আইপিএল জমানায় সম্প্রতি দেশে বেশ জনপ্রিয় হয়েছে অনলাইন বেটিং সংস্থাগুলি। এই বেটিং সংস্থার মাধ্যমে জুয়া খেলে অনেকের বিপুল আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়েছেন। সর্বস্বান্ত হয়ে অনেকেই আত্মহত্যার পথ বেছে নিচ্ছেন।
এই বেটিং সংস্থাগুলির অনেকেরই ব্র্যান্ড আম্বাসাডর হয়েছেন কোহলি, সৌরভ। দেশে জুয়া খেলার মাধ্যমে আত্মহত্যার "প্ররোচনার' অভিযোগে এবার মাদ্রাজ হাইকোর্টের তীব্র ভর্ৎসনার মুখে প্রাক্তন ও বর্তমান জাতীয় দলের ক্যাপ্টেন।
আরো পড়ুন: কোহলি না খেললে ভারতেরই ভাল! গাভাসকারের বিস্ফোরক মন্তব্যে ফের বিতর্ক
আউটলুকের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, জুয়া খেলে ক্রমবর্ধমান আত্মহত্যার ঘটনা বেড়ে চলায় অসন্তোষ প্রকাশ করেছে মাদ্রাজ আদালতের মাদুরাই বেঞ্চ। চলতি সপ্তাহের বৃহস্পতিবার সরাসরি আদালতের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, যেভাবে কোহলি এবং সৌরভের জনপ্ৰিয়তার উপর ভিত্তি করে অনলাইন বেটিং সংস্থাগুলি জাঁকিয়ে বসছে, তা উদ্বেগজনক। অনলাইন বেটিং সংস্থার মাধ্যমে নগদ টাকা লেনদেন হওয়ার জন্য মাদ্রাজ হাইকোর্টে একটি জনস্বার্থ মামলা দায়ের করেন আইনজীবী মহম্মদ রিজভি। সেখানে জানানো হয় রানা দুগ্গুবাতি, তামান্না ভাটিয়াদের মত জনপ্রিয় সেলেব, ক্রিকেটারদের মাধ্যমে কীভাবে বেটিং সংস্থা গুলির বাড়বাড়ন্ত শুরু হয়েছে। তার প্রেক্ষিতেই এবার আদালত অসন্তোষ প্রকাশ করে।
প্রসঙ্গত, এমপিএল এনডোর্স করেন বিরাট কোহলি। এম১১সার্কেলের বিজ্ঞাপনে দেখা যায় শচীনের মুখ। ধোনি আবার ড্রিম১১-এর ব্র্যান্ড আম্বাসাডর। বোর্ড সভাপতি সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়কেও দেখা যায় একাধিক বিজ্ঞাপনে। আইপিএল আয়োজনের আগে ভিভো সরে যাওয়ার টাইটেল স্পনসর হয় ড্রিম ইলেভেন। এমপিএল আবার কিট স্পনসর হিসাবে টিম ইন্ডিয়ার সঙ্গে যুক্ত হয়েছে। সেই সঙ্গে লঙ্কান প্রিমিয়ার লিগের টাইটেল স্পনসর তিনি। তবে এর খারাপ প্রতিক্রিয়া আসতে শুরু করে আইপিএল চলাকালীনই। জুয়া খেলা আত্মহত্যার সংখ্যা তাৎপর্যপূর্ণভাবে বেড়ে যায়।
ভারতের বহু রাজ্যে এখনো অনলাইন বেটিং, লটারি নিষিদ্ধ। ২০১৯ সালের কনজিউমার প্রোটেকশন এক্ট অনুযায়ী, যে পণ্য এনডোর্স করছেন সেলেবরা, সেই বিজ্ঞাপণের গুণগত মান নজরে রাখার দায়িত্ব সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির। মাদ্রাজ হাইকোর্টের জাস্টিস এন কিরুবাকরান, এবং জাস্টিস বি পুগালেনধি বৃহস্পতিবার জানতে চান, অর্থ লেনদেন করার গেমিং প্ল্যাটফর্ম এনডোর্স করার জন্য সেলেবদের দায়ী করা যায় কিনা!
জাস্টিস কিরুবাকারণের পর্যবেক্ষণ, "একজন সেলিব্রিটি বিজ্ঞাপনে সাধারণ মানুষের কাছে কীভাবে পৌঁছান? তাঁরা সেই সেলেবদের ফলো করেন। বিরাট কোহলি, সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ের কত ফলোয়ার রয়েছেন!"
প্রসঙ্গত, অন্ধ্রপ্রদেশ আগেই অনলাইন বেটিং নিষিদ্ধ করেছে। সেই পথে হাঁটতে পারে তামিলনাড়ুও।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন