শেষ কয়েক বছর বিশ্ব ক্রিকেটে শাসন করছেন বিরাট কোহলি। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বীদের থেকেও কয়েকশ যোজন এগিয়ে তিনি। কখনও অবলীলায় সেঞ্চুরি করছেন তো কখনও ভাঙছেন একের পর এক রেকর্ড। নিজস্ব একটা লিগই তৈরি করে ফেলেছেন টিম ইন্ডিয়ার ক্যাপ্টেন। বিরাটের সামনেই অগ্নিপরীক্ষা।
অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে আগামী ৬ ডিসেম্বরে অ্যাডিলেডে নামবে কোহলির টিম ইন্ডিয়া। চার ম্যাচের টেস্ট সিরিজের শুভারম্ভ আগামী বৃহস্পতিবার। টেস্টে নামার আগে ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে ড্র হয়ে যাওয়া ওয়ার্ম-আপ ম্যাচেও কোহলি ব্যাটে-বলে নিজের ছাপ রেখেছেন। ৬৪ রানের ইনিংস খেলার পাশাপাশি হাত ঘুরিয়ে একটি উইকেটও পান বিরাট। উইকেট নেওয়ার পর একেবারে শিশুর মতো আনন্দে মেতে ওঠেন বিরাট। সেঞ্চুরিয়ন হ্যারি নিয়েলসনের উইকেট নেন তিনি। কোহলিকে মিড-অফের ওপর দিয়ে লফট করে মারতে গিয়ে উমেশ যাদবের হাতে ক্যাচ-আউট হয়ে যান তিনি।
আরও পড়ুন: অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে শচীনের আরও একটি রেকর্ড ভাঙতে পারেন কোহলি
২৪টি টেস্ট সেঞ্চুরির মালিক সম্প্রতি সিডনি ম্যাকোয়ার স্পোর্টস রেডিও-তে একটি সাক্ষাৎকার দিয়েছেন। সেখানে তিনি বললেন, “প্রতিটি সিরিজ, প্রতিটি সফর ও প্রতিটি ম্যাচ থেকেই শিখি। শেষবারের তুলনায় আমি এখন নিজের সম্বন্ধে অনেক বেশি আত্মবিশ্বাসী। সত্যি বলতে কাউকে কিছু প্রমাণ করার তাগিদ অনুভব করি না। আমার থেকে দল কী চাইছে সেটাই প্রাধান্য পায়। মাঠে নিজের ১০০ শতাংশ দিই আমি। আর ধীরে ধীরে এই প্রক্রিয়াটা চলে। ঘরের মাটি হোক বা বিদেশ, আমি কোনও ফারাক বুঝতে পারি না। এটা একটা প্রক্রিয়ার মতো।”
২০১৪ সালে শেষবার অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে ভারতকে হারতে হয়েছিল। মহেন্দ্র সিং ধোনির ভারত তিন ম্যাচের টেস্ট সিরিজের প্রথম দু’টি ম্যাচই হারে। শেষ ম্যাচ ড্র হয়ে যায়। যদিও প্রাক্তন ক্রিকেটারদের মতে ক্যাঙ্গারুর দেশে ভারতে টেস্ট জয়ের এটাই সুবর্ণ সুযোগ। কারণ এই দলে স্টিভ স্মিথ ও ডেভিড ওয়ার্নারের মতো বিশ্বমানের ক্রিকেটাদের না-থাকাটা ভারতের জন্য বিশাল প্রাপ্তি বলেই মনে করছে ক্রীড়ামহল।