India World Cup celebrations Mumbai: সংবর্ধনা জোয়ারে ভেসে যাচ্ছেন টিম ইন্ডিয়ার তারকারা। ওয়াংখেড়ে স্টেডিয়ামে ভরা গ্যালারিতে কোহলির কাছে প্রশ্ন ভেসে এল, জসপ্রীত বুমরাকে জাতীয় সম্পদ এবং বিশ্বের অষ্টম আশ্চর্য হিসাবে মান্যতা দেওয়ার জন্য পিটিশনে সই করবেন কিনা!
টিম ইন্ডিয়া ক্যাপ্টেন এবং ফাইনালে ভারতকে জেতানোর নায়ক বলে দিলেন, "আমি এখুনি সেই পিটিশনে সই করব।" কোহলি প্রশংসায় ভরিয়ে দিলেন বিশ্বকাপের সেরা তারকাকে। ১১ বছর পর আইসিসি ট্রফি জেতানোর পথে বুমরা বিশ্বকাপে নিয়েছেন ১৫ উইকেট। কোহলি বলছেন, "ওঁকেই সিদ্ধান্ত নিতে দেওয়া হোক, কোন কোন সূচিতে ও খেলবে। আমরা চাই ও যতদিন সম্ভব খেলুক। প্রজন্মের সেরা বোলার ও। আমাদের হয়ে ও খেলে। এতেই আমরা আনন্দিত।"
বল হাতে ইচ্ছামত স্রেফ উইকেট তুলে নেওয়াই নয়, বুমরার বিশ্বকাপে ইকোনমি রেট ৪.১৮। ফাইনালে বুমরা নিজের ৪ ওভারের কোটায় ১৮ রান খরচ করে তুলে নিয়েছিলেন জোড়া উইকেট।
যেভাবে প্রায় হারের মুখ থেকে বুমরার স্পেল ভারতকে জিতিয়ে দিয়েছে, তার-ও ভূয়সী প্রশংসায় মেতেছেন কিং কোহলি। "আমি নিশ্চিত আমার মতই স্টেডিয়ামের সকলের মনে ঘুরপাক খাচ্ছিল, আরে ম্যাচ কি হড়কে গেল নাকি! আমি চাই সকলে ওঁকে প্রশংসাই করে যাক। যেভাবে ও আবার, বারবার, ভারতকে টুর্নামেন্টে ফিরিয়ে এনেছে তাতে কোনও প্রশংসাই যথেষ্ট নয়।"
শেষ পাঁচ ওভারে দক্ষিণ আফ্রিকার জয়ের জন্য প্রয়োজন ছিল মাত্র ৩০ রান। হাতে ছিল ৬ উইকেট। রোহিত শর্মা মোক্ষম সময়েই জসপ্রীত বুমরাকে আক্রমণে আনেন। নিজের কোটার তৃতীয় ওভার করতে এসে বুমরা মাত্র ৪ রান খরচ করেন। নিজের চতুর্থ ওভারে বুমরা দেন মাত্র ২ রান। তাও আবার মার্কো জ্যানসেনের উইকেটের বিনিময়ে।
প্ৰথমবার টি২০ ওয়ার্ল্ড কাপ জিতলেন কোহলি। ১৩ বছর পর তিনি বিশ্বকাপ জয়ের স্বাদ পেয়ে বলে দিয়েছেন, "২০১১-য় সিনিয়রদের আবেগের সঙ্গে নিজেকে মেলাতে পারিনি। যাঁরা সেদিন রাতে কেঁদেছিলেন। এখন সেই অনুভব করতে পারছি।"