেন্টের পারফরম্যান্সের দিকে চোখ রেখে মনোনীতদের নাম ক্রীড়ামন্ত্রকের কাছে পাঠান। তারপর চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।