বিদেশে সফরের পুরো সময়টাই স্ত্রী-দের সঙ্গে রাখার অনুমতি দেওয়া হোক, বিসিসিআই-কে এমনই অনুরোধ জানালেন ভারতীয় ক্রিকেট দলের অধিনায়ক বিরাট কোহলি। বর্তমান নিয়ম অনুযায়ী, খেলোয়াড়দের স্ত্রী-রা দু সপ্তাহ থাকতে পারেন তাঁদের সঙ্গে। তবে এর বেশি নয়। জানা গিয়েছে, ইতিমধ্যেই বিসিসিআইয়ের এক শীর্ষ কর্তার সঙ্গে এই বিষয়ে কথা বলেছেন অধিনায়ক, এবং ভিনোদ রাই এবং ডায়ানা এডুলজির নেতৃত্বে গঠিত সুপ্রিম কোর্টের কার্যনির্বাহী কমিটির (CoA) কাছে বিষয়টি তুলে ধরা হয়েছে।
সূত্রের খবর, CoA-র তরফে ভারতীয় দলের ম্যানেজার সুনীল সুব্রমনিয়ামকে এই নিয়ম পরিবর্তন করার আনুষ্ঠানিক অনুরোধ করতে বলা হলেও তাঁরা এখনই কোনও সিদ্ধান্ত নেবেন না। বিসিসিআই-এর নতুন বোর্ড আসার পরই এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
আরও পড়ুন: কুলদীপের হাতে রাজকোটে কফিনবন্দি ক্যারিবিয়ানরা
সূত্রের কথায়, “কয়েক সপ্তাহ আগেই এই আবেদন জানানো হয়েছে। যেহেতু এই পুরো সিদ্ধান্ত নেওয়ার অধিকার রয়েছে বিসিসিআই-এর হাতে, সে ক্ষেত্রে দলের ম্যানেজারকেই প্রথমে এই প্রস্তাব আনুষ্ঠানিকভাবে পেশ করতে হবে বিসিসিআই-এর কাছে।" প্রসঙ্গত, সদ্য বিবাহিতা অনুষ্কা শর্মা এতদিন বিরাটের সঙ্গে বিদেশে যেতেন, তবে কোহলি চাইছেন পুরনো নিয়মের অবসান হোক এবং নতুন নিয়ম চালু হোক, যেখানে ভারতীয় ক্রিকেট দলের খেলোয়াড়দের সঙ্গে স্ত্রীরাও গোটা সময়টাই থাকতে পারবেন।
বর্তমানে, ক্রিকেটারদের বিদেশ সফরে পরিবারের সঙ্গে থাকার সময় সীমিত করেছে বেশিরভাগ দেশই। অ্যাশেজের ঘটনার পর ২০০৭ সালে ইংল্যান্ড ও ওয়েলস ক্রিকেট বোর্ড অস্ট্রেলিয়ার কাছে ৫-০ রানে হারের কারণ জানতে চান। এরপর সেই রিপোর্টেই সুপারিশ করা হয়, এবার থেকে একটা সীমিত সময় পর্যন্তই ক্রিকেটারদের সঙ্গে তাঁদের পরিবারদের থাকতে দেওয়া হবে। তবে খেলোয়াড়রা এই বিষয়টি ভালভাবে নেন নি, ইংল্যান্ডের ব্যাটসম্যান কেভিন পিটারসেন এই সিদ্ধান্তকে ''চূড়ান্ত বোকা বোকা'' বলেই অভিহিত করেছিলেন।
২০১৫-তে অ্যাশেজ চলাকালীন অস্ট্রেলিয়ার ব্যর্থতার কারণ হিসাবে খেলোয়াড়দের বান্ধবী এবং স্ত্রীদেরই দায়ি করেন অস্ট্রেলিয়ার প্রাক্তন উইকেট কিপার এবং বিখ্যাত ধারাভাষ্যকর ইয়ান হিলি। এতেই তৈরি হয় চাঞ্চল্য। রিপোর্ট অনুযায়ী, ওই সফরে মাইকেল ক্লার্ক এবং ডেভিড ওয়ার্নারের স্ত্রীদের থাকা নিয়ে অভিযোগ ওঠে এবং চূড়ান্ত ঝামেলার সৃষ্টি হয়। হিলির মন্তব্যের পর ওই সফরে ওয়ার্নারের স্ত্রী ক্যানডিস ফালজোন পরিবারের গুরুত্ব নিয়ে একাধিকবার মুখ খোলেন।
ওই সফরে তিনি বারংবার বলছিলেন, "আমার মনে হয়, অনেকেই তাঁদের সন্তান এবং সঙ্গিনীদের সঙ্গে না থাকতে পারার ফলে দুঃখ পেতে পারেন। অনেকেই জানেন না, মাঠের বাইরে পরিবার খেলোয়াড়দের জন্য অনেক কিছুই করে থাকেন যা মাঠে তাঁদের সাহায্য করে।"